বিশ্বজমিন

গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তনে মহাকাশযান পাঠালো নাসা

মানবজমিন ডেস্ক

২৪ নভেম্বর ২০২১, বুধবার, ৬:২১ অপরাহ্ন

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা একটি গ্রহাণুর যাত্রাপথ পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে মহাকাশযান পাঠিয়েছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। একে সায়েন্স ফিকশন মনে হলেও ডার্ট নামের মহাকাশযানটি এরইমধ্যে যাত্রা শুরু করেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার স্পেস ফোর্স বেজ থেকে স্পেসএক্সের এই রকেট স্থানীয় সময় মঙ্গলবার উৎক্ষেপিত হয়। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, ডাইমফোর্স নামের এক গ্রহাণুর উপরে গিয়ে আছড়ে পড়া। এটি ১৬০ মিটার প্রশস্থ। এটি আবার ডিডিমোস নামের আরেকটি বড় গ্রহাণুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। দুটি গ্রহাণু একসঙ্গে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। ২০২২ সালের শেষের দিকে ডাইমফোর্সের উপরে বিস্ফোরিত হবে ডার্ট রকেটটি। তখন জানা যাবে, এ ধরণের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রহাণুর পথ পরিবর্তন করা সম্ভব কিনা।
আঘাত হানার সময় গ্রহাণু দুটি পৃথিবী থেকে ১ কোটি ১০ লাখ কিলোমিটার দূরে থাকবে। এটিই মানুষের প্রথম পরীক্ষা - যেখানে পৃথিবীকে রক্ষার উদ্দেশ্যে একটি গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করা হবে। ১৬০ মিটার চওড়া কোন গ্রহাণু যদি পৃথিবীতে বিস্ফোরিত হয় সেটা হবে একটি পারমাণবিক বোমার চাইতেও বহুগুণ বেশি ভয়ংকর। এতে জনবসতি আছে এমন এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হবে এবং হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে।
যদিও বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, ডাইমর্ফোস নামে যে গ্রহাণুটির ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে - তা এখন পৃথিবীর প্রতি কোন হুমকি নয়। নাসার 'প্ল্যানেটরি ডিফেন্স' সংক্রান্ত সমন্বয়কারীর দফতরের কেলি ফাস্ট বলছেন, ডার্ট দিয়ে আঘাত হেনে ডাইমর্ফোসের গতিবেগ বা পথে যতটুকু পরিবর্তন করা যাবে তা হবে খুবই সামান্য। কিন্তু একটা গ্রহাণুকে আঘাতের আগেই যদি চিহ্নিত করা যায়, তাহলে তা এড়ানোর জন্য ওইটুকু পরিবর্তনই যথেষ্ট। এই মিশনে ব্যয় হচ্ছে ৩২ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status