দেশ বিদেশ
পিকআপের ধাক্কায় নিহত দুই
ওমরাহ করতে যাওয়া হলো না বউ-শাশুড়ির
স্টাফ রিপোর্টার
২০২১-১১-২৮
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ছয় বছরের এক শিশু। নিহতরা হলেন- মৌসুমী আক্তার (২৭) ও শাশুড়ি রূপবানু (৬০)। মৌসুমীর মেয়ে মোহনা আক্তার আহত হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় মৌসুমীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর দুইটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। আর ঘটনাস্থলের পাশের একটি হাসপাতালে রূপবানু (৬০) নিহত হন। নিহত মৌসুমীর দেবর হাবিবুর রহমান বলেন, আমার মা ও ভাবী দুজনই সৌদি আরবে ওমরাহ করতে যাবেন। এ জন্য তারা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য গিয়েছিলেন। করোনা টিকা নিয়ে তারা সিএনজি করে বাসায় ফিরছিলেন। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ হাসনাবাদে এসে সিএনজি থেকে নেমে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি পিকআপভ্যান তাদেরকে ধাক্কা দেয়। এতে মা-ভাবী ও আমার ভাতিজি আহত হন। পরে সেখান থেকে তাদের তিনজনকেই একটি স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই হাসপাতালে আমার মা মারা যান। পরে ভাবীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানে ভাবীও মারা যান। আর আমার ভাতিজি মোহনা আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের বাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নোয়াদ্দা গ্রামে। আমার ভাই মোহন মিয়ার স্ত্রী নিহত মৌসুমী। ভাবীর গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার মাসদাইর গ্রামে। ভাবীর আরও দুই বোন ও এক ভাই আছে। বোনদের মধ্যে বড় ছিলেন ভাবী। মোহনাই তার একমাত্র কন্যা সন্তান।
আক্ষেপ করে হাবিব বলেন, মা ও ভাবীর আর ওমরাহ করতে যাওয়া হলো না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৌসুমী আক্তার নামে এক নারীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে তিনি মারা যান। তার শাশুড়িও ঘটনাস্থলে মারা গেছেন।
আক্ষেপ করে হাবিব বলেন, মা ও ভাবীর আর ওমরাহ করতে যাওয়া হলো না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৌসুমী আক্তার নামে এক নারীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে তিনি মারা যান। তার শাশুড়িও ঘটনাস্থলে মারা গেছেন।