শেষের পাতা
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মনোনয়ন পরিবর্তন
হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি পেলো নৌকা
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
৭ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:৫১ অপরাহ্ন
সাভারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দু’টি ইউনিয়নে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত
দুই আসামিকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিহতের স্বজন, এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে টনক নড়ে সংশ্লিষ্টদের। পরবর্তীতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম পরিবর্তন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি দলীয় প্রতীকে বহাল থাকায় শঙ্কা প্রকাশ করেছে নিহতের স্বজনরা।
জানা গেছে, আগামী ৫ই জানুয়ারি সাভার উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রস্তুতের জন্য গত ৩০শে নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সাভারের আমিনবাজার ইউনিয়ন থেকে আলোচিত ৬ ছাত্র হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা আসামি মো. আনোয়ার হোসেন এবং পাথালিয়া ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি পারভেজ দেওয়ানের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ২রা ডিসেম্বর আমিনবাজার ইউপি চেয়ারম্যানকে আদালত মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। এদিকে গত শনিবার গণভবন থেকে তাদের নামে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়। এরপরই শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে গেলে টনক নড়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের। এ ছাড়া এলাকায় বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। পরবর্তীতে এক ঘণ্টার মধ্যেই উপজেলার আমিনবাজার ইউনিয়নে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার হোসেনের নাম বাতিল করে তার স্থানে নৌকার প্রার্থী হিসেবে রাকিব হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের নয়ারহাট এলাকায় প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুর রহিমকে গুলি করে হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি পারভেজ দেওয়ানকে আবারো নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার, স্বজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০শে মার্চ আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে তৎকালীন পাথালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানের নির্দেশে ইউপি আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুর রহিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার শফিউল আলম সোহাগসহ ১৫ জন সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। পরে নিহতের ভাই যুবলীগ নেতা সুমন পণ্ডিত বাদী হয়ে চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানকে প্রধান আসামি করে ২৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলায় পুলিশ প্রধান আসামি চেয়ারম্যানসহ মূল ছয় আসামিকে বাদ দিয়েই অভিযোগপত্র দেয়। তবে অধিকতর তদন্তের পরে চেয়ারম্যানসহ সব আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলার বাদী নিহতের ভাই সুমন পণ্ডিত বলেন, আমার ভাই পাথালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে তৎকালীন পারভেজ চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষকে সমর্থন করতেন তিনি। পরে এরই জেরে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার কয়েক মাস পরই চেয়ারম্যানের লোকজন প্রকাশ্যে আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করে। তাকে আবারো নৌকার মনোনয়ন দেয়ায় আমরা পরিবারসহ এলাকার নিরীহ লোকজনেরা আতঙ্কে রয়েছি। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ জানান, ৬ ছাত্র হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও আওয়ামী লীগ কর্মী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামির বিষয়টা হয়তো মনোনয়ন বোর্ডের নজরে আসেনি। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিষয়টি নজরে আসায় সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘মনোনয়নে কাজ করছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অনুমোদন দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সংসদ সদস্যদের কোনো ভূমিকা নেই। এটা দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত।
দুই আসামিকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিহতের স্বজন, এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে টনক নড়ে সংশ্লিষ্টদের। পরবর্তীতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম পরিবর্তন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি দলীয় প্রতীকে বহাল থাকায় শঙ্কা প্রকাশ করেছে নিহতের স্বজনরা।
জানা গেছে, আগামী ৫ই জানুয়ারি সাভার উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রস্তুতের জন্য গত ৩০শে নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সাভারের আমিনবাজার ইউনিয়ন থেকে আলোচিত ৬ ছাত্র হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা আসামি মো. আনোয়ার হোসেন এবং পাথালিয়া ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি পারভেজ দেওয়ানের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ২রা ডিসেম্বর আমিনবাজার ইউপি চেয়ারম্যানকে আদালত মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। এদিকে গত শনিবার গণভবন থেকে তাদের নামে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়। এরপরই শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে গেলে টনক নড়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের। এ ছাড়া এলাকায় বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। পরবর্তীতে এক ঘণ্টার মধ্যেই উপজেলার আমিনবাজার ইউনিয়নে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার হোসেনের নাম বাতিল করে তার স্থানে নৌকার প্রার্থী হিসেবে রাকিব হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের নয়ারহাট এলাকায় প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুর রহিমকে গুলি করে হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি পারভেজ দেওয়ানকে আবারো নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার, স্বজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০শে মার্চ আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে তৎকালীন পাথালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানের নির্দেশে ইউপি আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুর রহিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার শফিউল আলম সোহাগসহ ১৫ জন সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। পরে নিহতের ভাই যুবলীগ নেতা সুমন পণ্ডিত বাদী হয়ে চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানকে প্রধান আসামি করে ২৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলায় পুলিশ প্রধান আসামি চেয়ারম্যানসহ মূল ছয় আসামিকে বাদ দিয়েই অভিযোগপত্র দেয়। তবে অধিকতর তদন্তের পরে চেয়ারম্যানসহ সব আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলার বাদী নিহতের ভাই সুমন পণ্ডিত বলেন, আমার ভাই পাথালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে তৎকালীন পারভেজ চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষকে সমর্থন করতেন তিনি। পরে এরই জেরে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার কয়েক মাস পরই চেয়ারম্যানের লোকজন প্রকাশ্যে আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করে। তাকে আবারো নৌকার মনোনয়ন দেয়ায় আমরা পরিবারসহ এলাকার নিরীহ লোকজনেরা আতঙ্কে রয়েছি। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ জানান, ৬ ছাত্র হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও আওয়ামী লীগ কর্মী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামির বিষয়টা হয়তো মনোনয়ন বোর্ডের নজরে আসেনি। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিষয়টি নজরে আসায় সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘মনোনয়নে কাজ করছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অনুমোদন দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সংসদ সদস্যদের কোনো ভূমিকা নেই। এটা দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত।