বিশ্বজমিন
পিটিয়ে হত্যা, অগ্নিসংযোগের বিচার নিশ্চিতের ঘোষণা ইমরান খানের, গ্রেপ্তার ২৩৫ গার্মেন্ট শ্রমিক
মানবজমিন ডেস্ক
৫ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার, ২:৩২ অপরাহ্ন
ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগে পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কার নাগরিক প্রিয়ান্থা কুমারাকে পিটিয়ে হত্যা ও দেহে আগুন ধরিয়ে দেয়ার বিষয়ে অপরাধীদের শাস্তি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ বিষয়ে তিনি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসেকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। শুক্রবার শিয়ালকোটে রাজকো ইন্ড্রাস্ট্রিজ নামের একটি গার্মেন্ট কারখানায় শ্রীলঙ্কার নাগরিক ও জেনারেল ম্যানেজার প্রিয়ান্থা কুমারাকে পিটিয়ে হত্যা করে কারখানার শ্রমিকরা।
এরপর তার দেহে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ওই গার্মেন্ট কারখানার ৯০০ কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। এরপর পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ২৩৫ জনকে। এর মধ্যে ওই ম্যানেজারকে প্রহারকারীরা এবং এ দৃশ্য ভিডিওতে ধারণকারীও আছে। নিহত প্রিয়ান্থা কুমারার মৃতদেহ শিয়ালকোট থেকে পাঠানো হয়েছে লাহোরে। তার স্ত্রী এ বিষয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
উল্লেখ্য শিয়ালকোটের ওয়াজিরাবাদ রোডে অবস্থিত ওই গার্মেন্ট কারখানা। সেখানে বিক্ষোভকারীরা প্রিয়ান্থা কুমারাকে থাপ্পর, লাথি, ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। তারা তাকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে যায়। এরই মধ্যে তিনি মারা যান। তার মৃতদেহে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এরপর ত্বরিত ব্যবস্থা নেয় স্থানীয় প্রশাসন। তারা শহরে এবং আশপাশের সামব্রিয়াল, দাসকা এবং পাসরুর গ্রামে অভিযান চালায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মূল অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন দুই অপরাধী মোহাম্মদ তালহা এবং ফারহান ইদ্রিসসহ গ্রেপ্তার করা সবাইকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে শনিবার থেকে ঘটনাস্থল রাজকো ইন্ডাস্ট্রিজ নামের গার্মেন্ট কারখানাটি বন্ধ রয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এই কারখানার শ্রমিকরা। শিয়ালকোটে অবস্থিত আল্লামা ইকবাল টিচিং হাসপাতালে নিহত প্রিয়ান্থা কুমারার লাশের ময়না তদন্ত হয়েছে। এতে তার শরীরের বেশির ভাগ এলাকা পুড়ে যাওয়া শনাক্ত করা হয়েছে। দেখা গেছে নির্যাতনে তার বৈশ কিছু হাড় ভেঙে গেছে।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) এমএনএ খাজা আসিফ শনিবার ওই গার্মেন্ট কারখানা পরিদর্শন করে ঘটনার খোঁজখবর নেন। প্রিয়ান্থা কুমারার মৃত্যুতে তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেন। শিয়ালকোট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির বাইরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা টাঙিয়ে দিয়েছেন প্রিয়ান্থা কুমারার ছবি। তাতে পরিয়ে দেয়া হয়েছে ফুলের মালা।
এ পরিস্থিতিতে মামলাটি ব্যক্তিগতভাবে মনিটরিং করছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং মুখ্যমন্ত্রী বুুজদার। তারা নৃশংস এই হত্যাকা-ে জড়িত সবাইকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন। শনিবার লাহোরে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তিনি আরো জানিয়েছেন প্রতিটি বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হচ্ছে পাকিস্তানে অবস্থিত শ্রীলঙ্কান হাই কমিশন এবং পররাষ্ট্র সচিবকে। তারা পাকিস্তানের দ্রুত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান কুরেশি। তিনি আরো বলেন, শ্রীলঙ্কান এই নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা করায় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ক্ষতি হবে না। এ অপরাধের জন্য জাতি বা দেশকে দায়ী করা যাবে না।
ওদিকে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন ইমরান খান। এ সময় হত্যাকা-ের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ক্ষোভের কথা এবং লজ্জার কথা তিনি অবহিত করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে।
এরপর তার দেহে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ওই গার্মেন্ট কারখানার ৯০০ কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। এরপর পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ২৩৫ জনকে। এর মধ্যে ওই ম্যানেজারকে প্রহারকারীরা এবং এ দৃশ্য ভিডিওতে ধারণকারীও আছে। নিহত প্রিয়ান্থা কুমারার মৃতদেহ শিয়ালকোট থেকে পাঠানো হয়েছে লাহোরে। তার স্ত্রী এ বিষয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
উল্লেখ্য শিয়ালকোটের ওয়াজিরাবাদ রোডে অবস্থিত ওই গার্মেন্ট কারখানা। সেখানে বিক্ষোভকারীরা প্রিয়ান্থা কুমারাকে থাপ্পর, লাথি, ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। তারা তাকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে যায়। এরই মধ্যে তিনি মারা যান। তার মৃতদেহে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এরপর ত্বরিত ব্যবস্থা নেয় স্থানীয় প্রশাসন। তারা শহরে এবং আশপাশের সামব্রিয়াল, দাসকা এবং পাসরুর গ্রামে অভিযান চালায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মূল অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন দুই অপরাধী মোহাম্মদ তালহা এবং ফারহান ইদ্রিসসহ গ্রেপ্তার করা সবাইকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে শনিবার থেকে ঘটনাস্থল রাজকো ইন্ডাস্ট্রিজ নামের গার্মেন্ট কারখানাটি বন্ধ রয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এই কারখানার শ্রমিকরা। শিয়ালকোটে অবস্থিত আল্লামা ইকবাল টিচিং হাসপাতালে নিহত প্রিয়ান্থা কুমারার লাশের ময়না তদন্ত হয়েছে। এতে তার শরীরের বেশির ভাগ এলাকা পুড়ে যাওয়া শনাক্ত করা হয়েছে। দেখা গেছে নির্যাতনে তার বৈশ কিছু হাড় ভেঙে গেছে।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) এমএনএ খাজা আসিফ শনিবার ওই গার্মেন্ট কারখানা পরিদর্শন করে ঘটনার খোঁজখবর নেন। প্রিয়ান্থা কুমারার মৃত্যুতে তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেন। শিয়ালকোট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির বাইরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা টাঙিয়ে দিয়েছেন প্রিয়ান্থা কুমারার ছবি। তাতে পরিয়ে দেয়া হয়েছে ফুলের মালা।
এ পরিস্থিতিতে মামলাটি ব্যক্তিগতভাবে মনিটরিং করছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং মুখ্যমন্ত্রী বুুজদার। তারা নৃশংস এই হত্যাকা-ে জড়িত সবাইকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন। শনিবার লাহোরে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তিনি আরো জানিয়েছেন প্রতিটি বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হচ্ছে পাকিস্তানে অবস্থিত শ্রীলঙ্কান হাই কমিশন এবং পররাষ্ট্র সচিবকে। তারা পাকিস্তানের দ্রুত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান কুরেশি। তিনি আরো বলেন, শ্রীলঙ্কান এই নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা করায় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ক্ষতি হবে না। এ অপরাধের জন্য জাতি বা দেশকে দায়ী করা যাবে না।
ওদিকে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন ইমরান খান। এ সময় হত্যাকা-ের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ক্ষোভের কথা এবং লজ্জার কথা তিনি অবহিত করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে।