অনলাইন
ওমিক্রনের জন্য ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ভ্রমণ স্থগিত করার পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
মানবজমিন ডিজিটাল
১ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার, ১:২৫ পূর্বাহ্ন
বৃটেনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়- আজ জারি করা নতুন পরামর্শে বলা হয়েছে যে, ওমিক্রন কীভাবে আচরণ করে সেটা বোঝার জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা চলছে। এমতাবস্থায় ভ্রমণকারীদের অবশ্যই "সতর্ক থাকতে হবে"।
ডব্লিউএইচও এ ব্যাপারেও সতর্ক করেছে যে, পরিপূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের আন্তর্জাতিক বিস্তার রোধ করবে না। যুক্তরাজ্য, ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আফ্রিকার অন্যান্য অংশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর এমন ঘোষণা আসলো।
ডব্লিউএইচও-এর পরামর্শটি এরূপ:
“পরিপূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক বিস্তারকে রোধ করবে না এবং এগুলো জীবন ও জীবিকার উপর ভারী বোঝা চাপিয়ে দেয়। এছাড়াও, এসব নিষেধাজ্ঞা মহামারি সংক্রান্ত এবং 'সিকোয়েন্সিং ডেটা' রিপোর্ট ও শেয়ার করতে দেশগুলোকে নিরুৎসাহিত করার মাধ্যমে মহামারির সময় বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য প্রচেষ্টাকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
ওমিক্রন বা অন্য কোনো VOC-এর মহামারি ও ক্লিনিকাল বৈশিষ্ট্যের উপর কোনো নতুন প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থাগুলো যেন নিয়মিত পর্যালোচনা এবং আপডেট করা হয় তা সকল দেশেরই নিশ্চিত করা উচিত।
সমস্ত ভ্রমণকারীকে করোনার লক্ষণ ও উপসর্গগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে, নিজেদের পালা আসলে টিকা নেয়ার জন্য; সর্বদা জনস্বাস্থ্য এবং সামাজিক ব্যবস্থাগুলো মেনে চলার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া উচিত। টিকা নিলেও যথাযথভাবে মাস্ক ব্যবহার করা সহ, শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা, ভাল শ্বাস-প্রশ্বাসের শিষ্টাচার অনুসরণ করা এবং জনাকীর্ণ এবং দুর্বল বায়ুচলাচল স্থান এড়ানো উচিত।
যারা অসুস্থ বা গুরুতরভাবে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ও মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এবং যারা ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী বা যাদের কো-মর্বিডিটি আছে (যেমন হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিস), তাদের ভ্রমণ স্থগিত করার পরামর্শ দেয়া উচিত।"