বাংলারজমিন
বালিয়াকান্দিতে ভোট পরবর্তী সহিংসতায় গাড়িতে আগুন, পুলিশের গুলি
বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
৩০ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:১৩ অপরাহ্ন
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গুলি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পাইককান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনজন। প্রার্থীরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম খান আকরাম (ফুটবল), ইমরুল হাসান খোকন (তালা) এবং তানজিদ হাসান (মোরগ)। গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিদ্যালয় ভবন থেকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। ফলাফলে সিরাজুল ইসলাম খান বিজয়ী হন। এ ছাড়া ইমরুল হাসান খান দ্বিতীয় ও তানজিদ হাসান তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। ফলাফল ঘোষণা করার পর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা ফলাফল মানি না বলে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে কর্মকর্তারা কক্ষের ভেতর প্রবেশ করে দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে।
এতে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা গুলি ছোড়ে। বিক্ষুদ্ধ সমর্থকেরা পুলিশের রিকুইজশন করা দুটি গাড়ি (মাহেন্দ্র) ও দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বালিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার সৈয়দ শরাফত আলী বলেন, আমরা ৭টা ৫৫ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের কথা জানতে পারি। আধাঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। দুটি মোটরসাইকেল পুরোপুরি ভস্মীভূত ও দুটি মাহেন্দ্র আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর লোকজন কেন্দ্রে হামলা চালায়। আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল পরবর্তী এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান। ঘটনার সত্যতা স্বীকার বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এতে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা গুলি ছোড়ে। বিক্ষুদ্ধ সমর্থকেরা পুলিশের রিকুইজশন করা দুটি গাড়ি (মাহেন্দ্র) ও দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বালিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার সৈয়দ শরাফত আলী বলেন, আমরা ৭টা ৫৫ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের কথা জানতে পারি। আধাঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। দুটি মোটরসাইকেল পুরোপুরি ভস্মীভূত ও দুটি মাহেন্দ্র আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর লোকজন কেন্দ্রে হামলা চালায়। আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল পরবর্তী এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান। ঘটনার সত্যতা স্বীকার বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।