বাংলারজমিন
গাজীপুরে ইকো রিসোর্টে হামলায় চাঁদাবাজির মামলা
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
৮ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার, ৯:১৮ অপরাহ্ন
গাজীপুর জেলা সদরের ইকো রিসোর্টে হামলা ভাঙচুর চালিয়ে আহত করার পর ওই রিসোর্ট মালিকদের বিরুদ্ধে উল্টো চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার পিঙ্গাইল এলাকায় রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ বজলুল করিম। তিনি জানান, ইয়েস মাল্টিপারপাসের সভাপতি কবির আহম্মদ মাহমুদী এবং তার ভাই সাব্বির আহমেদ মাহমুদীর পিঙ্গাইল এলাকার ১৮ জন মালিকের কাছে জমি বিক্রি করেন। পরে জমি মালিকদের অর্থায়নে ওই জমিতে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলেজ নামে একটি রিসোর্ট গড়ে তোলেন। পরে এ রিসোর্টটি রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্ম হতে কোম্পানি গঠন এবং গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে লাইসেন্স গ্রহণ করা হয়। তিনি অভিযোগে বলেন, কবির আহম্মদ মাহমুদী ও সাব্বির আহমেদ মাহমুদী এসব জমির ভায়া দলিল ব্যবহার করে ক্রয় সূত্রে জমির মালিকদের নাম গোপন করে ইয়েস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলেজ নামে প্রতিষ্ঠান করেন। ওই রিসোর্টের বিভিন্ন কটেজ দখল করে ভাড়া দিয়ে বেশ কয়েক বছর অর্থ আত্মসাৎ করে। জমি ও কটেজগুলো দখল করাসহ জমি মালিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। তাই ইয়েস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেডের নিবন্ধন বাতিল দাবিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত চিঠি দিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার রাতে ৫০-৬০ জনের একদল বহিরাগত লোক অবৈধভাবে রিসোর্টে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও কর্মচারীদের মারধর করে। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করার পর হামলাকারীদের ব্যবহৃত একটি নোহা গাড়িসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, আমাদের রিসোর্টে হামলা চালিয়ে বিবাদীপক্ষ উল্টো আমাদের নামে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছে। এতে স্থানীয় একজন ইউপি সদস্যকেও আসামি করা হয়। এ ঘটনায় তিনি কোটি কোটি টাকার সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টের পরিচালক এজাজুল করিম, এমদাদুল করিম, ওয়াহিদুল ইসলাম, সফিকুর রহমান, স্থানীয় ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাব্বির আহমেদ মাহমুদী জানান, সৈয়দ বজলুল করিমগং আমাদের সঙ্গে করা চুক্তির শর্তসমূহ না মেনে মামলাসহ নানাভাবে আমাদের হয়রানির চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে একাধিকবার বৈঠক হলেও বৈঠকের সমঝোতা তারা মানেননি। রিসোর্টে হামলার ঘটনাও সঠিক নয়।