ভাসানচরের পথে কক্সবাজার ছাড়লো আরও ২৬০ রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সপ্তম দফার প্রথম যাত্রা হিসেবে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন রোহিঙ্গারা। গতকাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে ছয়টি বাসে ২৬০ জন রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের নেভাল ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সঙ্গে একটি খালি বাসও পাঠানো হয়। সেই হিসেবে সাতটি বাস বিশেষ নিরাপত্তায় চট্টগ্রামের পথে রয়েছে। গত এপ্রিলে বর্ষায় যাত্রা স্থগিত করার পর ইউএনএইচসিআর ও সরকারের মাঝে ভাসানচরে শরণার্থী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হওয়ার পর গতকাল প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা যাত্রা শুরু হয়েছে। এ দফায় প্রায় দেড় হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, ভাসানচরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে সরঞ্জামসহ সপরিবারে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসতে থাকে রোহিঙ্গারা। গতকাল সকালেও আসে অনেকে। সকল প্রক্রিয়া শেষ করে ১০টার দিকে বাসে ওঠা শুরু করে রোহিঙ্গারা। এরপর সোয়া ১১টার দিকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের পথে রওনা দেয়া হয়। আজ সারাদিনে হাজার দেড়েক রোহিঙ্গা যাত্রার পর রাতে চট্টগ্রামের বিএন শাহীন কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্পে পৌঁছাবে। সেখান থেকে পরের দিন নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ভাসানচরে যাওয়াার প্রস্তুতি রয়েছে। কক্সবাজার ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সপ্তম দফায় প্রথম দলের রোহিঙ্গাদের একটি অংশ উখিয়া থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে সকালে রওনা দিয়েছে। সারাদিনের যাত্রা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে মোট কতজন এবারে ভাসানচর যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ছয় দফায় প্রায় ১৯ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হয়। এ ছাড়া গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়েছে।