দেশ বিদেশ
অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি টার্গেট কোটিপতি-বাড়ির মালিক
স্টাফ রিপোর্টার
৩০ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:৩৭ অপরাহ্ন
অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি করা এক চাঁদাবাজের সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তার নাম ইয়াসিন বাবু ওরফে বুলেট বাবু। বুলেট বাবুর টার্গেট হচ্ছে কোটিপতি, বাড়িওয়ালা, সরকারি চাকরিজীবী, বড় ব্যবসায়ীসহ সমাজের ধনী শ্রেণির লোকজন। বিভিন্ন ব্যক্তির মুঠোফোনে আইপি কলের মাধ্যমে লাখের নিচে টাকা না পেলে ওপরে পাঠিয়ে দেয়ার সে হুমকি দেয় কথিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বুলেট। দ্রুত ধনী হতেই আইপি নম্বর থেকে টার্গেট করা ব্যক্তিকে সন্ত্রাসী পরিচয় দিয়ে ফোন করে চাঁদা দাবি করে আসছিল সে। সম্প্রতি এমনই এক কথিত সন্ত্রাসী এবং তার সহযোগী মো. শফিকুল ইসলামকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দ্রুত ধনী হতে আইপি নম্বর থেকে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছিল এই বুলেট বাবু। বিদেশে পালিয়ে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ভাঙিয়েও করতো চাঁদাবাজি। দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভিকটিমের গতিবিধি অনুসরণ করে দেয়া হতো প্রাণনাশের হুমকি। বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে এই বুলেট বাবুর সন্ত্রাসী কলাকৌশল।
কথিত সন্ত্রাসী বুলেট বাবু টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে তটস্থ রাখতে ফোন দিয়ে বলতো, ‘বুলেট বাবু বলছি, পাঁচ লাখ টাকা লাগবে, না হলে ওপরে পাঠিয়ে দেবো।’ ফোন না ধরলে টার্গেটকৃত ব্যক্তির প্রতিদিনের গতিবিধি জানিয়ে মেসেজে একটু পরপরই হুমকি দিতো সে। এই কথিত সন্ত্রাসীর একটি অডিও রেকর্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে ভুক্তভোগী ইউসুফ শাহরিয়ার নামের এক ব্যক্তি জানান, গত ১৬ই নভেম্বর রাত পৌনে ১১টায় কথিত বুলেট বাবু তার মুঠোফোনে আইপি কলের মাধ্যমে ফোন দেয়। এ সময় ইউসুফের বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য উল্লেখ করে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। বুলেট জানায়, ভুক্তভোগী ইউসুফকে হত্যা করতে তার শত্রুপক্ষের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা পেয়েছে। হত্যা শেষে সে আরও টাকা পাবে। তাই বুলেটকে পাঁচ লাখের বেশি টাকা দিয়ে খুশি করলে ভুক্তভোগীকে হত্যা করবে না। পরবর্তীতে ইউসুফের ফোনে বিভিন্ন সময় নানান মেসেজ ও কল দিয়ে তার দৈনন্দিন চলাফেরা-গতিবিধি, তার পরিবারের অন্য সদস্যদের গতিবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় গত সপ্তাহে রাজধানীর বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেন তিনি। সাইবার সূত্র জানায়, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে বুলেটের কাছে শত শত ব্যক্তির ফোন নম্বর রয়েছে। এর মধ্যে ধনী শ্রেণির এবং অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তির ব্যক্তিগত সহযোগী, গাড়ির চালকদের সঙ্গে সখ্য তৈরি করে টার্গেটকৃত ব্যক্তির ব্যক্তিগত সব তথ্য সংগ্রহ করে বুলেট। পরবর্তীতে আইপি নম্বর থেকে ফোন করে ভাড়াটে খুনি পরিচয়ে চাঁদা দাবি করে সে। বুলেটের সহযোগী হিসেবে গ্রেপ্তারকৃত শফিকুল ছিল এক ভুক্তভোগীর গাড়িচালক। শফিকুল ইউসুফের গাড়িচালক হিসেবে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য, গতিবিধি কথিত সন্ত্রাসী বুলেট বাবুকে প্রতি মুহূর্তে প্রেরণ করতো। দাবিকৃত টাকার অংশ হিসেবে নির্দিষ্ট একটি অর্থ পেতো বুলেটের সহযোগী এবং ইউসুফের গাড়িচালক শফিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম) উপ-কমিশনার (ডিসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কাজ বেশিরভাগই ধূর্ত প্রতারকরা করে থাকে। বুলেট বাবু মূলত নিজেই তাকে কথিত শীর্ষ সন্ত্রাসী বলে পরিচয় দিতো। অল্প সময়ে দ্রুত বড়লোক হতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রতারণা এবং চাঁদাবাজি করে আসছিল এই বুলেট। সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, অপরিচিত কোনো ফোন নম্বর থেকে নিজেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয় দিয়ে ফোন দিলে আমলে না নিয়ে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি তৎক্ষণাৎ অবহিত করতে হবে।
কথিত সন্ত্রাসী বুলেট বাবু টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে তটস্থ রাখতে ফোন দিয়ে বলতো, ‘বুলেট বাবু বলছি, পাঁচ লাখ টাকা লাগবে, না হলে ওপরে পাঠিয়ে দেবো।’ ফোন না ধরলে টার্গেটকৃত ব্যক্তির প্রতিদিনের গতিবিধি জানিয়ে মেসেজে একটু পরপরই হুমকি দিতো সে। এই কথিত সন্ত্রাসীর একটি অডিও রেকর্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে ভুক্তভোগী ইউসুফ শাহরিয়ার নামের এক ব্যক্তি জানান, গত ১৬ই নভেম্বর রাত পৌনে ১১টায় কথিত বুলেট বাবু তার মুঠোফোনে আইপি কলের মাধ্যমে ফোন দেয়। এ সময় ইউসুফের বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য উল্লেখ করে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। বুলেট জানায়, ভুক্তভোগী ইউসুফকে হত্যা করতে তার শত্রুপক্ষের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা পেয়েছে। হত্যা শেষে সে আরও টাকা পাবে। তাই বুলেটকে পাঁচ লাখের বেশি টাকা দিয়ে খুশি করলে ভুক্তভোগীকে হত্যা করবে না। পরবর্তীতে ইউসুফের ফোনে বিভিন্ন সময় নানান মেসেজ ও কল দিয়ে তার দৈনন্দিন চলাফেরা-গতিবিধি, তার পরিবারের অন্য সদস্যদের গতিবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় গত সপ্তাহে রাজধানীর বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেন তিনি। সাইবার সূত্র জানায়, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে বুলেটের কাছে শত শত ব্যক্তির ফোন নম্বর রয়েছে। এর মধ্যে ধনী শ্রেণির এবং অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তির ব্যক্তিগত সহযোগী, গাড়ির চালকদের সঙ্গে সখ্য তৈরি করে টার্গেটকৃত ব্যক্তির ব্যক্তিগত সব তথ্য সংগ্রহ করে বুলেট। পরবর্তীতে আইপি নম্বর থেকে ফোন করে ভাড়াটে খুনি পরিচয়ে চাঁদা দাবি করে সে। বুলেটের সহযোগী হিসেবে গ্রেপ্তারকৃত শফিকুল ছিল এক ভুক্তভোগীর গাড়িচালক। শফিকুল ইউসুফের গাড়িচালক হিসেবে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য, গতিবিধি কথিত সন্ত্রাসী বুলেট বাবুকে প্রতি মুহূর্তে প্রেরণ করতো। দাবিকৃত টাকার অংশ হিসেবে নির্দিষ্ট একটি অর্থ পেতো বুলেটের সহযোগী এবং ইউসুফের গাড়িচালক শফিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম) উপ-কমিশনার (ডিসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কাজ বেশিরভাগই ধূর্ত প্রতারকরা করে থাকে। বুলেট বাবু মূলত নিজেই তাকে কথিত শীর্ষ সন্ত্রাসী বলে পরিচয় দিতো। অল্প সময়ে দ্রুত বড়লোক হতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রতারণা এবং চাঁদাবাজি করে আসছিল এই বুলেট। সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, অপরিচিত কোনো ফোন নম্বর থেকে নিজেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয় দিয়ে ফোন দিলে আমলে না নিয়ে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি তৎক্ষণাৎ অবহিত করতে হবে।