বিশ্বজমিন

যে কারণে ক্ষমা চাইলেন পাকিস্তানি মডেল সুলেহা

মানবজমিন ডেস্ক

৩০ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ১:১২ অপরাহ্ন

কর্তারপুরে অবস্থিত শিখ সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান গুরুদুয়ার দরবার সাহিবে খালি মাথায় ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন পাকিস্তানি মডেল সুলেহা। অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি এর মধ্য দিয়ে শিখ সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন। এ নিয়ে শোরগোলের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রাম থেকে ওই ছবি সরিয়ে ফেলেছেন সুলেহা। পাশাপাশি ক্ষমাও চেয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।

এতে বলা হয়, মান্নত ক্লোথিং নামের একটি পোশাকের ব্রান্ড সোমবার ইন্সটাগ্রামে তাদের পেইজে সুলেহার ফটোশুটে তোলা ছবি পোস্ট করে। এসব ছবি কর্তারপুর সাহিবে শুট করা। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নজরে পড়ে শিরোমনি আকালি দলের মুখপাত্র মানজিন্দর সিং সিরসা ও অন্যদের। তারা দেখতে পান দরবার সাহিবে ছবি শুটিং করার সময় ওই মডেলের মাথা ছিল অনাবৃত। গুরুদুয়ার দরবার সাহিবে মাথা আবৃত করে রাখা বাধ্যতামূলক।

এটা ওই স্থানের পবিত্রতার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। এ নিয়ে শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ফলে ইন্সটাগ্রামে ক্ষমা চেয়ে মডেল সুলেহা বলেছেন, তিনি আসলে কাউকে আঘাত দিতে এসব ছবি তোলেননি। তিনি কর্তারপুর সাহিব সফরে গিয়েছিলেন, তারই স্মৃতি এসব ছবি। ইন্সটাগ্রামে তিনি লিখেছেন, সম্প্রতি আমি ইন্সটাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করি, যেটা কোনো ফটোশুট বা অন্য কিছু ছিল না। কর্তারপুর এবং শিখ সম্প্রদায়ের ইতিহাস জানতে গিয়েছিলাম আমি। এসব ছবির মধ্য দিয়ে কারো অনুভূতিতে আঘাত দিতে চাইনি বা এর মধ্যে অন্য কোনো বিষয় নেই। তারপরও যদি কেউ মনে করেন এর মধ্য দিয়ে তাদেরকে আমি আহত করেছি অথবা তারা মনে করে থাকেন, তাদের সংস্কৃতিতে সম্মান দেখাইনি, তাহলে আমি দুঃখিত।

পোশাকের ওই ব্রান্ড এবং মডেল সুলেহা উভয় পক্ষই দাবি করেছেন ওই ছবি কোনো ফটোশুটের নয়। তবু সুলেহা বলেছেন, তিনি শিখদের সংস্কৃতিতে সম্মান জানান। ভবিষ্যতে বিষয়টি মনে রাখবেন এবং দায়িত্বশীল হবেন। ওদিকে শিখ মুখপাত্র সিরসার টুইটের পর এ ঘটনায় তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান পুলিশ। তারা বলেছে, এই ফটোশুটের আদ্যোপান্ত সব জানার জন্য তদন্ত করছে তারা। এ জন্য কাউকে দায়ী পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিখ সম্প্রদায়ের কাছে অবশ্যই ওই ডিজাইনার এবং মডেলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, কর্তারপুর সাহিব একটি ধর্মীয় স্থান। সেটা ছবি ধারণের স্থান নয়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status