বাংলারজমিন
সরাইলে পুত্রের আঘাতে পিতা খুন, খুনি গ্রেপ্তার
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
৭ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৩:১২ অপরাহ্ন
সরাইলে পুত্র মনির হোসেনের (৩০) চাহাইটের আঘাতে খুন হয়েছেন পিতা ছুট্টু মিয়া (৬৫)। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন মনিরের মা মিনারা বেগম (৫৭)। নিহতের ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পরই ঘাতক মনিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মনিরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, মনির মানসিক ভারসাম্যহীন। নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার স্বজনদের হাতে তুলে দিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশ, নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, বেড়তলা গ্রামের প্রয়াত চান মিয়ার ছেলে ছুট্টু মিয়া। তারা বেড়তলা গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দ। ছুট্টু মিয়ার ছেলে মনির হোসেন প্রায়ই মানসিক ভারসাম্যহীন আচরণ করে আসছিল। ব্যক্তি জীবনে মনির দুই বিয়ে করেছে। মনিরের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে দুই স্ত্রী-ই চলে গেছেন। দুই পুত্র সন্তানের জনক মনির ও তার পিতা ছুট্টু মিয়া নরসিংদী জেলায় একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করত। সেখানে হঠাৎ করে মনিরের মানসিক সমস্যা হলে গত রোববার তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়। বিরামহীন বৃষ্টির কারণে ইটভাটার কাজ বন্ধ থাকায় ছুট্টু মিয়াও গত সোমবারে বাড়িতে এসে পড়েন।
সোমবার বিকেল ২টার দিকে পিতা ছুট্টু মিয়া ঘুমে অচেতন। পরিবার ও প্রতিবেশীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মনির চাহাইট (ধান থেকে চাল বের করার দেশীয় যন্ত্র) দিয়ে ঘুমন্ত বৃদ্ধ পিতার মাথায় আঘাত এলাপাতাড়ি আঘাত করে। মাথা ফেটে দ্রুত গতিতে রক্ত ঝরতে থাকে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ছুট্রু মিয়া। এ সময় স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে মনির তার মা মিনারা বেগমকেও মেরে গুরুতর আহত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ছুট্টু মিয়াকে সোমবার বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুত্রের আঘাতে আহত হয়ে মনিরের মা ও হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
পুলিশ ছুট্টু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। ওই গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, বছরে ১-২ বার মনির মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পাগলামি করে থাকে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মনিরকে তার বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করেছি। নিহতের ভাই মজিবুর রহমান (৪৫) বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করছেন। আজ মনিরকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মনিরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, মনির মানসিক ভারসাম্যহীন। নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার স্বজনদের হাতে তুলে দিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশ, নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, বেড়তলা গ্রামের প্রয়াত চান মিয়ার ছেলে ছুট্টু মিয়া। তারা বেড়তলা গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দ। ছুট্টু মিয়ার ছেলে মনির হোসেন প্রায়ই মানসিক ভারসাম্যহীন আচরণ করে আসছিল। ব্যক্তি জীবনে মনির দুই বিয়ে করেছে। মনিরের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে দুই স্ত্রী-ই চলে গেছেন। দুই পুত্র সন্তানের জনক মনির ও তার পিতা ছুট্টু মিয়া নরসিংদী জেলায় একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করত। সেখানে হঠাৎ করে মনিরের মানসিক সমস্যা হলে গত রোববার তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়। বিরামহীন বৃষ্টির কারণে ইটভাটার কাজ বন্ধ থাকায় ছুট্টু মিয়াও গত সোমবারে বাড়িতে এসে পড়েন।
সোমবার বিকেল ২টার দিকে পিতা ছুট্টু মিয়া ঘুমে অচেতন। পরিবার ও প্রতিবেশীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মনির চাহাইট (ধান থেকে চাল বের করার দেশীয় যন্ত্র) দিয়ে ঘুমন্ত বৃদ্ধ পিতার মাথায় আঘাত এলাপাতাড়ি আঘাত করে। মাথা ফেটে দ্রুত গতিতে রক্ত ঝরতে থাকে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ছুট্রু মিয়া। এ সময় স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে মনির তার মা মিনারা বেগমকেও মেরে গুরুতর আহত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ছুট্টু মিয়াকে সোমবার বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুত্রের আঘাতে আহত হয়ে মনিরের মা ও হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
পুলিশ ছুট্টু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। ওই গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, বছরে ১-২ বার মনির মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পাগলামি করে থাকে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মনিরকে তার বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করেছি। নিহতের ভাই মজিবুর রহমান (৪৫) বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করছেন। আজ মনিরকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।