দেশ বিদেশ
‘লবণাক্ত, হাওর, পাহাড়ি জমিতে ফসল উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে’
স্টাফ রিপোর্টার
৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার, ৮:৫০ অপরাহ্ন
দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপকূলের লবণাক্ত, হাওর, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ প্রতিকূল পরিবেশে ও জমিতে ফসল উৎপাদনে সরকার এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের আমলে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জিত হয়েছে। সরকার এখন সকল মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করছে। কিন্তু ক্রমহ্রাসমান চাষযোগ্য জমি, বিপরীতে ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠী ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই বা ধরে রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। গতকাল রোববার ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনার, শোকেসিং, সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), মৃত্তিকা বিজ্ঞান সমিতি এবং প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশ সহযোগিতা এ অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা প্রদান করে। এবারের বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘লবণাক্ততা রোধ করি, মাটির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করি’। এর ওপর গুরুত্ব দিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে লবণাক্ততা একটি বড় সমস্যা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লবণাক্ত জমির পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায়, খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা স্থিতিশীল ও টেকসই রাখতে হলে উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে চাষযোগ্য জাত এবং উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ছড়িয়ে দিতে হবে। সে জন্য, আমরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা অনেক ফসলের লবণাক্ততা সহিষ্ণু উন্নত জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন। এসব জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি চাষিদের মধ্যে দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য কাজ চলছে। পরে কৃষিমন্ত্রী মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ‘সয়েল অ্যাটলাস অব বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন ও মৃত্তিকার ওপর শোকেসিং ঘুরে দেখেন।
সেমিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রায় ২৫ ভাগ এলাকা হচ্ছে উপকূলীয়। উপকূলীয় ১৮টি জেলার ৯৩টিরও বেশি উপজেলার ১০ লাখ হেক্টরেরও বেশি জমি বিভিন্ন মাত্রায় লবণাক্ততায় আক্রান্ত, যা এই এলাকার ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধির প্রধান অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত।
সেমিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রায় ২৫ ভাগ এলাকা হচ্ছে উপকূলীয়। উপকূলীয় ১৮টি জেলার ৯৩টিরও বেশি উপজেলার ১০ লাখ হেক্টরেরও বেশি জমি বিভিন্ন মাত্রায় লবণাক্ততায় আক্রান্ত, যা এই এলাকার ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধির প্রধান অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত।