দেশ বিদেশ
আসবাবপত্র ও দেনমোহরের টাকা বুঝে নিয়ে যৌতুকের মামলা প্রত্যাহার স্ত্রীর
আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ থেকে
৭ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:২০ অপরাহ্ন
কিশোরগঞ্জে স্বামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা যৌতুকের মামলা প্রত্যাহার করতে গিয়ে দেনমোহরের টাকা বুঝে নেয়ার পাশাপাশি বিয়েতে উপহার হিসেবে দেয়া আসবাবপত্র ফেরত নিয়েছেন স্ত্রী। গতকাল কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারিক ১/১ নং আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করার আগে দেনমোহর ও ভরণপোষণের নগদ ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং বিয়েতে উপহার হিসেবে দেয়া আসবাবপত্র বুঝে নেন স্ত্রী সুরমা আক্তার তৃষা (২৪)। এজন্যে স্বামী মো. আল আমীন বিয়েতে শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া উপহার সামগ্রী আদালত প্রাঙ্গণে এনে জড়ো করে রাখেন। উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে একটি খাট, এক সেট সোফা, একটি ডাইনিং টেবিল, একটি ড্রেসিং টেবিল, একটি সো-কেস, একটি ওয়ারড্রোব, লেপ-তোষক ইত্যাদি। দেনমোহরের টাকার পাশাপাশি বিয়েতে উপহার হিসেবে দেয়া আসবাবপত্র ফেরৎ নেয়ার এ ঘটনা আদালতপাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
মামলা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের ইসলামপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল হান্নানের ছেলে মো. আল আমীনের সঙ্গে ২০১৮ সালের ২২শে ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নীলগঞ্জ রোডের বাসিন্দা মো. সাহাব উদ্দিন ভূঞার মেয়ে সুরমা আক্তার তৃষার বিয়ে হয়। বিয়েতে দেনমোহর ছিল পাঁচ লাখ টাকা। জেওর বাবদ উসুল ছিল এক লাখ টাকা। মো. আল আমীন সোনালী ব্যাংক করিমগঞ্জ শাখায় দ্বিতীয় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। গত ১৮ই আগস্ট স্ত্রী সুরমা আক্তার তৃষা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত নং-৬ এ স্বামী মো. আল আমীনের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৭ই মে স্বামী আল আমীন স্ত্রী সুরমা আক্তার তৃষার কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় আল আমীন তার স্ত্রী সুরমা আক্তার তৃষাকে গালিগালাজ করে ঘর থেকে বের করে দেন এবং যৌতুকের পাঁচ লাখ টাকা এনে দিতে না পারলে তালাক দেয়ার হুমকি দেন। এ পরিস্থিতিতে নিরুপায় হয়ে সুরমা আক্তার তৃষা পিতার বাড়িতে চলে যান এবং পরবর্তীতে মামলা দায়ের করেন। এদিকে, মামলা দায়েরের পর স্বামী মো. আল আমীন আপসের শর্তে আদালত থেকে জামিন নেন। পরে দেনমোহরের টাকা এবং বিয়েতে শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া উপহার ফেরৎ দেয়ার শর্তে উভয়পক্ষে আপস-মীমাংসা হয়। এরই সূত্র ধরে গতকাল মো. আল আমীন শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া উপহারসামগ্রী আদালত প্রাঙ্গণে এনে মেয়েপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। এছাড়া এ সময় দেনমোহর ও ভরণপোষণের নগদ চার লাখ পাঁচ হাজার টাকাও হস্তান্তর করা হয়। পরে উভয়পক্ষে খোলা তালাকের মাধ্যমে এবং আদালতে মামলা প্রত্যাহারের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত বৈবাহিক জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। মামলা প্রত্যাহারের লিখিত আবেদনে বাদী সুরমা আক্তার তৃষা উল্লেখ করেন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয়স্বজন উভয়ের মধ্যে আপস-মীমাংসা করে দিয়েছেন। আপস মোতাবেক দেনমোহর ও ভরণপোষণের চার লাখ পাঁচ হাজার টাকাসহ যাবতীয় দেনা পাওনা আসামি মো. আল আমীন পরিশোধ করেছেন বিধায় আসামির প্রতি আর কোনো অভিযোগ নেই এবং মামলাটি আর পরিচালনা করতে ইচ্ছুক নন। বৈবাহিক জীবনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির পর মো. আল আমীন জানান, যৌতুক দাবির বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ সাজানো, মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত বিবাহের পর থেকেই তাদের দুজনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এ কারণে দেনমোহরের টাকা ও বিয়ের উপহার সামগ্রী ফেরৎ পেতে তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
মামলা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের ইসলামপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল হান্নানের ছেলে মো. আল আমীনের সঙ্গে ২০১৮ সালের ২২শে ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নীলগঞ্জ রোডের বাসিন্দা মো. সাহাব উদ্দিন ভূঞার মেয়ে সুরমা আক্তার তৃষার বিয়ে হয়। বিয়েতে দেনমোহর ছিল পাঁচ লাখ টাকা। জেওর বাবদ উসুল ছিল এক লাখ টাকা। মো. আল আমীন সোনালী ব্যাংক করিমগঞ্জ শাখায় দ্বিতীয় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। গত ১৮ই আগস্ট স্ত্রী সুরমা আক্তার তৃষা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত নং-৬ এ স্বামী মো. আল আমীনের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৭ই মে স্বামী আল আমীন স্ত্রী সুরমা আক্তার তৃষার কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় আল আমীন তার স্ত্রী সুরমা আক্তার তৃষাকে গালিগালাজ করে ঘর থেকে বের করে দেন এবং যৌতুকের পাঁচ লাখ টাকা এনে দিতে না পারলে তালাক দেয়ার হুমকি দেন। এ পরিস্থিতিতে নিরুপায় হয়ে সুরমা আক্তার তৃষা পিতার বাড়িতে চলে যান এবং পরবর্তীতে মামলা দায়ের করেন। এদিকে, মামলা দায়েরের পর স্বামী মো. আল আমীন আপসের শর্তে আদালত থেকে জামিন নেন। পরে দেনমোহরের টাকা এবং বিয়েতে শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া উপহার ফেরৎ দেয়ার শর্তে উভয়পক্ষে আপস-মীমাংসা হয়। এরই সূত্র ধরে গতকাল মো. আল আমীন শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া উপহারসামগ্রী আদালত প্রাঙ্গণে এনে মেয়েপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। এছাড়া এ সময় দেনমোহর ও ভরণপোষণের নগদ চার লাখ পাঁচ হাজার টাকাও হস্তান্তর করা হয়। পরে উভয়পক্ষে খোলা তালাকের মাধ্যমে এবং আদালতে মামলা প্রত্যাহারের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত বৈবাহিক জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। মামলা প্রত্যাহারের লিখিত আবেদনে বাদী সুরমা আক্তার তৃষা উল্লেখ করেন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয়স্বজন উভয়ের মধ্যে আপস-মীমাংসা করে দিয়েছেন। আপস মোতাবেক দেনমোহর ও ভরণপোষণের চার লাখ পাঁচ হাজার টাকাসহ যাবতীয় দেনা পাওনা আসামি মো. আল আমীন পরিশোধ করেছেন বিধায় আসামির প্রতি আর কোনো অভিযোগ নেই এবং মামলাটি আর পরিচালনা করতে ইচ্ছুক নন। বৈবাহিক জীবনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির পর মো. আল আমীন জানান, যৌতুক দাবির বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ সাজানো, মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত বিবাহের পর থেকেই তাদের দুজনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এ কারণে দেনমোহরের টাকা ও বিয়ের উপহার সামগ্রী ফেরৎ পেতে তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।