দেশ বিদেশ
বিদেশে খালেদার চিকিৎসা দিতে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন
স্টাফ রিপোর্টার
১ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার, ৯:১৪ অপরাহ্ন
বিজয়ের মাসে এবং মানবিক কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে যেকোনো শর্তে বিদেশে চিকিৎসার জন্য ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১(১) ধারায় শাস্তি সাসপেন্ড রেখে এবং যেকোনো শর্তে বিদেশে সুচিকিৎসার অনুমতি দিতে আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। গতকাল রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর এই আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।
আবেদনে বলা হয়, বিজয়ের মাস শুরু। বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর কোনো শর্ত ছাড়াই একাধিক সাজাপ্রাপ্ত সুস্থ, অসুস্থ আসামিদের সাজা মওকুফ করে জেল থেকে মুক্ত দেয়া হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া মহিলা, বৃদ্ধ ও গুরুতর অসুস্থ হওয়ার কারণে ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১(১) ধারায় শর্তযুক্তভাবে নিজ বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৪০১(১) ধারায় শর্তবিহীন সাজা সাসপেন্ড করার বিধান আছে। তাই বিজয় দিবস উপলক্ষে মানবিক কারণে গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে যেকোনো শর্তে বা শর্তহীনভাবে বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য আমার এই আবেদন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে সংবিধান অনুচ্ছেদ ১১, ২১ ও বার কাউন্সিল রুলস-১৯৭২ এর রুল ৬২(২) ওথ অব এডভোকেট এবং বার কাউন্সিল অর্ডার ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৪৪(জি) অনুযায়ী আমার দায়িত্ব কর্তব্য ও অবলিগেশন অধিকার থাকায় এবং আমি একজন পাবলিক স্প্রিচ্যুয়াল আইনজীবী হিসেবে এই আবেদন করেছি। সংবিধানের প্রস্তাবনা, ৪৮(৩), ৪৯ অনুচ্ছেদে প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর সহিত পরামর্শ (৪৮(৩) অনুচ্ছেদ) করে যেকোনো দণ্ড মওকুফ স্থগিত বা হ্রাস করিতে পারে।
মুজিব শতবর্ষে বৃদ্ধা বয়স্কা ১ম শ্রেণির নাগরিক অসুস্থ মহিলাদের জেল থেকে মুক্তি দিলে, বঙ্গবন্ধুর আত্মাও শান্তি পাবে কারণ বঙ্গবন্ধু ক্ষমাশীল। ১৯৭১ সালে যারা অপরাধ করেছে তাদেরকেও ক্ষমা করেছিলেন। আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে মুজিব শতবর্ষে বেগম খালেদা জিয়াকেও ক্ষমা করে দিতেন। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি হলে তিনি (বঙ্গবন্ধু) যে স্বাধীনতা ঘোষণা করে গেছেন তাহা বেগম খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বিভিন্ন সময় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পরে রেডিওতে শোনা গেছে। ১৯৭১ সালে বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতার জন্যই দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানিদের হাতে কারাগারে বন্দি ছিল। স্বাধীনতার পর বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৯ বছর গণতন্ত্রের জন্য এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ২ বার প্রধানমন্ত্রী হন এবং আওয়ামী লীগও তিনবার ক্ষমতায় আসে। আর যদি বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য ঐ লড়াই না করতেন তাহলে হয়তো আওয়ামী লীগও ক্ষমতায় আসতে পারতো না। তাই বলা যায় গণতন্ত্রের জন্য দুই নেত্রীর লড়াই একইরূপ দেখা যায়।
আবেদনে বলা হয়, সমগ্র বিশ্বে মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের কারণে বিভিন্ন দেশের বন্দিদের মুক্ত করে দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, এই অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল অসুস্থ বৃদ্ধা সিনিয়র সিটিজেন মহিলাদের সংবিধানের প্রস্তাবনা, ৪৮(৩), ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দণ্ড মওকুফের জন্য জনস্বার্থে এই আরজি করছি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, যুদ্ধে সাহসিকতার ফল স্বরূপ বীর উত্তম খেতাবও পেয়েছেন। আজ যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সাহসী বীর উত্তম খেতাবধারীর স্ত্রীকে এভাবে জেলে রেখে শতবর্ষ পালন করতেন না, কারাদণ্ড হলেও মুক্তি দিয়ে শতবর্ষ হতো। ক্ষমা স্বর্গীয় জিনিস। ক্ষমা মানুষকে সম্মান দেয়, জন সমর্থনও বাড়ে।
আবেদনে আরও বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেয়া সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং অনুচ্ছেদ ১১ অনুযায়ী আইনের শাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। মহিলা বয়স্কা অসুস্থদের মুক্তি পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। ইউএন চার্টার অনুযায়ী অসুস্থ বয়স্কা মহিলা বন্দিকে মুক্তি দিলে মানবাধিকার ফিরে আসবে। বিশ্বজিত হত্যা মামলার আসামিসহ অনেক দাগি হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মুক্তি পেয়েছে। সংবিধানের প্রস্তাবনা, অনুচ্ছেদ ২৭, ২৮, ৩১, ৪৮(৩), ৪৯ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেতে পারে। বিশ্বে সব দেশেই বন্দিদের বিশেষ দিনে বন্দিদের মুক্তি দিয়ে থাকে। ঠিক সেইভাবেই মুজিব শতবর্ষে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিলে সমগ্র জাতি সরকারের এই পদক্ষেপে খুশি হবে সমগ্র বিশ্ব। বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি, সুনাম ও সমর্থন আরও বৃদ্ধি পাবে। আবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালেও ২০ জনের দণ্ড রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছে, এভাবে বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় দণ্ড মওকুফ হয়। দণ্ড মওকুফ করা সাংবিধান সম্মত, অসাংবিধানিক বা বেআইনি নয়। বিশ্বের সব দেশে আছে। ইংল্যান্ডের দণ্ড মওকুফ সরকারের পরিবর্তে রানী করে থাকে। সব দেশেই দণ্ড মওকুফের বিধান আছে এবং করছে। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর ও জনগুরুত্বপূর্ণ, তাই জনস্বার্থে যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কারও জন্য ক্ষমা চাইতে পারে। গত বছরের ১০ই মার্চ আমি আবেদন দিয়েছিলাম। পরে তার আত্মীয়-স্বজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়ার সাজা শর্ত সাপেক্ষে সাসপেন্ড করেন। একইভাবে এই আবেদন দ্বারা ওই শর্ত প্রত্যাহার করে বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য অন্য যেকোনো শর্তে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেয়ার জন্য এই আবেদন করেছি।
আবেদনে বলা হয়, বিজয়ের মাস শুরু। বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর কোনো শর্ত ছাড়াই একাধিক সাজাপ্রাপ্ত সুস্থ, অসুস্থ আসামিদের সাজা মওকুফ করে জেল থেকে মুক্ত দেয়া হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া মহিলা, বৃদ্ধ ও গুরুতর অসুস্থ হওয়ার কারণে ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১(১) ধারায় শর্তযুক্তভাবে নিজ বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৪০১(১) ধারায় শর্তবিহীন সাজা সাসপেন্ড করার বিধান আছে। তাই বিজয় দিবস উপলক্ষে মানবিক কারণে গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে যেকোনো শর্তে বা শর্তহীনভাবে বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য আমার এই আবেদন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে সংবিধান অনুচ্ছেদ ১১, ২১ ও বার কাউন্সিল রুলস-১৯৭২ এর রুল ৬২(২) ওথ অব এডভোকেট এবং বার কাউন্সিল অর্ডার ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৪৪(জি) অনুযায়ী আমার দায়িত্ব কর্তব্য ও অবলিগেশন অধিকার থাকায় এবং আমি একজন পাবলিক স্প্রিচ্যুয়াল আইনজীবী হিসেবে এই আবেদন করেছি। সংবিধানের প্রস্তাবনা, ৪৮(৩), ৪৯ অনুচ্ছেদে প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর সহিত পরামর্শ (৪৮(৩) অনুচ্ছেদ) করে যেকোনো দণ্ড মওকুফ স্থগিত বা হ্রাস করিতে পারে।
মুজিব শতবর্ষে বৃদ্ধা বয়স্কা ১ম শ্রেণির নাগরিক অসুস্থ মহিলাদের জেল থেকে মুক্তি দিলে, বঙ্গবন্ধুর আত্মাও শান্তি পাবে কারণ বঙ্গবন্ধু ক্ষমাশীল। ১৯৭১ সালে যারা অপরাধ করেছে তাদেরকেও ক্ষমা করেছিলেন। আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে মুজিব শতবর্ষে বেগম খালেদা জিয়াকেও ক্ষমা করে দিতেন। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি হলে তিনি (বঙ্গবন্ধু) যে স্বাধীনতা ঘোষণা করে গেছেন তাহা বেগম খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বিভিন্ন সময় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পরে রেডিওতে শোনা গেছে। ১৯৭১ সালে বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতার জন্যই দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানিদের হাতে কারাগারে বন্দি ছিল। স্বাধীনতার পর বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৯ বছর গণতন্ত্রের জন্য এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ২ বার প্রধানমন্ত্রী হন এবং আওয়ামী লীগও তিনবার ক্ষমতায় আসে। আর যদি বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য ঐ লড়াই না করতেন তাহলে হয়তো আওয়ামী লীগও ক্ষমতায় আসতে পারতো না। তাই বলা যায় গণতন্ত্রের জন্য দুই নেত্রীর লড়াই একইরূপ দেখা যায়।
আবেদনে বলা হয়, সমগ্র বিশ্বে মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের কারণে বিভিন্ন দেশের বন্দিদের মুক্ত করে দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, এই অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল অসুস্থ বৃদ্ধা সিনিয়র সিটিজেন মহিলাদের সংবিধানের প্রস্তাবনা, ৪৮(৩), ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দণ্ড মওকুফের জন্য জনস্বার্থে এই আরজি করছি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, যুদ্ধে সাহসিকতার ফল স্বরূপ বীর উত্তম খেতাবও পেয়েছেন। আজ যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সাহসী বীর উত্তম খেতাবধারীর স্ত্রীকে এভাবে জেলে রেখে শতবর্ষ পালন করতেন না, কারাদণ্ড হলেও মুক্তি দিয়ে শতবর্ষ হতো। ক্ষমা স্বর্গীয় জিনিস। ক্ষমা মানুষকে সম্মান দেয়, জন সমর্থনও বাড়ে।
আবেদনে আরও বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেয়া সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং অনুচ্ছেদ ১১ অনুযায়ী আইনের শাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। মহিলা বয়স্কা অসুস্থদের মুক্তি পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। ইউএন চার্টার অনুযায়ী অসুস্থ বয়স্কা মহিলা বন্দিকে মুক্তি দিলে মানবাধিকার ফিরে আসবে। বিশ্বজিত হত্যা মামলার আসামিসহ অনেক দাগি হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মুক্তি পেয়েছে। সংবিধানের প্রস্তাবনা, অনুচ্ছেদ ২৭, ২৮, ৩১, ৪৮(৩), ৪৯ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেতে পারে। বিশ্বে সব দেশেই বন্দিদের বিশেষ দিনে বন্দিদের মুক্তি দিয়ে থাকে। ঠিক সেইভাবেই মুজিব শতবর্ষে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিলে সমগ্র জাতি সরকারের এই পদক্ষেপে খুশি হবে সমগ্র বিশ্ব। বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি, সুনাম ও সমর্থন আরও বৃদ্ধি পাবে। আবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালেও ২০ জনের দণ্ড রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছে, এভাবে বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় দণ্ড মওকুফ হয়। দণ্ড মওকুফ করা সাংবিধান সম্মত, অসাংবিধানিক বা বেআইনি নয়। বিশ্বের সব দেশে আছে। ইংল্যান্ডের দণ্ড মওকুফ সরকারের পরিবর্তে রানী করে থাকে। সব দেশেই দণ্ড মওকুফের বিধান আছে এবং করছে। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর ও জনগুরুত্বপূর্ণ, তাই জনস্বার্থে যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কারও জন্য ক্ষমা চাইতে পারে। গত বছরের ১০ই মার্চ আমি আবেদন দিয়েছিলাম। পরে তার আত্মীয়-স্বজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়ার সাজা শর্ত সাপেক্ষে সাসপেন্ড করেন। একইভাবে এই আবেদন দ্বারা ওই শর্ত প্রত্যাহার করে বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য অন্য যেকোনো শর্তে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেয়ার জন্য এই আবেদন করেছি।