অনলাইন
আইনস্টাইনের বিরল পাণ্ডুলিপির দাম উঠলো ১৩ মিলিয়ন ডলার
মানবজমিন ডিজিটাল
২৪ নভেম্বর ২০২১, বুধবার, ৬:৩০ অপরাহ্ন
আলবার্ট আইনস্টাইনের থিয়োরি অব রিলেটিভিটির উৎস যে পাণ্ডুলিপি এবার তা বিক্রি হলো অবাক দামে! ৫৪ পাতার ওই পাণ্ডুলিপিটি ঘিরে নিলামের শুরু থেকেই কৌতূহল ছিল। মনে করা হচ্ছিল- সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলারের মতো দাম উঠতে পারে ওই পাণ্ডুলিপির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই আন্দাজকে একেবারেই ভুল প্রমাণ করে তা বিক্রি হলো ১৩ মিলিয়ন ডলারে!
অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৯৬ কোটি ৭৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকায়। বৃটিশ নিলাম সংস্থা ‘ক্রিস্টিজ’ অবশ্য জানিয়েছে, কে ওই পাণ্ডুলিপিটি কিনলেন তা গোপন রাখা হয়েছে। ৫৪ পৃষ্ঠার পাণ্ডুলিপিটির পুরোটাই হাতে লেখা। যার মধ্যে ২৬ পাতা ধরে লিখেছিলেন আইনস্টাইন। ১৯১৩ সালের জুনে, জুরিখে বসে। আর ২৫ পাতাজুড়ে লিখেছিলেন তার অকৃত্রিম বন্ধু সুইৎজারল্যান্ডের প্রযুক্তিবিদ মিশেল বেসো।
সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ নিয়ে সেই সময় জুরিখে আইনস্টাইনের সঙ্গে বসে যিনি নানা গাণিতিক সমস্যার জট খোলার নেশায় বুঁদ হয়ে ছিলেন।
কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই পাণ্ডুলিপি?
ক্রিস্টিজ জানাচ্ছে, আইনস্টাইন তার কাজের প্রাথমিক খসড়া আলাদা করে সংরক্ষণ করতেন না। কাজ মিটলেই সেটির অবস্থান হত বাজে কাগজের ঝুড়িতে। এই পাণ্ডুলিপিটিরও সেই অবস্থাই হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে মহাকর্ষ সম্পর্কে চিরকালীন ধারণাকে আমূল বদলে দেবে যে তত্ত্ব, তারই আগাম গবেষণার সাক্ষী হিসেবে ওই ৫৪ পাতার পাণ্ডুলিপিটির গুরুত্ব অপরিসীম। ক্রিস্টিজের দাবি, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নথি। আইনস্টাইনের লেখা আর কোনও পাণ্ডুলিপির এতটা দর ওঠেনি এর আগে।
ক্রিস্টি'স এর অনলাইনে শেয়ার করা একটি সাক্ষাত্কারে পদার্থবিদ এতিয়েন ক্লেইন বলেন, পাণ্ডুলিপিটি প্রমাণ করে যে, আইনস্টাইনের আবিষ্কার রাতারাতি জন্মগ্রহণ করেনি, বরং এটি একটি বছরব্যাপী প্রক্রিয়ার উপসংহার। ১৯১৫-র নভেম্বরে প্রকাশিত হয় আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্ব ।
সূত্র : nbcnews.com
অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৯৬ কোটি ৭৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকায়। বৃটিশ নিলাম সংস্থা ‘ক্রিস্টিজ’ অবশ্য জানিয়েছে, কে ওই পাণ্ডুলিপিটি কিনলেন তা গোপন রাখা হয়েছে। ৫৪ পৃষ্ঠার পাণ্ডুলিপিটির পুরোটাই হাতে লেখা। যার মধ্যে ২৬ পাতা ধরে লিখেছিলেন আইনস্টাইন। ১৯১৩ সালের জুনে, জুরিখে বসে। আর ২৫ পাতাজুড়ে লিখেছিলেন তার অকৃত্রিম বন্ধু সুইৎজারল্যান্ডের প্রযুক্তিবিদ মিশেল বেসো।
সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ নিয়ে সেই সময় জুরিখে আইনস্টাইনের সঙ্গে বসে যিনি নানা গাণিতিক সমস্যার জট খোলার নেশায় বুঁদ হয়ে ছিলেন।
কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই পাণ্ডুলিপি?
ক্রিস্টিজ জানাচ্ছে, আইনস্টাইন তার কাজের প্রাথমিক খসড়া আলাদা করে সংরক্ষণ করতেন না। কাজ মিটলেই সেটির অবস্থান হত বাজে কাগজের ঝুড়িতে। এই পাণ্ডুলিপিটিরও সেই অবস্থাই হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে মহাকর্ষ সম্পর্কে চিরকালীন ধারণাকে আমূল বদলে দেবে যে তত্ত্ব, তারই আগাম গবেষণার সাক্ষী হিসেবে ওই ৫৪ পাতার পাণ্ডুলিপিটির গুরুত্ব অপরিসীম। ক্রিস্টিজের দাবি, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নথি। আইনস্টাইনের লেখা আর কোনও পাণ্ডুলিপির এতটা দর ওঠেনি এর আগে।
ক্রিস্টি'স এর অনলাইনে শেয়ার করা একটি সাক্ষাত্কারে পদার্থবিদ এতিয়েন ক্লেইন বলেন, পাণ্ডুলিপিটি প্রমাণ করে যে, আইনস্টাইনের আবিষ্কার রাতারাতি জন্মগ্রহণ করেনি, বরং এটি একটি বছরব্যাপী প্রক্রিয়ার উপসংহার। ১৯১৫-র নভেম্বরে প্রকাশিত হয় আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্ব ।
সূত্র : nbcnews.com