খেলা

কমলাপুর টার্ফের প্রথম শিকার তপু!

স্পোর্টস রিপোর্টার

৭ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:১৫ অপরাহ্ন

শুরু থেকেই কমলাপুরের টার্ফে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস, মোহামেডানসহ বেশ কয়েকটি ক্লাব। পরবর্তীতে বাফুফের অনুরোধে মাঠ সংকটে বাধ্য হয়ে খেলছে ক্লাবগুলো। গত মৌসুমে কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফে অনুশীলন করতে গিয়ে পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন মোহামেডানের জাপানি ফুটবলার উরু নাগাতা। সেই আঘাতে তাকে মোহামেডানের সঙ্গে সম্পর্কই ছেদ করতে হয়েছে। চলমান স্বাধীনতা কাপে কমলাপুর টার্ফের শিকার বসুন্ধরা কিংসের অধিনায়ক তপু বর্মণ। প্রতিপক্ষের এক ফুটবলারের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তপু। এবারের ইনজুরিতে টার্ফের দায় দেখছেন জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডার। দলটির কোচ অস্কার ব্রুজন ভয়ে আছেন অন্যদের নিয়ে।
ঢাকায় টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বাফুফের একমাত্র অবলম্বন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। এখন সেই স্টেডিয়ামে চলছে সংস্কার কাজ। এর বাইরে ভেন্যু বলতে কমলাপুর স্টেডিয়াম। কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফ এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকটা খেলার অনুপযোগী। এই টার্ফে খেলে ফুটবলাররা চোটে পড়েন অনেক বেশি। খেলার মান ভালো হয় না। মূলত নিচের দিকের লীগগুলো এখানে হয়। শীর্ষ স্তরের কিছু ম্যাচও হয়েছে আগে। মাঠ সংকটে এবারের স্বাধীনতা কাপও অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই স্টেডিয়ামে। বিশ্বের অনেক দেশেই অধিক ব্যবহার ও বৃষ্টির মধ্যে খেলার জন্য টার্ফের মাঠ ব্যবহার করে। অন্য দেশের তুলনায় কমলাপুর টার্ফ সম্পুর্ণ ভিন্ন মনে করেন। তপু বলেন, ‘তাজিকিস্তান, ভুটানের টার্ফ অন্যরকম। সেখানার টার্ফে প্লাস্টিক কিছুটা বড় এবং কালো উপাদান আছে। আমাদের এখানে প্লাস্টিক খুবই ছোট ও টার্ফের কালো উপাদানগুলো ছিটকে যাচ্ছে।’ নিজের ইনজুরির কারণ নিয়ে এই ডিফেন্ডার বলেন, ঘাসের মাঠ হলে এত গুরুতর আহত হতাম না। এই টার্ফে পা বেঁধে যায়। পুলিশের ম্যাচে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পা বেঁধে গিয়েছিল। ফলে অ্যাঙ্কেলের উপর চাপ রাখতে না পেরে হাঁটুতে চাপ পড়ে। যে কারণে প্রতিপক্ষের এক ফুটবলারের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মাটিতে লুটিয়ে পড়ি ও ব্যথা পাই। কমলাপুর টার্ফ প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবগুলোর জন্য উপযোগী নয়। এ নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হলেও মাঠ সংকটে ক্লাবগুলো খেলতে বাধ্য হচ্ছে। নিজে অল্পতে পার পেলেও সতীর্থদের নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে বসুন্ধরার এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘সবাই সবার দলকে জেতাতে
মরিয়া। এমন টার্ফে অনেকে ব্যথা পাচ্ছে। বড় ইনজুরি না হোক সেটাই কামনা করি।’ এক মাসের মধ্যে মাঠে নামতে পারবেন না। এই সময়ের মধ্যে স্বাধীনতা কাপ শেষ হয়ে ফেডারেশন কাপ মাঝ পর্যায়ে থাকবে। বিশ্রামে থাকাবস্থায় নিজ বাসার পরিবর্তে ক্লাবেই ফিজিওর পরামর্শ নেবেন। যে কারণে চলমান স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপে তপুকে পাচ্ছে না বসুন্ধরা। তাকে ছাড়াই খেলতে হবে। তার ওপর ইরানের ডিফেন্ডার খালিদ শাফিই আগেই চোটে ছিটকে গেছেন। এই অবস্থায় রক্ষণ নিয়ে এখন বেশি ভাবতে হচ্ছে ম্যানেজমেন্টকে। দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্যের ইনজুরি নিয়ে বসুন্ধরার স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন বলেন, আমি আগেই কমলাপুরের টার্ফ নিয়ে আপত্তি করেছিলাম। এখানে খেললে ইনজুরির ঝুঁকি বাড়বে। দিন যতো গড়াচ্ছে আমার আশঙ্কা সত্যি হচ্ছে। এখন অন্যরা ইনজুরিতে না পড়লে হয়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status