বাংলারজমিন
পেটে গজ রেখেই সিজার, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে প্রসূতি
ফেনী প্রতিনিধি
২ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
ফেনীর ডায়াবেটিস হাসপাতালে সিজারের সময় পেটে গজ-ব্যান্ডেজ রেখে সেলাই দেয়ায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে এক নবজাতকের গর্ভধারিণী মা। আর্থিক সংকটের কারণে দীর্ঘ এক মাস ধরে মারাত্মক যন্ত্রণায় নিজ বাড়িতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন রোগী।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. রফিক-উস সালেহীন জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসূতির স্বামী মাহমুদুল হাসান জানান, শহরের শান্তি কোম্পানি এলাকার গৃহবধূ সাবরিনা আক্তারের প্রসব বেদনা নিয়ে গত ৪ঠা নভেম্বর মিজান রোডস্থ ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি হন। একপর্যায় গাইনি চিকিৎসক সায়রা শরীফা শিল্পীর পরামর্শে প্রসূতির সিজার হয়। সিজারের সময় প্রসূতির পেটে গজ ব্যান্ডেজ রেখে সেলাই করা হয়।
ভুক্তভোগীর মা নাছিমা বেগম বলেন, তার মেয়েকে নিয়ে পাঁচ দিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে বাড়িতে যাওয়ার দুই দিন পর থেকে প্রচণ্ড জ্বরসহ তলপেটে তীব্র ব্যথা এবং মূত্রনালি থেকে পুঁজ ও রক্ত বের হতে থাকে। পরবর্তী আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। আল্ট্রাসনোগ্রাফির সনোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. দেবশ্রী চক্রবর্তী রিপোর্টে এ তথ্য মিলে।
ডা. দেবশ্রি চক্রবর্তী জানান, পেটের মধ্যে রক্ত জমাট সাদৃশ্য একটি বস্তু দেখা মিলেছে। ধারণা করা হচ্ছে সিজার শেষে অপারেশনের সময় পেটে গজ ব্যান্ডেজ রয়ে গেছে। এর কারণে রোগীর জ্বর, তীব্র পেট ব্যথা ও সেলাই স্থানে পচে পুঁজ বের হওয়াসহ প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
অনলাইন পার্সেল ডেলিভারি ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান শুভ আরও জানান, তিনি তার স্ত্রীর ডেলিভারির (সিজারে) সময় প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। বর্তমানে চিকিৎসকরা ফের অপরেশন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন এবং অপরেশনে প্রচুর অর্থ লাগবে বলেও জানায়। এ মুহূর্তে তার কাছে এত অর্থ জোগান নেই বলেও তিনি জানান। চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে তিনি ওই চিকিৎসকের কঠোর শাস্তিও দাবি করেছেন।
তবে মুঠোফোনে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গাইনি চিকিৎসক ডা. সায়েরা শরীফা শিল্পী বলেন, রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিলো না। এখানে তার অপারেশনে কোন ভুল ছিল না। এটি অন্য কোন সমস্যা হতে পারে।
এদিকে চিকিৎসার প্রায় এক মাস অতিবাহিত হওয়ায় ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের কোন কর্মকর্তা বা হাসপাতালের চিকিৎসক এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সিভিল সার্জন ডা. রফিক-উস সালেহীন আরও বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত একটা অভিযোগ পেয়েছেন। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. রফিক-উস সালেহীন জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসূতির স্বামী মাহমুদুল হাসান জানান, শহরের শান্তি কোম্পানি এলাকার গৃহবধূ সাবরিনা আক্তারের প্রসব বেদনা নিয়ে গত ৪ঠা নভেম্বর মিজান রোডস্থ ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি হন। একপর্যায় গাইনি চিকিৎসক সায়রা শরীফা শিল্পীর পরামর্শে প্রসূতির সিজার হয়। সিজারের সময় প্রসূতির পেটে গজ ব্যান্ডেজ রেখে সেলাই করা হয়।
ভুক্তভোগীর মা নাছিমা বেগম বলেন, তার মেয়েকে নিয়ে পাঁচ দিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে বাড়িতে যাওয়ার দুই দিন পর থেকে প্রচণ্ড জ্বরসহ তলপেটে তীব্র ব্যথা এবং মূত্রনালি থেকে পুঁজ ও রক্ত বের হতে থাকে। পরবর্তী আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। আল্ট্রাসনোগ্রাফির সনোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. দেবশ্রী চক্রবর্তী রিপোর্টে এ তথ্য মিলে।
ডা. দেবশ্রি চক্রবর্তী জানান, পেটের মধ্যে রক্ত জমাট সাদৃশ্য একটি বস্তু দেখা মিলেছে। ধারণা করা হচ্ছে সিজার শেষে অপারেশনের সময় পেটে গজ ব্যান্ডেজ রয়ে গেছে। এর কারণে রোগীর জ্বর, তীব্র পেট ব্যথা ও সেলাই স্থানে পচে পুঁজ বের হওয়াসহ প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
অনলাইন পার্সেল ডেলিভারি ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান শুভ আরও জানান, তিনি তার স্ত্রীর ডেলিভারির (সিজারে) সময় প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। বর্তমানে চিকিৎসকরা ফের অপরেশন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন এবং অপরেশনে প্রচুর অর্থ লাগবে বলেও জানায়। এ মুহূর্তে তার কাছে এত অর্থ জোগান নেই বলেও তিনি জানান। চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে তিনি ওই চিকিৎসকের কঠোর শাস্তিও দাবি করেছেন।
তবে মুঠোফোনে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গাইনি চিকিৎসক ডা. সায়েরা শরীফা শিল্পী বলেন, রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিলো না। এখানে তার অপারেশনে কোন ভুল ছিল না। এটি অন্য কোন সমস্যা হতে পারে।
এদিকে চিকিৎসার প্রায় এক মাস অতিবাহিত হওয়ায় ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের কোন কর্মকর্তা বা হাসপাতালের চিকিৎসক এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সিভিল সার্জন ডা. রফিক-উস সালেহীন আরও বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত একটা অভিযোগ পেয়েছেন। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।