প্রথম পাতা
শাহবাগে কফিন মিছিল, রামপুরায় ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন
স্টাফ রিপোর্টার ও বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার, ৯:০১ অপরাহ্ন
সড়কের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার বেলা ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে সড়কে বিদ্যমান বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের প্রতিবাদ জানান। শনিবার সড়কের অব্যবস্থাপনাকে লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। আর আজ সোমবার সড়কে নিহত নাঈম হাসান ও মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়সহ নিহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ করে নীরবতা পালন করা হবে। এ ছাড়াও কালোব্যাজ ধারণ ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। শাহবাগে সারা দেশে শর্তহীন হাফ পাস ও নিহতদের সুষ্ঠু বিচার দাবিতে কফিন মিছিল করেন শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ।
শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবিতে প্রায় তিন সপ্তাহ থেকে আন্দোলন চলছে। এরই মাঝে ২৪শে নভেম্বর সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান। আর গত সোমবার সড়কেই প্রাণ হারান একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়। এই দুই মৃত্যুর ঘটনায় হাফ পাসের আন্দোলন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলনের মুখে পরিবহন মালিকদের শর্ত সাপেক্ষে দেয়া হাফ পাস প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সারা দেশের সব মহানগরে হাফ পাসের দাবি মেনে নেন রোববার।
দুর্জয়ের মৃত্যুর পরদিন মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিনই সড়কে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে তারা সড়ক অবরোধ না করে করছেন মানববন্ধন। রোববার বেলা ১২টায় ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিজ’, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, প্রশাসন কি করে?’, দুর্নীতিবাজের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘লুটপাটের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
ব্যঙ্গচিত্রগুলোতে দেখা যায়- শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে আর প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করছেন পরিবহন মালিকরা। দুই বাসের রেষারেষি চলছে আর সড়কে ছড়িয়ে পড়ছে রক্ত, আর তাতে লেখা- ‘রক্তাক্ত শিক্ষার্থী দেহের সাথে সাথে নিথর সব স্বপ্ন।’ বাস মালিকরা তোষামোদি করছেন আর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের লাঠি উঁচিয়ে ধরে আছে পুলিশ, পুলিশ বলছে কিছু দেখিনি, শুনিনি বুঝিনি। লোকাল বাসের একটি ছবি এঁকে তাতে লেখা- লোকাল বাস মানেই জানালা আছে কাঁচ নেই, সিট আছে খালি নেই, ফ্যান আছে ঘোরে না এবং দরজা আছে লাগে না। সড়কের অব্যবস্থাপনার ছবি দিয়ে তাতে লেখা- জাতির ভবিষ্যৎ মরলে কে গড়বে সোনার বাংলা। পুলিশ লাঠি হাতে বলছে, আয়রে তোকে জাস্টিজে দিই, আমার মাথার ওপর কাহার হাত জানিস? ইত্যাদি।
আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খিলগাঁও মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া। তিনি বলেন, আমরা আমাদের যে ১১ দফা দাবি আছে তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমাদের আন্দোলন কারও বিপক্ষে না। আমাদের আনন্দোলন সবার জন্য। তবে একটা মহল অপপ্রচার চালিয়ে আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এই অপপ্রচার আমরা রুখে দেবো। আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তিনি আরও বলেন, আমরা সোমবার দুপুর ১২টায় সড়কে নাইম আর মাঈন উদ্দিনসহ যারা মারা গিয়েছে তাদের জন্য শোক প্রকাশ এবং কালো পতাকা ধারণ করবো।
এদিকে শাহবাগে সমপ্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের সুষ্ঠু বিচার, সারা দেশে শর্তহীন হাফ পাস এবং নিরাপদ সড়কসহ নয় দফা দাবিতে গতকাল রাজধানীর শাহবাগে কফিন মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে রোববার বেলা ১টার দিকে সড়কে অরাজকতা ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদস্বরূপ প্রতীকী কফিন নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। তবে পুলিশের বাধার কারণে তারা সেখানে বেশিক্ষণ অবস্থান নিতে পারেননি।
এরপরে তারা শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় রাজু ভাস্কর্যে মিছিল নিয়ে এসে জড়ো হন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ভাই কবরে খুনি কেন বাহিরে’, ‘৯ দফার সংগ্রাম চলবে চলবে’, ‘আইন করে হাফ পাস দিতে হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন। সেখানে প্রায় ২০ মিনিট অবস্থানের পর তারা সরে যান।
আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আজ সোমবার সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন ও প্রতিবাদী গানের আসর করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শাহবাগ এলাকায় শুরু থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।
শিক্ষার্থীদের অবস্থানে বাধা প্রদানের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি কামরুজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিতে চেয়েছিল। শাহবাগ রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক এবং এর পাশে দুটি মেডিকেল রয়েছে। সড়ক অবরোধ করে এখানে অবস্থান নিলে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই তাদের সেখানে অবস্থান নিতে দেয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবিতে প্রায় তিন সপ্তাহ থেকে আন্দোলন চলছে। এরই মাঝে ২৪শে নভেম্বর সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান। আর গত সোমবার সড়কেই প্রাণ হারান একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়। এই দুই মৃত্যুর ঘটনায় হাফ পাসের আন্দোলন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলনের মুখে পরিবহন মালিকদের শর্ত সাপেক্ষে দেয়া হাফ পাস প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সারা দেশের সব মহানগরে হাফ পাসের দাবি মেনে নেন রোববার।
দুর্জয়ের মৃত্যুর পরদিন মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিনই সড়কে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে তারা সড়ক অবরোধ না করে করছেন মানববন্ধন। রোববার বেলা ১২টায় ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিজ’, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, প্রশাসন কি করে?’, দুর্নীতিবাজের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘লুটপাটের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
ব্যঙ্গচিত্রগুলোতে দেখা যায়- শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে আর প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করছেন পরিবহন মালিকরা। দুই বাসের রেষারেষি চলছে আর সড়কে ছড়িয়ে পড়ছে রক্ত, আর তাতে লেখা- ‘রক্তাক্ত শিক্ষার্থী দেহের সাথে সাথে নিথর সব স্বপ্ন।’ বাস মালিকরা তোষামোদি করছেন আর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের লাঠি উঁচিয়ে ধরে আছে পুলিশ, পুলিশ বলছে কিছু দেখিনি, শুনিনি বুঝিনি। লোকাল বাসের একটি ছবি এঁকে তাতে লেখা- লোকাল বাস মানেই জানালা আছে কাঁচ নেই, সিট আছে খালি নেই, ফ্যান আছে ঘোরে না এবং দরজা আছে লাগে না। সড়কের অব্যবস্থাপনার ছবি দিয়ে তাতে লেখা- জাতির ভবিষ্যৎ মরলে কে গড়বে সোনার বাংলা। পুলিশ লাঠি হাতে বলছে, আয়রে তোকে জাস্টিজে দিই, আমার মাথার ওপর কাহার হাত জানিস? ইত্যাদি।
আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খিলগাঁও মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া। তিনি বলেন, আমরা আমাদের যে ১১ দফা দাবি আছে তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমাদের আন্দোলন কারও বিপক্ষে না। আমাদের আনন্দোলন সবার জন্য। তবে একটা মহল অপপ্রচার চালিয়ে আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এই অপপ্রচার আমরা রুখে দেবো। আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তিনি আরও বলেন, আমরা সোমবার দুপুর ১২টায় সড়কে নাইম আর মাঈন উদ্দিনসহ যারা মারা গিয়েছে তাদের জন্য শোক প্রকাশ এবং কালো পতাকা ধারণ করবো।
এদিকে শাহবাগে সমপ্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের সুষ্ঠু বিচার, সারা দেশে শর্তহীন হাফ পাস এবং নিরাপদ সড়কসহ নয় দফা দাবিতে গতকাল রাজধানীর শাহবাগে কফিন মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে রোববার বেলা ১টার দিকে সড়কে অরাজকতা ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদস্বরূপ প্রতীকী কফিন নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। তবে পুলিশের বাধার কারণে তারা সেখানে বেশিক্ষণ অবস্থান নিতে পারেননি।
এরপরে তারা শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় রাজু ভাস্কর্যে মিছিল নিয়ে এসে জড়ো হন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ভাই কবরে খুনি কেন বাহিরে’, ‘৯ দফার সংগ্রাম চলবে চলবে’, ‘আইন করে হাফ পাস দিতে হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন। সেখানে প্রায় ২০ মিনিট অবস্থানের পর তারা সরে যান।
আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আজ সোমবার সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন ও প্রতিবাদী গানের আসর করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শাহবাগ এলাকায় শুরু থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।
শিক্ষার্থীদের অবস্থানে বাধা প্রদানের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি কামরুজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিতে চেয়েছিল। শাহবাগ রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক এবং এর পাশে দুটি মেডিকেল রয়েছে। সড়ক অবরোধ করে এখানে অবস্থান নিলে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই তাদের সেখানে অবস্থান নিতে দেয়া হয়নি।