প্রথম পাতা
ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, কফিন মিছিল আজ
লাল কার্ডে প্রতিবাদ
স্টাফ রিপোর্টার
৫ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার, ৯:৩৩ অপরাহ্ন
সড়কে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে লাল কার্ড প্রদর্শনের ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করেছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই কর্মসূচি থেকে সড়ক ব্যবস্থায় বিদ্যমান অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। এই কর্মসূচি থেকে আজ রোববার ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। কর্মসূচি শেষে জানানো হয় রোববার একই স্থানে ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে সড়ক অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ জানানো হবে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে ১১ দফা দাবির পক্ষে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া শাহবাগ এলাকায় সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে কফিন মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ।
সড়কে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবিতে প্রায় তিন সপ্তাহ থেকে আন্দোলন চলছে। এরই মাঝে ২৪শে নভেম্বর সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান। আর গত সোমবার সড়কেই প্রাণ হারান একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়। এই দুই মৃত্যুর ঘটনায় হাফ পাসের আন্দোলন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলনের মুখে পরিবহন মালিকদের শর্ত সাপেক্ষে দেয়া হাফ পাস প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দেশব্যাপী এ শর্ত মুছে দাবি মানতে হবে তাদের। সেই সঙ্গে তাদের দেয়া ১১ দফা দাবি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।
দুর্জয়ের মৃত্যুর পরদিন মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিনই সড়কে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে তারা সড়ক অবরোধ না করে করছেন মানববন্ধন। শনিবার ঘোষণা অনুযায়ী লাল কার্ড প্রদর্শনের এই কর্মসূচি বেলা ১২টায় হওয়ার কথা ছিল। আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে আসেন শিক্ষার্থীরা। সড়কের ধারে অবস্থান নিয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিজ’, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, প্রশাসন কি করে?’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খিলগাঁও মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া। লাল কার্ড প্রদর্শনের সময় তিনি বলেন, সড়কে একের পর এক মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এটা ব্যবস্থাপনার দোষ। যাতে আছে ঘুষ, লুটপাট। সড়ক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে রাষ্ট্রের যত কর্তৃপক্ষ জড়িত সবাই দুর্নীতিপরায়ণ। যার ফলে সড়কে ফিটনেসবিহীন, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি ও অপেশাদার চালক নিয়োগ পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, চালকরা অনেক কষ্টে দরিদ্রতার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করেন। দেশে সেতু বা সড়ক নির্মাণে বরাদ্দের অর্ধেক অর্থ লুটপাট হয়। আমাদের দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হলে বছর যেতে না যেতেই সেই রাস্তা ভঙ্গুর হয়ে যায়। সেখানে গাড়ি চলবে তো দূরের কথা, হাঁটার মতো অবস্থাও থাকে না।
এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচির উদ্দেশ্য সম্পর্কে সামিয়া বলেন, ফুটবল খেলার সময় খেলোয়াড়রা ভুল বা অন্যায় করলে রেফারি লাল কার্ড দেখান। আমরা রেফারির ভূমিকা পালন করছি।
আন্দোলনে সোহাগী সামিয়া তাকে নিয়ে নানা অপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে বলেন, এই যে আমার আইডি কার্ড, আমার বয়স ৩০ না। আমি তিন বাচ্চার মাও না। আমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমাকে ঘিরে অপপ্রচার করে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার একটি রাজনৈতিক পরিচয় আছে। কিন্তু আমি এখানে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে এসেছি। আমি এসেছি নিরাপদ সড়কের দাবিতে।
লাল কার্ড প্রদর্শন শেষে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে হাতিরঝিলের দিকে যান। এই শিক্ষার্থীদের পেছনে অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরাও। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই তাদের এই অবস্থান। বহিরাগতরা যাতে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে এ জন্যই এই সতর্ক অবস্থান।
সড়কে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবিতে প্রায় তিন সপ্তাহ থেকে আন্দোলন চলছে। এরই মাঝে ২৪শে নভেম্বর সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান। আর গত সোমবার সড়কেই প্রাণ হারান একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়। এই দুই মৃত্যুর ঘটনায় হাফ পাসের আন্দোলন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলনের মুখে পরিবহন মালিকদের শর্ত সাপেক্ষে দেয়া হাফ পাস প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দেশব্যাপী এ শর্ত মুছে দাবি মানতে হবে তাদের। সেই সঙ্গে তাদের দেয়া ১১ দফা দাবি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।
দুর্জয়ের মৃত্যুর পরদিন মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিনই সড়কে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে তারা সড়ক অবরোধ না করে করছেন মানববন্ধন। শনিবার ঘোষণা অনুযায়ী লাল কার্ড প্রদর্শনের এই কর্মসূচি বেলা ১২টায় হওয়ার কথা ছিল। আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে আসেন শিক্ষার্থীরা। সড়কের ধারে অবস্থান নিয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিজ’, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, প্রশাসন কি করে?’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খিলগাঁও মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া। লাল কার্ড প্রদর্শনের সময় তিনি বলেন, সড়কে একের পর এক মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এটা ব্যবস্থাপনার দোষ। যাতে আছে ঘুষ, লুটপাট। সড়ক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে রাষ্ট্রের যত কর্তৃপক্ষ জড়িত সবাই দুর্নীতিপরায়ণ। যার ফলে সড়কে ফিটনেসবিহীন, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি ও অপেশাদার চালক নিয়োগ পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, চালকরা অনেক কষ্টে দরিদ্রতার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করেন। দেশে সেতু বা সড়ক নির্মাণে বরাদ্দের অর্ধেক অর্থ লুটপাট হয়। আমাদের দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হলে বছর যেতে না যেতেই সেই রাস্তা ভঙ্গুর হয়ে যায়। সেখানে গাড়ি চলবে তো দূরের কথা, হাঁটার মতো অবস্থাও থাকে না।
এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচির উদ্দেশ্য সম্পর্কে সামিয়া বলেন, ফুটবল খেলার সময় খেলোয়াড়রা ভুল বা অন্যায় করলে রেফারি লাল কার্ড দেখান। আমরা রেফারির ভূমিকা পালন করছি।
আন্দোলনে সোহাগী সামিয়া তাকে নিয়ে নানা অপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে বলেন, এই যে আমার আইডি কার্ড, আমার বয়স ৩০ না। আমি তিন বাচ্চার মাও না। আমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমাকে ঘিরে অপপ্রচার করে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার একটি রাজনৈতিক পরিচয় আছে। কিন্তু আমি এখানে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে এসেছি। আমি এসেছি নিরাপদ সড়কের দাবিতে।
লাল কার্ড প্রদর্শন শেষে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে হাতিরঝিলের দিকে যান। এই শিক্ষার্থীদের পেছনে অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরাও। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই তাদের এই অবস্থান। বহিরাগতরা যাতে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে এ জন্যই এই সতর্ক অবস্থান।