বিশ্বজমিন
বিচারবহির্ভূত হত্যা, তালেবানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, ২০ দেশের নিন্দা
মানবজমিন ডেস্ক
৫ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার, ৩:১৩ অপরাহ্ন
আফগানিস্তানের সাবেক নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিনা বিচারে অথবা সুষ্ঠু বিচার ছাড়াই হত্যা করার জন্য তালেবানদের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ২০টি দেশ। নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা সাবেক পুলিশ এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে অথবা জোরপূর্বক গুম করা হচ্ছে বলে রিপোর্ট আছে। শনিবার আফগান ন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোর্সেসের কমপক্ষে ৪৭ জন সদস্যকে হত্যা অথবা গুমের প্রামাণ্য রিপোর্ট প্রকাশ করে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ওই ২০টি দেশ নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের সাবেক কর্মকর্তাদের জন্য তালেবানরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু মারাত্মক এই মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সেই ঘোষণার বিপরীতে গিয়ে এই হত্যার অভিযোগে এসব দেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এতে তারা আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীতে এবং সাবেক সরকারের কর্মকর্তাদের সাধারণ ক্ষমার নীতি কার্যকর করতে তালেবানদের প্রতি আহ্বান জানান। যেসব হত্যার বিষয়ে রিপোর্ট হয়েছে তার দ্রুত এবং স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। বিবৃতি দিয়েছে যেসব দেশ তার মধ্যে অন্যতম হলো অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, বৃটেন, ইউক্রেন প্রভৃতি।
১৫ই আগস্ট তালেবানরা ক্ষমতা দখল করে। সস্ত্রীক দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ও নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। আফগানিস্তান থেকে বিদায় নেয় যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।
তারপর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে তালেবানরা। তারা বলছে, তাদের শাসন ১৯৯০এর দশকের সরকারের থেকে ভিন্ন হবে। বন্ধ হবে পাথর মেরে হত্যা, অঙ্গহানি এবং নারীশিক্ষার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। কিন্তু ক্ষমতায় বসার পর নতুন তালেবান সরকার কঠোর শাস্তি অব্যাহত রেখেছে। বিজয় অর্জনের পর তারা প্রতিশোধমূলক হত্যাকা- চালিয়েছে এমন বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তার রিপোর্টে বলেছে, তালেবানরা সাবেক সরকার বা নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্বদের শনাক্তকরণের নিবন্ধন শুরুর কয়েক দিনের মধ্যে তাদেরকে আটক করেছে এবং হত্যা করেছে অথবা জোরপূর্বক গুম করে দিয়েছে। কিন্তু আত্মীয়দের কাছে তাদের দেহ ফেরত দেয়া হয়নি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষণা বলছে, তালেবানরা গজনি, হেলমান্দ, কুন্দুজ অথবা কান্দাহার প্রদেশে আফগানিস্তানের সাবেক নিরাপত্তা রক্ষায় থাকা কমপক্ষে ১০০ সদস্যকে হত্যা বা জোরপূর্বক গুম করে দিয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি, চুরি এবং অন্য অপরাধ তদন্তের জন্য তালেবানরা একটি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু সেই কমিশন এখন পর্যন্ত এসব হত্যার বিষয়ে কোনো তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেনি।
এতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের সাবেক কর্মকর্তাদের জন্য তালেবানরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু মারাত্মক এই মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সেই ঘোষণার বিপরীতে গিয়ে এই হত্যার অভিযোগে এসব দেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এতে তারা আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীতে এবং সাবেক সরকারের কর্মকর্তাদের সাধারণ ক্ষমার নীতি কার্যকর করতে তালেবানদের প্রতি আহ্বান জানান। যেসব হত্যার বিষয়ে রিপোর্ট হয়েছে তার দ্রুত এবং স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। বিবৃতি দিয়েছে যেসব দেশ তার মধ্যে অন্যতম হলো অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, বৃটেন, ইউক্রেন প্রভৃতি।
১৫ই আগস্ট তালেবানরা ক্ষমতা দখল করে। সস্ত্রীক দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ও নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। আফগানিস্তান থেকে বিদায় নেয় যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।
তারপর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে তালেবানরা। তারা বলছে, তাদের শাসন ১৯৯০এর দশকের সরকারের থেকে ভিন্ন হবে। বন্ধ হবে পাথর মেরে হত্যা, অঙ্গহানি এবং নারীশিক্ষার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। কিন্তু ক্ষমতায় বসার পর নতুন তালেবান সরকার কঠোর শাস্তি অব্যাহত রেখেছে। বিজয় অর্জনের পর তারা প্রতিশোধমূলক হত্যাকা- চালিয়েছে এমন বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তার রিপোর্টে বলেছে, তালেবানরা সাবেক সরকার বা নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্বদের শনাক্তকরণের নিবন্ধন শুরুর কয়েক দিনের মধ্যে তাদেরকে আটক করেছে এবং হত্যা করেছে অথবা জোরপূর্বক গুম করে দিয়েছে। কিন্তু আত্মীয়দের কাছে তাদের দেহ ফেরত দেয়া হয়নি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষণা বলছে, তালেবানরা গজনি, হেলমান্দ, কুন্দুজ অথবা কান্দাহার প্রদেশে আফগানিস্তানের সাবেক নিরাপত্তা রক্ষায় থাকা কমপক্ষে ১০০ সদস্যকে হত্যা বা জোরপূর্বক গুম করে দিয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি, চুরি এবং অন্য অপরাধ তদন্তের জন্য তালেবানরা একটি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু সেই কমিশন এখন পর্যন্ত এসব হত্যার বিষয়ে কোনো তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেনি।