বাংলারজমিন
ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করেন কর্মচারী!
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
৫ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার, ৩:২৮ অপরাহ্ন
মির্জাগঞ্জে মাতৃসদন নামে একটি ক্লিনিকে কর্মচারী দ্বারা করানো হয় প্রসূতিদের সিজারসহ বিভিন্ন অপারেশন। ওই ক্লিনিকের সমন্বয়কারী/ড্রাইভার মো. আবদুস সালাম হাওলাদারের করা সিজারিয়ান অপারেশনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সালামের বাড়ি খুলনায়। তিনি ওই ক্লিনিকে সমন্বয়কারী হিসেবে চাকরি নিয়েছেন। পাশাপাশি ক্লিনিকের মালিকের গাড়িও চালান তিনি। ভিডিওতে দেখা যায়, সিজার স্পেশালিস্ট না হয়েও তিনি একজন প্রসূতিকে এনেস্থেসিয়া ইনজেকশন পুশ করছেন। পরে অস্ত্রোপচার করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মচারী সালাম অ্যাপেন্ডিসাইটিস সহ গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন করে থাকেন।
প্রসূতি ওই পরিবারের সদস্যরা জানান, একাধিক এনেস্থেশিয়া ইনজেকশন দেয়াতে প্রায় পঙ্গু হওয়ার পথে। বিছানায় থেকে উঠার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন ওই নারী। এছাড়াও অভিযোগ পাওয়া যায়, ক্লিনিকের মালিক কর্মচারীদের মোটা অংকের বেতনের লোভ দেখিয়ে চাকরি দেয়ার পর বেতন নিয়ে করে টালবাহানা। এমনই এক ভুক্তভোগী মো. সালাম নামে এক কর্মচারী গত ৫ই ডিসেম্বর ৮ লক্ষ বকেয়া টাকা পাওয়ার দাবিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন। এতে জানা যায়, তিনি ক্লিনিকে প্যাথলজিস্ট ও ওটি ইনচার্জ হিসেবে দীর্ঘ সময় কাজ করেন। প্রতিমাসে ৩৬ হাজার টাকা বেতনে চুক্তিতে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু মাস শেষে তাকে দেয়া হতো ১৮ হাজার টাকা। বাকি টাকা চাকরি ছাড়া সময় এককালীন দেয়ার কথা। চাকরি ছাড়ার বহু দিন হলেও তাকে বকেয়া টাকা না দিয়ে উল্টো হুমকি ধামকি দিচ্ছে। সমন্বয়কারী মো. আবদুস সালাম হাওলাদারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা যা দেখছেন তা ঠিক না।
মির্জাগঞ্জ মাতৃসদন ক্লিনিকের মালিক ডা. নাঈমা কবির বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। আপনাদের যা মনে চায় লেখুন।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সিভিল সার্জনের সাথে আলাপ করা হয়েছে। আইনিগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্রসূতি ওই পরিবারের সদস্যরা জানান, একাধিক এনেস্থেশিয়া ইনজেকশন দেয়াতে প্রায় পঙ্গু হওয়ার পথে। বিছানায় থেকে উঠার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন ওই নারী। এছাড়াও অভিযোগ পাওয়া যায়, ক্লিনিকের মালিক কর্মচারীদের মোটা অংকের বেতনের লোভ দেখিয়ে চাকরি দেয়ার পর বেতন নিয়ে করে টালবাহানা। এমনই এক ভুক্তভোগী মো. সালাম নামে এক কর্মচারী গত ৫ই ডিসেম্বর ৮ লক্ষ বকেয়া টাকা পাওয়ার দাবিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন। এতে জানা যায়, তিনি ক্লিনিকে প্যাথলজিস্ট ও ওটি ইনচার্জ হিসেবে দীর্ঘ সময় কাজ করেন। প্রতিমাসে ৩৬ হাজার টাকা বেতনে চুক্তিতে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু মাস শেষে তাকে দেয়া হতো ১৮ হাজার টাকা। বাকি টাকা চাকরি ছাড়া সময় এককালীন দেয়ার কথা। চাকরি ছাড়ার বহু দিন হলেও তাকে বকেয়া টাকা না দিয়ে উল্টো হুমকি ধামকি দিচ্ছে। সমন্বয়কারী মো. আবদুস সালাম হাওলাদারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা যা দেখছেন তা ঠিক না।
মির্জাগঞ্জ মাতৃসদন ক্লিনিকের মালিক ডা. নাঈমা কবির বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। আপনাদের যা মনে চায় লেখুন।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সিভিল সার্জনের সাথে আলাপ করা হয়েছে। আইনিগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।