দেশ বিদেশ
প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে হিন্দু আইন সংস্কারের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার:
৪ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার, ৮:৪৭ অপরাহ্ন
হিন্দু আইনে সম্পত্তিতে প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ। শুক্রবার আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে সংগঠনের সভাপতি ড. ময়না তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক পুলক ঘটকের পাঠানো বিবৃতিতে প্রচলিত প্রথাভিত্তিক হিন্দু আইন সংশোধনের জোর দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রচলিত হিন্দু আইনে প্রতিবন্ধীদের সম্পত্তিতে অধিকার নেই। শিশুদের প্রতিও নিষ্ঠুর বৈষম্য করা হয়েছে। স্বগোত্রীয়, সুস্থ্য ও সুলক্ষণযুক্ত ছেলে শিশুকে দত্তক নেয়ার অধিকার হিন্দু আইনে আছে। কিন্তু মেয়েশিশু অথবা কোনো প্রতিবন্ধী শিশুকে দত্তক নেয়ার অধিকার নেই। অধিকার নেই লিঙ্গবৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর। নারী সমাজকেও প্রতিবন্ধীদের কাতারে রাখা হয়েছে। নারী হয়ে জন্মালে তাকে স্বাধীন ও আত্মনির্ভর হতে দেয়া যাবে না; পুরুষের আশ্রিত হয়ে বাঁচতে হবে। একইভাবে অস্বীকার করা হয়েছে অশক্ত বা দুর্বলের আত্মনির্ভরতা। কেউ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার পাবে না। দৃষ্টি, শ্রবণ বা বাক প্রতিবন্ধী, মানসিক প্রতিবন্ধী কিংবা ক্লীব হলে সে পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত এবং নেপালসহ অন্যান্য দেশের হিন্দু আইনে সমভাবে সবার অধিকার আছে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রচলিত হিন্দু আইনে নির্মম বৈষম্য বিদ্যমান। এই আইন অমানবিক; এই আইন বদলাতে হবে। শুধু অধিকারহীনতা নয়, এই আইনের ফলে ব্যক্তির সম্মান ও মানবিক মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। মানবিক বিবেচনায় হিন্দু আইন সংস্কার করে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কল্যাণ সাধন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রাচীনকালে মনোবৈকল্য এবং কুষ্ঠ বা অন্ধত্বের মতো যেসব সমস্যাকে দুরারোগ্য ব্যাধি মনে করা হতো চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে আধুনিক যুগে সেগুলো আর দুরারোগ্য নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রচলিত হিন্দু আইনে প্রতিবন্ধীদের সম্পত্তিতে অধিকার নেই। শিশুদের প্রতিও নিষ্ঠুর বৈষম্য করা হয়েছে। স্বগোত্রীয়, সুস্থ্য ও সুলক্ষণযুক্ত ছেলে শিশুকে দত্তক নেয়ার অধিকার হিন্দু আইনে আছে। কিন্তু মেয়েশিশু অথবা কোনো প্রতিবন্ধী শিশুকে দত্তক নেয়ার অধিকার নেই। অধিকার নেই লিঙ্গবৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর। নারী সমাজকেও প্রতিবন্ধীদের কাতারে রাখা হয়েছে। নারী হয়ে জন্মালে তাকে স্বাধীন ও আত্মনির্ভর হতে দেয়া যাবে না; পুরুষের আশ্রিত হয়ে বাঁচতে হবে। একইভাবে অস্বীকার করা হয়েছে অশক্ত বা দুর্বলের আত্মনির্ভরতা। কেউ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার পাবে না। দৃষ্টি, শ্রবণ বা বাক প্রতিবন্ধী, মানসিক প্রতিবন্ধী কিংবা ক্লীব হলে সে পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত এবং নেপালসহ অন্যান্য দেশের হিন্দু আইনে সমভাবে সবার অধিকার আছে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রচলিত হিন্দু আইনে নির্মম বৈষম্য বিদ্যমান। এই আইন অমানবিক; এই আইন বদলাতে হবে। শুধু অধিকারহীনতা নয়, এই আইনের ফলে ব্যক্তির সম্মান ও মানবিক মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। মানবিক বিবেচনায় হিন্দু আইন সংস্কার করে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কল্যাণ সাধন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রাচীনকালে মনোবৈকল্য এবং কুষ্ঠ বা অন্ধত্বের মতো যেসব সমস্যাকে দুরারোগ্য ব্যাধি মনে করা হতো চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে আধুনিক যুগে সেগুলো আর দুরারোগ্য নয়।