অনলাইন
লিথিয়ামের সন্ধানে আফগান মাটিতে চীনা বিশেষজ্ঞ দল
মানবজমিন ডিজিটাল
২৫ নভেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৪:১৪ অপরাহ্ন
চীনের নজর এবার আফগান খনিজের দিকে। বুধবার চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি চীনা কোম্পানি ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানে লিথিয়াম ভান্ডারের সন্ধান পেয়েছে। আর তাই বহুমুল্য লিথিয়াম ধাতুর সন্ধান শুরু করতে "অন-সাইট পরিদর্শন" শুরু করেছে চীনা বিশেষজ্ঞ দল। এবিষয়ে তালেবানদের কাছ থেকে তারা সবুজ সংকেত পেয়ে গেছে বলেও দাবি চীনা সংবাদমাধ্যমের। লিথিয়াম আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদগুলির একটি যা প্রচুর পরিমাণে দেশের মাটিতে জমা রয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং পরিকাঠামোর অভাবের কারণে তা অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। একটি চীনা কোম্পানি এক দশকেরও বেশি আগে আফগানিস্তানের আয়নকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তামার খনির ওপর নিজেদের অধিকার সুরক্ষিত কায়েম করেছিল , কিন্তু এখনও উত্তোলনের কাজ শুরু করেনি। ব্যাটারি নির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ হচ্ছে লিথিয়াম। যানবাহন, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ ইত্যাদিতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। ফলে এই পদার্থের গুরুত্ব অপরিসীম। চীনা ব্যবসায়ীদের উদ্ধৃতি তুলে কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বেশ কয়েকটি চীনা কোম্পানির প্রতিনিধিরা বিশেষ ভিসায় আফগানিস্তানে এসেছেন এবং সম্ভাব্য লিথিয়াম প্রকল্পের সাইট পরিদর্শন করছেন। ''আফগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কাবুলে অবস্থিত চায়না আরব ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড প্রমোশন কমিটি এবং আফগানিস্তানের খনি মন্ত্রকের মধ্যে সমন্বয়ের পর নভেম্বরের শুরুতে ভিসাগুলি দেয়া হয়েছিল চীনা কোম্পানির প্রতিনিধিদের, জানান চীনের বাণিজ্য উন্নয়ন কমিটির প্রধান ইউ মিনঝুই। আফগানিস্তানে উপস্থিত পাঁচটি চীনা কোম্পানি ছাড়াও, আরও কমপক্ষে ২০ টি সরকারি এবং বেসরকারী সংস্থা লিথিয়াম প্রকল্প সম্পর্কে অনুসন্ধান করছে বলে জানিয়েছেন ইউ মিনঝুই। মিঃ ইউ বলেছেন যে, কোম্পানির প্রতিনিধিরা আফগানিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও তারা চীনা বিনিয়োগকারীদের প্রতি তালেবানের বন্ধুত্বের প্রশংসা করেছেন। তালেবান সরকার বলেছে যে, তারা চীনা বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে সমর্থন করবে। বর্তমানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি, খাদ্য ঘাটতি সহ একটি ভয়ানক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান। চীনা গণমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চল থেকে এক হাজার টন মানবিক সাহায্য বহনকারী একটি ট্রেন আফগানিস্তানে পাঠানো হয়েছে। চীন চেম্বার অফ কমার্সের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝো শিজিয়ান সংবাদপত্রকে বলেছেন, "আফগানিস্তানে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে, লাভ ক্ষতির মূল্যনির্ধারণ করা অসম্ভব।" গত মাসে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দোহায় আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গনি বারাদারের সাথে দেখা করেছিলেন, যিনি বেইজিংকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন যে "চীনের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি বজায় রাখতে তালেবানরা বদ্ধপরিকর। "
সূত্র : দ্য হিন্দু
সূত্র : দ্য হিন্দু