খেলা
যেভাবে সাফল্য পেলো কম বাজেটের দল মেরিনার্স
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৯ নভেম্বর ২০২১, সোমবার, ৮:৩৩ অপরাহ্ন
কোচ মামুনুর রশিদ
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও ঢাকা আবাহনীর চেয়ে কম বাজেটের দল ছিল মেরিনার ইয়াংস। স্বল্প বাজেটের দল হলেও ঐতিহ্যবাহী দুই দলকে পেছনে ফেলে মৌসুমের সবক’টি হকি আসরের চ্যাম্পিয়ন মেরিনার্স। ক্লাব কাপের ফাইনালে তারা আবাহনীকে হারিয়ে শিরোপা জেতে। লীগে তারা শেষ ম্যাচে হারিয়েছে মোহামেডানকে। সুপার ফাইভে আবাহনীর কাছে হারলেও মোহামেডানকে হারিরে শিরোপা নিশ্চিত করে আরামবাগের দলটি। কম বাজেটের দল হলেও মেরিনার্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মূলত কোচিং স্টাফদের পরিকল্পনা, মাঠের বাইরের শৃঙ্খলা এবং খেলোয়াড়দের টিম ওয়ার্কের কারণে। শিরোপা জিতে এমনটাই জানিয়েছেন দলটির কোচ মামুনুর রশীদ।
জাতীয় দলের বেশিরভাগ তারকার জায়গা হয়েছিল ঢাকা আবাহনীতে। জাতীয় দলের সাবেক-বর্তমানদের নিয়ে দল গড়েছিল আকাশী হলুদ শিবির। জিমি-আশরাফুলদের নিয়ে শক্তিশালী দল গড়েছিল মোহামেডানও। তারকাদের দিকে নজড় না দিয়ে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে দল গড়ে মেরিনার্স। তার ফলও পেয়েছে আরামবাগের ক্লাবটি। জিমি-আশরাফুল, খোরশেদদের পেছনে ফেলে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন মেরিনার্সের সোহানুর রহমান সবুজ। ক্লাব কাপেও সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন মেরিনার্সের এই ফরোয়ার্ড। লীগে করেছেন ৩৩ গোল। মেরিনার্সের সাফল্যের পেছনে তার অবদান অনেক। আবাহনীর বিপক্ষে একমাত্র হার দেখা ম্যাচেও তিনি হ্যাটট্রিক করেছিলেন। সবুজের এই পারফরম্যান্সের পেছনে অবদান কোচ মামুনুর রশিদের। রক্ষণ থেকে তাকে অ্যাটাকিং মিডফিল্ড পজিশনে খেলিয়েছেন দেশের শীর্ষ কোচ। দেশের শীর্ষ পর্যায়ে এটি মামুনের ষষ্ঠ ট্রফি। একই মৌসুমে দুই ট্রফি জিতে তৃপ্ত এই কোচ বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে অবশ্যই দারুণ এক সময় এটি। হকিতে সামপ্রতিক সময়ে এমন কৃতিত্ব কারো নেই। আমি আমার খেলোয়াড়দের কাছে কৃতজ্ঞ, তারা মাঠে অনেক পরিশ্রম করেছে।’ সবুজ একদিকে যেমন গোল করেছেন অন্য দিকে বিপ্লব খুজুর অসংখ্য গোল সেভ করেছেন। সফল হওয়ার পেছনে দলীয় সমন্বয়কে বিশেষভাবে দেখছেন মামুন। তিনি বলেন, ‘আমার দলে সবাই সবার জায়গা থেকে দারুণ খেলেছে। এর ফলে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি।’ আগের ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে শেষ মিনিটে দুই গোল হজম করে হেরেছিল মেরিনার্স। লীগ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে শেষ ম্যাচে ড্র করলেই চলতো তাদের। আবাহনী ম্যাচের পর খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত করতেই বেশি সময় কাটিয়েছেন কোচ মামুন। তিনি বলেন, ‘আবাহনী ম্যাচের হারটি দুঃখজনক ছিল। খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। তারা সেটা কাটিয়ে উঠতে পেরে মাঠে স্বাভাবিক খেলা খেলেছে।’ মেরিনার্সের অধিনায়ক মামুনুর রহমান চয়ন বলেন, ‘ক্লাবের খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা সবাই এক লক্ষ্যে কাজ করেছি। এজন্য সফল হতে পেরেছি। সবার পরিশ্রম কাজে এসেছে।’ অন্যদলের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, আবাহনী মোহামেডানে বিশ্বের সেরা ক্রীড়া আসর অলিম্পিক গেমসের গোল্ড মেডেলিস্টরা খেলেছেন। তারপরেও তাদের পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটা আসলেই অন্যরকম। হকি পাড়ায় একটা কথা আছে যারা ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় তারা লীগ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে না, সেই রেকর্ডটাও এবার আমরা ভেঙে দেখালাম।
জাতীয় দলের বেশিরভাগ তারকার জায়গা হয়েছিল ঢাকা আবাহনীতে। জাতীয় দলের সাবেক-বর্তমানদের নিয়ে দল গড়েছিল আকাশী হলুদ শিবির। জিমি-আশরাফুলদের নিয়ে শক্তিশালী দল গড়েছিল মোহামেডানও। তারকাদের দিকে নজড় না দিয়ে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে দল গড়ে মেরিনার্স। তার ফলও পেয়েছে আরামবাগের ক্লাবটি। জিমি-আশরাফুল, খোরশেদদের পেছনে ফেলে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন মেরিনার্সের সোহানুর রহমান সবুজ। ক্লাব কাপেও সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন মেরিনার্সের এই ফরোয়ার্ড। লীগে করেছেন ৩৩ গোল। মেরিনার্সের সাফল্যের পেছনে তার অবদান অনেক। আবাহনীর বিপক্ষে একমাত্র হার দেখা ম্যাচেও তিনি হ্যাটট্রিক করেছিলেন। সবুজের এই পারফরম্যান্সের পেছনে অবদান কোচ মামুনুর রশিদের। রক্ষণ থেকে তাকে অ্যাটাকিং মিডফিল্ড পজিশনে খেলিয়েছেন দেশের শীর্ষ কোচ। দেশের শীর্ষ পর্যায়ে এটি মামুনের ষষ্ঠ ট্রফি। একই মৌসুমে দুই ট্রফি জিতে তৃপ্ত এই কোচ বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে অবশ্যই দারুণ এক সময় এটি। হকিতে সামপ্রতিক সময়ে এমন কৃতিত্ব কারো নেই। আমি আমার খেলোয়াড়দের কাছে কৃতজ্ঞ, তারা মাঠে অনেক পরিশ্রম করেছে।’ সবুজ একদিকে যেমন গোল করেছেন অন্য দিকে বিপ্লব খুজুর অসংখ্য গোল সেভ করেছেন। সফল হওয়ার পেছনে দলীয় সমন্বয়কে বিশেষভাবে দেখছেন মামুন। তিনি বলেন, ‘আমার দলে সবাই সবার জায়গা থেকে দারুণ খেলেছে। এর ফলে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি।’ আগের ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে শেষ মিনিটে দুই গোল হজম করে হেরেছিল মেরিনার্স। লীগ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে শেষ ম্যাচে ড্র করলেই চলতো তাদের। আবাহনী ম্যাচের পর খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত করতেই বেশি সময় কাটিয়েছেন কোচ মামুন। তিনি বলেন, ‘আবাহনী ম্যাচের হারটি দুঃখজনক ছিল। খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। তারা সেটা কাটিয়ে উঠতে পেরে মাঠে স্বাভাবিক খেলা খেলেছে।’ মেরিনার্সের অধিনায়ক মামুনুর রহমান চয়ন বলেন, ‘ক্লাবের খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা সবাই এক লক্ষ্যে কাজ করেছি। এজন্য সফল হতে পেরেছি। সবার পরিশ্রম কাজে এসেছে।’ অন্যদলের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, আবাহনী মোহামেডানে বিশ্বের সেরা ক্রীড়া আসর অলিম্পিক গেমসের গোল্ড মেডেলিস্টরা খেলেছেন। তারপরেও তাদের পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটা আসলেই অন্যরকম। হকি পাড়ায় একটা কথা আছে যারা ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় তারা লীগ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে না, সেই রেকর্ডটাও এবার আমরা ভেঙে দেখালাম।