বাংলারজমিন
বৃষ্টিতে তলিয়ে গেল আলু চাষীদের স্বপ্ন
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার, ৩:৪৫ অপরাহ্ন
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে আলু চাষীদের স্বপ্ন। টানা দুইদিন বৃষ্টির কারণে ডুবে গেছে আলু রোপণ করা জমিগুলো। চাষীরা বলছেন, গত দুই সপ্তাহের মধ্যে যারা আলুর বীজ রোপণ করেছিল তারা বেশ ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন।
সরজমিনে গজারিয়ার ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় আলু ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, রোপণ করা আলুর সবগুলো ক্ষেতই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রতিটি জমিতেই চাষীরা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ডুবে যাওয়া আলু তুলতে ব্যস্ত। উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের আলু চাষী জামাল মিয়া জানান, তিনি ঋণ নিয়ে দুই একর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। সবটুকুই পানিতে নিমজ্জিত।
উপজেলার শতাধিক কৃষকের ভাষ্য, ক্ষেতে অসময়ে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ার কারণে বীজ অঙ্কুরোদ্গমের আগে বীজতলার বীজ ও ফসলের মূলে পচন ধরে যাবে। এতে করে পচন ধরলে প্রতি একর ফসলের ক্ষতি দাঁড়াবে ১০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা।
গজারিয়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার আটটি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে আলুর আবাদ হয়েছে ১৪শ’১০ হেক্টর।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিসার তৌফিক আহমেদ নুর বলেন, বেশি লাভের আশায় প্রতি বছরই এ জেলায় আলুর চাষ হয়। টানা দুদিনের বৃষ্টিপাতের ফলে রোপণ করা বেশকিছু জমির বীজ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা ফসলের ক্ষয়ক্ষতির জরিপ এখনো করিনি। সপ্তাহ শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। জরিপ না করে ক্ষতি নিরূপণ করা যাবে না।’
এমন অবস্থায় (বৃষ্টি চলাকালীন) ক্ষেত থেকে আলু না তুলে এমনিতেই রেখে দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া আলুগুলো তুলেও কোনো লাভ হবে না। তুলে রেখে দিলেও সেগুলো পঁচে যাবে। বৃষ্টি কমার পর অবস্থা অনুযায়ী ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ানাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
এ দিকে এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাছে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রনয়ন করে জরুরী কৃষি পূর্নবাসনের সহায়তা নিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ডি. কৃষিবিদ পরিষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কৃষি গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকএ এইচ এম ওয়ালী উল্লাহ প্রধান।
এ সময় তিনি জানান, গত দুদিনের টানা অকাল বৃষ্টিতে আমাদের গজারিয়ার আলু চাষী কৃষক ভাইদের মহাবিপর্যয়, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। আমার নিজ গ্রাম করিমখাঁসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার কৃষকের হাজার একর সদ্য রোপনকৃত আলুর জমি আর এতে অর্থনৈতিক এবং মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত দিশেহারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকগন।
সরজমিনে গজারিয়ার ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় আলু ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, রোপণ করা আলুর সবগুলো ক্ষেতই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রতিটি জমিতেই চাষীরা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ডুবে যাওয়া আলু তুলতে ব্যস্ত। উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের আলু চাষী জামাল মিয়া জানান, তিনি ঋণ নিয়ে দুই একর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। সবটুকুই পানিতে নিমজ্জিত।
উপজেলার শতাধিক কৃষকের ভাষ্য, ক্ষেতে অসময়ে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ার কারণে বীজ অঙ্কুরোদ্গমের আগে বীজতলার বীজ ও ফসলের মূলে পচন ধরে যাবে। এতে করে পচন ধরলে প্রতি একর ফসলের ক্ষতি দাঁড়াবে ১০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা।
গজারিয়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার আটটি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে আলুর আবাদ হয়েছে ১৪শ’১০ হেক্টর।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিসার তৌফিক আহমেদ নুর বলেন, বেশি লাভের আশায় প্রতি বছরই এ জেলায় আলুর চাষ হয়। টানা দুদিনের বৃষ্টিপাতের ফলে রোপণ করা বেশকিছু জমির বীজ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা ফসলের ক্ষয়ক্ষতির জরিপ এখনো করিনি। সপ্তাহ শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। জরিপ না করে ক্ষতি নিরূপণ করা যাবে না।’
এমন অবস্থায় (বৃষ্টি চলাকালীন) ক্ষেত থেকে আলু না তুলে এমনিতেই রেখে দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া আলুগুলো তুলেও কোনো লাভ হবে না। তুলে রেখে দিলেও সেগুলো পঁচে যাবে। বৃষ্টি কমার পর অবস্থা অনুযায়ী ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ানাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
এ দিকে এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাছে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রনয়ন করে জরুরী কৃষি পূর্নবাসনের সহায়তা নিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ডি. কৃষিবিদ পরিষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কৃষি গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকএ এইচ এম ওয়ালী উল্লাহ প্রধান।
এ সময় তিনি জানান, গত দুদিনের টানা অকাল বৃষ্টিতে আমাদের গজারিয়ার আলু চাষী কৃষক ভাইদের মহাবিপর্যয়, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। আমার নিজ গ্রাম করিমখাঁসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার কৃষকের হাজার একর সদ্য রোপনকৃত আলুর জমি আর এতে অর্থনৈতিক এবং মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত দিশেহারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকগন।