প্রথম পাতা
আবরার হত্যা
রায় ঘোষণা ৮ই ডিসেম্বর
স্টাফ রিপোর্টার
২৯ নভেম্বর ২০২১, সোমবার, ৯:৩৮ অপরাহ্ন
বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় হয়নি। রায় ঘোষণার নতুন তারিখ আগামী ৮ই ডিসেম্বর (বুধবার) নির্ধারণ করেছেন বিচারক। গতকাল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় পেছানোর এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, মহামান্য বিচারক রায়ের জন্য প্রস্তুত নন বিধায় আগামী ৮ই ডিসেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেছেন। বিচারক বলেছেন, আবরার হত্যার রায় আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের দীর্ঘ শুনানিকালে এই মামলার প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় তিনি নতুন তারিখ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, আপনারা জানেন এই মামলায় ৪৬ জন সাক্ষী রয়েছেন। এ ছাড়া আসামিপক্ষে ছয়জন সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন। সর্বমোট ৫২ জনের সাক্ষ্য পর্যালোচনা করা ও রায় লেখা স্যারের (বিচারকের) জন্য সম্ভব হয়নি। তাই তিনি সময় নিয়েছেন।
২০১৯ সালের ৭ই অক্টোবর বুয়েটের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় বুয়েট শাখার ছাত্রলীগের ১৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অনেক জনকে আসামি করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে আদালতে আসেন বিচারক। এরপর বিচারক বলেন, যেহেতু এ মামলার আসামির সংখ্যা বেশি সেহেতু রায় প্রস্তুত করতে একটু সময় লাগছে। সেজন্য আজ রায় ঘোষণা করা সম্ভব হচ্ছে না। আগামী ৮ই ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করা হবে। এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামিদের সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ২২ আসামিকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আনা হয়। এরপর তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। গত ১৪ই নভেম্বর বিচারিক আদালতে রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। এর আগে আদালতে উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়। মামলায় ২৫ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছি।
নিহত আবরারের পিতা বরকত উল্লাহ বলেন, কুষ্টিয়া থেকে আমাকে আসতে হয়। আসা-যাওয়া অনেক কষ্টের। আজ রায়টা হয়ে গেলে শান্তি পেতাম। যত দ্রুত সময়ে রায়টা হয়, সেটাই প্রত্যাশা করছি। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের খুনের সঙ্গে যারা জড়িত সবার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি যেন হয়। কেউ যেন খালাস না পায়। পড়াশোনা করতে এসে কেউ নির্যাতনের শিকার না হয়। কেউ যেন হত্যা করার সাহস না পায়।
নথি থেকে যানা যায়, গত বছরের ১৫ই সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ২০১৯ সালের ১৩ই নভেম্বর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে ৬০ জন সাক্ষীর নামের তালিকা দেয়া হয়। এদের মধ্যে ৪৬ জন সাক্ষ্য দেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের পাশাপাশি আরও ৬ জনসহ মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলো- মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম। এদের মধ্যে মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম পলাতক।
বাকি ৬ জন হলো- ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এস এম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে মোস্তবা রাফিদ পলাতক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২১টি আলামত ও ৮টি জব্দ তালিকা জমা দেন। গ্রেপ্তার ২২ জনের মধ্যে ৮ জন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। চলতি বছরের ৮ই সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান অভিযোগ সংশোধনে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন গ্রহণ করে ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পুনর্গঠন করেন।
২০১৯ সালের ৭ই অক্টোবর বুয়েটের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় বুয়েট শাখার ছাত্রলীগের ১৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অনেক জনকে আসামি করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে আদালতে আসেন বিচারক। এরপর বিচারক বলেন, যেহেতু এ মামলার আসামির সংখ্যা বেশি সেহেতু রায় প্রস্তুত করতে একটু সময় লাগছে। সেজন্য আজ রায় ঘোষণা করা সম্ভব হচ্ছে না। আগামী ৮ই ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করা হবে। এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামিদের সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ২২ আসামিকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আনা হয়। এরপর তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। গত ১৪ই নভেম্বর বিচারিক আদালতে রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। এর আগে আদালতে উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়। মামলায় ২৫ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছি।
নিহত আবরারের পিতা বরকত উল্লাহ বলেন, কুষ্টিয়া থেকে আমাকে আসতে হয়। আসা-যাওয়া অনেক কষ্টের। আজ রায়টা হয়ে গেলে শান্তি পেতাম। যত দ্রুত সময়ে রায়টা হয়, সেটাই প্রত্যাশা করছি। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের খুনের সঙ্গে যারা জড়িত সবার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি যেন হয়। কেউ যেন খালাস না পায়। পড়াশোনা করতে এসে কেউ নির্যাতনের শিকার না হয়। কেউ যেন হত্যা করার সাহস না পায়।
নথি থেকে যানা যায়, গত বছরের ১৫ই সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ২০১৯ সালের ১৩ই নভেম্বর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে ৬০ জন সাক্ষীর নামের তালিকা দেয়া হয়। এদের মধ্যে ৪৬ জন সাক্ষ্য দেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের পাশাপাশি আরও ৬ জনসহ মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলো- মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম। এদের মধ্যে মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম পলাতক।
বাকি ৬ জন হলো- ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এস এম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে মোস্তবা রাফিদ পলাতক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২১টি আলামত ও ৮টি জব্দ তালিকা জমা দেন। গ্রেপ্তার ২২ জনের মধ্যে ৮ জন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। চলতি বছরের ৮ই সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান অভিযোগ সংশোধনে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন গ্রহণ করে ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পুনর্গঠন করেন।