খেলা
তরুণদের ওপর আস্থা হারিয়েছেন মুমিনুল
স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার, ৮:১৮ অপরাহ্ন

তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসানদের বিকল্প! এমন প্রশ্ন বাংলাদেশ ক্রিকেটে বেশ কয়েক বছর ধরেই। কিন্তু তার উত্তর হয়ে আসতে পারেননি তেমন কেউই। বিশেষ করে ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকার, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, এমনকি সবশেষ সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসান। কারও ওপরই আস্থা রাখা যায়নি। যাচ্ছেও না। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট সবসময়ই তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে আসছে। তারা ভুল করলেও বার বার সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু কোনো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার একবার বাদ পড়লে ফিরে আসার নজির দেখা যায় কমই। টেস্ট ক্রিকেটেই যেমন দফায় দফায় ব্যর্থ হওয়া সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্তর মতো ব্যাটারদের জায়গায় অভিজ্ঞ কাউকে ডাকা হচ্ছে না। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের পর অধিনায়ক মুমিনুল প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তরুণদের পারফরম্যান্স নিয়ে। এমনকি তিনি তাদের বাদ দিয়ে অভিজ্ঞদেরই ফিরিয়ে আনার পক্ষে। তিনি বলেন, ‘আপনার অফিসে আপনি যদি কোনো কাজ করছেন, কিন্তু কোনো জুনিয়র কোনো কাজ করতে না পারে তাহলে ডেফিনেটলি আপনার তো মানুষ পরিবর্তন করতে হবে। যদি ওদের দিয়ে কাজ করাতে না পারেন তাহলে অভিজ্ঞদের দিয়ে কাজ করাতে হবে। আপনি যা বলছেন তার সঙ্গে একমত। কাজ না করলে অভিজ্ঞদের দিয়ে কাজ করাতে হবে। আমার কাছে মনে হয় ওভাবে চিন্তা করা উচিত।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারের পর অধিনায়ক মুমিনুল হক ক্ষোভ বলছেন জুনিয়ররা কাজে না আসলে তাদের পরিবর্তনের পক্ষে তিনি। এর কারণটাও পরিষ্কার। ৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে সাইফ হাসান এখনো পাননি কোনো ফিফটির দেখা। প্রায় প্রতি ম্যাচেই আউট হচ্ছেন দৃষ্টিকটুভাবে। নাজমুল হোসেন শান্ত ইতিমধ্যে ২টি সেঞ্চুরি তুলে নিলেও হতে পারছেন না ধারাবাহিক। দলের প্রয়োজনের সময়ও আউট হচ্ছেন প্রশ্ন জাগিয়ে। সাদমান ইসলাম তুলনামূলক ধারাবাহিক হলেও সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম টেস্টে ছিলেন ব্যর্থই। ম্যাচ সংখ্যা বিবেচনায় উল্লিখিত ৩ জনকেই মূল্যায়ন করার মতো সময় এখনো আসেনি। এরপরও পাকিস্তান বা ভারতের তরুণরা অভিষেকেই যে অবদান রাখছে তা পরিষ্কার করে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেটে পাইপলাইনের সক্ষমতা। জাতীয় দলে আসা তরুণদের ব্যাটিং ধরন, শুরুতে আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলে দেয়াকে আমলে না নিয়েও উপায় নেই। পুরো টপঅর্ডার যে ব্যর্থ হচ্ছে একইসঙ্গে। চোটের কারণে তামিম ইকবাল দলে নিয়মিত না হওয়াতেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে বিকল্প সমাধান হিসেবে অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েস বা তার সমসাময়িকদের ডাকা যেতো কিনা এ প্রশ্ন উঠেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারা ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে। টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক এ ইস্যুতে দিয়েছেন সোজা সাপ্টা উত্তর। কোনো লুকোচুরি না করেই বলেছেন জুনিয়রদের দিয়ে কাজ না হলে তাদের পরিবর্তে নতুন কাউকেই আনার পক্ষে তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াবে ৪ঠা ডিসেম্বর থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। দলে খুব বেশি পরিবর্তন আসবে কিনা তার আভাস দেননি মুমিনুল। তবে দ্বিতীয় টেস্টের আগে দুইদিনের অনুশীলনের সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। তাতে সবকিছু যে বদলে যাবে তা বিশ্বাস করেন না টাইগার কাপ্তান। বরং এই দুইদিন মানসিকভাবে শক্ত থাকাতে মনোযোগ দিতে বলছেন মুমিনুল। তার মতে, ‘এই দুদিনে অনুশীলনে খুব বেশি অর্জন করতে পারবেন না। সোজা বাংলায় যদি বলি। এই দুদিনে অত বেশি চিন্তা না করে মানসিকভাবে নিজেকে শক্ত রাখা। আর কোনো জায়গাগুলোতে কাজ করা দরকার এইগুলা নিয়ে একটু চিন্তা করা। মানসিকভাবে নিজেকে ফিট রাখা। এই বোলারদের বিপক্ষে খেলবো সেটার একটা মাইন্ডসেটআপ রাখা। মানসিকভাবে ফিট রাখতে পারলে জিনিসটা ওভারকাম করা যায়।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারের পর অধিনায়ক মুমিনুল হক ক্ষোভ বলছেন জুনিয়ররা কাজে না আসলে তাদের পরিবর্তনের পক্ষে তিনি। এর কারণটাও পরিষ্কার। ৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে সাইফ হাসান এখনো পাননি কোনো ফিফটির দেখা। প্রায় প্রতি ম্যাচেই আউট হচ্ছেন দৃষ্টিকটুভাবে। নাজমুল হোসেন শান্ত ইতিমধ্যে ২টি সেঞ্চুরি তুলে নিলেও হতে পারছেন না ধারাবাহিক। দলের প্রয়োজনের সময়ও আউট হচ্ছেন প্রশ্ন জাগিয়ে। সাদমান ইসলাম তুলনামূলক ধারাবাহিক হলেও সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম টেস্টে ছিলেন ব্যর্থই। ম্যাচ সংখ্যা বিবেচনায় উল্লিখিত ৩ জনকেই মূল্যায়ন করার মতো সময় এখনো আসেনি। এরপরও পাকিস্তান বা ভারতের তরুণরা অভিষেকেই যে অবদান রাখছে তা পরিষ্কার করে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেটে পাইপলাইনের সক্ষমতা। জাতীয় দলে আসা তরুণদের ব্যাটিং ধরন, শুরুতে আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলে দেয়াকে আমলে না নিয়েও উপায় নেই। পুরো টপঅর্ডার যে ব্যর্থ হচ্ছে একইসঙ্গে। চোটের কারণে তামিম ইকবাল দলে নিয়মিত না হওয়াতেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে বিকল্প সমাধান হিসেবে অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েস বা তার সমসাময়িকদের ডাকা যেতো কিনা এ প্রশ্ন উঠেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারা ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে। টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক এ ইস্যুতে দিয়েছেন সোজা সাপ্টা উত্তর। কোনো লুকোচুরি না করেই বলেছেন জুনিয়রদের দিয়ে কাজ না হলে তাদের পরিবর্তে নতুন কাউকেই আনার পক্ষে তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াবে ৪ঠা ডিসেম্বর থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। দলে খুব বেশি পরিবর্তন আসবে কিনা তার আভাস দেননি মুমিনুল। তবে দ্বিতীয় টেস্টের আগে দুইদিনের অনুশীলনের সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। তাতে সবকিছু যে বদলে যাবে তা বিশ্বাস করেন না টাইগার কাপ্তান। বরং এই দুইদিন মানসিকভাবে শক্ত থাকাতে মনোযোগ দিতে বলছেন মুমিনুল। তার মতে, ‘এই দুদিনে অনুশীলনে খুব বেশি অর্জন করতে পারবেন না। সোজা বাংলায় যদি বলি। এই দুদিনে অত বেশি চিন্তা না করে মানসিকভাবে নিজেকে শক্ত রাখা। আর কোনো জায়গাগুলোতে কাজ করা দরকার এইগুলা নিয়ে একটু চিন্তা করা। মানসিকভাবে নিজেকে ফিট রাখা। এই বোলারদের বিপক্ষে খেলবো সেটার একটা মাইন্ডসেটআপ রাখা। মানসিকভাবে ফিট রাখতে পারলে জিনিসটা ওভারকাম করা যায়।’