খেলা
আইসিসিকে নিগার সুলতানা
মাছ ধরার জাল দিয়েও অনুশীলন করতে হয়েছে টাইগ্রেস অধিনায়ককে
স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ নভেম্বর ২০২১, বুধবার, ৮:৪৬ অপরাহ্ন
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর প্রায় ২০ মাস কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। চলতি মাসেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফেরেন নারী ক্রিকেটাররা। এরপর নতুন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে পাকিস্তানকে হারিয়ে শুভসূচনা করে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে শেষ ওভারে ৩ উইকেটের নাটকীয় জয়ের পর মাঠেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বাংলাদেশ। ‘আমরা করবো জয়’ গান গেয়ে পাকিস্তান বধের উদযাপন করেন নিগার-সালমারা। দারুণ এই জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বাংলাদেশ খেলতে চায় প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আইসিসির সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এই স্বপ্নের কথাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
অভিজ্ঞ জাহানারা আলম, সালমা খাতুন ও রুমানা আহমেদকে পেছনে ফেলে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগ মুহূর্তে হুট করে অধিনায়ক করা হয় নিগার সুলতানা জ্যোতিকে। ২৪ বছর বয়সী উইকেটকিপার-ব্যাটার শুরুতেই ব্যাখ্যা দেন পাকিস্তান বধের পর গান গেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার কারণ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা করবো জয়- মানে হলো আমরা জিততে যাচ্ছি এবং আমরা জিতবো। এটা আমাদের ভালো করার সাহস ও আত্মবিশ্বাস দেয়। এটা বিশেষ কিছু।’ করোনাভাইরাস মহামারিতে মেয়েদের ক্রিকেট একপ্রকার নির্বাসিত ছিল। সেই সময়ও নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিয়েছেন খেলোয়াড়রা। নিগার সুলতানা বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আমরা আসলে ঘরে বসেছিলাম। প্রথম দুই তিন মাস আমাদের জন্য কঠিন ছিল, কারণ এতে আমরা অভ্যস্ত ছিলাম না। আমাদের কয়েকজন খেলোয়াড় বলছিল, তাদের বাবা-মায়েরা নেটে বল ছুড়ে সাহায্য করছে। আমার বাবাও নেট আনলেন, সেটা ছিল মাছ ধরার জাল। কারণ, মহামারির কারণে তখন বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তিনি আমাকে বল ছুড়েছেন এবং বল গার্ল ছিলেন আমার মা।’
যখন সুযোগ এলো, তার সর্বোচ্চটুকু কাজে লাগান খেলোয়াড়রা। বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক বলেন ওই সময়ের কথা, ‘ছয় মাস পর আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনে মাঠে খেলার সুযোগ পাই। ওই সময় আমাদের প্রত্যেকে তাদের শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে কাজ করেছে এবং সেটাই আমাদের দলের চেহারা পাল্টে দিয়েছে। আমরা একসঙ্গে কয়েক বছর ধরে ম্যাচ খেলেছি, একে অন্যকে ভালোভাবে জানি। এখানে আসার আগে আমরা অনেক ঘরোয়া ম্যাচ খেলেছি, সম্ভবত ২৫ ম্যাচ। কারণ, জানতাম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবো না, এই ম্যাচগুলো খেলেই বাছাইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। জিম্বাবুয়ে সিরিজের কথা জেনেছি দুই তিন সপ্তাহ আগে। তখনই নিজেদের বোঝালাম, এটা সুযোগ। সেটা কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করলাম।’ হুট করে নেতৃত্ব পাওয়ায় রোমাঞ্চিত হলেও স্নায়ুচাপে ভোগেননি জ্যোতি। তিনি বলেন, ‘যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন ক্লাসের ক্যাপ্টেন ছিলাম। আসলে নেতৃত্ব আমার রক্তে ছিল। আমার ভাইও আমাকে প্রায় সময় বলতো, তুমি একদিন ক্যাপ্টেন হবে। সে আমাকে ওভাবেই বড় করেছে। তাই আমার কখনো মনে হয়নি বড্ড আগেভাগে অধিনায়কত্ব পেয়ে গেছি।’ নিজের নেতৃত্ব নিয়ে নিগার বলেন, ‘আমি মাঝেমধ্যে মাঠে অদ্ভূত সব জিনিস করি, যা মাঝেমধ্যে কাজে লেগে যায়। একজন উইকেটকিপার ম্যাচের অবস্থা সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারে এবং একজন অধিনায়কের দরকার গোটা মাঠ পরিষ্কারভাবে দেখতে পারা। আমি মনে করি এটাই সবচেয়ে ভালো জায়গা যেখান থেকে স্পষ্ট দেখা যায় কোথায় আপনার ফিল্ডার এবং কোন জায়গায় ফাঁকা আছে। আর এটা আমাকে ব্যাটিংয়েও অনেক আত্মবিশ্বাসী করে তোলে কারণ, আমি উইকেট সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারি এবং কী হতে যাচ্ছে সেটাও বুঝতে পারি।’
এবার ইতিহাস গড়ার স্বপ্নের কথা জানিয়ে এই উইকেটকিপার ব্যাটার বলেন, ‘তিন সাবেক অধিনায়ক আমাদের দলে, আমি ভাবতাম আমার সুযোগ আছে কিন্তু এখনই না হতে পরে। আমি আমার দলকে সবসময় উজ্জীবিত রাখতে চেষ্টা করি এবং বলি মুহূর্তগুলো উপভোগ করো। একটু তো রোমাঞ্চিত হয়েছিলামই, কিন্তু এখন স্বাভাবিক লাগে। এখন মনে হয় আমি যদি আমার সেরাটা খেলি এবং দলকে সঠিক রাস্তা দেখাতে পারি তাহলে এটা হবে ইতিহাস।’
অভিজ্ঞ জাহানারা আলম, সালমা খাতুন ও রুমানা আহমেদকে পেছনে ফেলে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগ মুহূর্তে হুট করে অধিনায়ক করা হয় নিগার সুলতানা জ্যোতিকে। ২৪ বছর বয়সী উইকেটকিপার-ব্যাটার শুরুতেই ব্যাখ্যা দেন পাকিস্তান বধের পর গান গেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার কারণ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা করবো জয়- মানে হলো আমরা জিততে যাচ্ছি এবং আমরা জিতবো। এটা আমাদের ভালো করার সাহস ও আত্মবিশ্বাস দেয়। এটা বিশেষ কিছু।’ করোনাভাইরাস মহামারিতে মেয়েদের ক্রিকেট একপ্রকার নির্বাসিত ছিল। সেই সময়ও নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিয়েছেন খেলোয়াড়রা। নিগার সুলতানা বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আমরা আসলে ঘরে বসেছিলাম। প্রথম দুই তিন মাস আমাদের জন্য কঠিন ছিল, কারণ এতে আমরা অভ্যস্ত ছিলাম না। আমাদের কয়েকজন খেলোয়াড় বলছিল, তাদের বাবা-মায়েরা নেটে বল ছুড়ে সাহায্য করছে। আমার বাবাও নেট আনলেন, সেটা ছিল মাছ ধরার জাল। কারণ, মহামারির কারণে তখন বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তিনি আমাকে বল ছুড়েছেন এবং বল গার্ল ছিলেন আমার মা।’
যখন সুযোগ এলো, তার সর্বোচ্চটুকু কাজে লাগান খেলোয়াড়রা। বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক বলেন ওই সময়ের কথা, ‘ছয় মাস পর আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনে মাঠে খেলার সুযোগ পাই। ওই সময় আমাদের প্রত্যেকে তাদের শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে কাজ করেছে এবং সেটাই আমাদের দলের চেহারা পাল্টে দিয়েছে। আমরা একসঙ্গে কয়েক বছর ধরে ম্যাচ খেলেছি, একে অন্যকে ভালোভাবে জানি। এখানে আসার আগে আমরা অনেক ঘরোয়া ম্যাচ খেলেছি, সম্ভবত ২৫ ম্যাচ। কারণ, জানতাম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবো না, এই ম্যাচগুলো খেলেই বাছাইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। জিম্বাবুয়ে সিরিজের কথা জেনেছি দুই তিন সপ্তাহ আগে। তখনই নিজেদের বোঝালাম, এটা সুযোগ। সেটা কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করলাম।’ হুট করে নেতৃত্ব পাওয়ায় রোমাঞ্চিত হলেও স্নায়ুচাপে ভোগেননি জ্যোতি। তিনি বলেন, ‘যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন ক্লাসের ক্যাপ্টেন ছিলাম। আসলে নেতৃত্ব আমার রক্তে ছিল। আমার ভাইও আমাকে প্রায় সময় বলতো, তুমি একদিন ক্যাপ্টেন হবে। সে আমাকে ওভাবেই বড় করেছে। তাই আমার কখনো মনে হয়নি বড্ড আগেভাগে অধিনায়কত্ব পেয়ে গেছি।’ নিজের নেতৃত্ব নিয়ে নিগার বলেন, ‘আমি মাঝেমধ্যে মাঠে অদ্ভূত সব জিনিস করি, যা মাঝেমধ্যে কাজে লেগে যায়। একজন উইকেটকিপার ম্যাচের অবস্থা সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারে এবং একজন অধিনায়কের দরকার গোটা মাঠ পরিষ্কারভাবে দেখতে পারা। আমি মনে করি এটাই সবচেয়ে ভালো জায়গা যেখান থেকে স্পষ্ট দেখা যায় কোথায় আপনার ফিল্ডার এবং কোন জায়গায় ফাঁকা আছে। আর এটা আমাকে ব্যাটিংয়েও অনেক আত্মবিশ্বাসী করে তোলে কারণ, আমি উইকেট সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারি এবং কী হতে যাচ্ছে সেটাও বুঝতে পারি।’
এবার ইতিহাস গড়ার স্বপ্নের কথা জানিয়ে এই উইকেটকিপার ব্যাটার বলেন, ‘তিন সাবেক অধিনায়ক আমাদের দলে, আমি ভাবতাম আমার সুযোগ আছে কিন্তু এখনই না হতে পরে। আমি আমার দলকে সবসময় উজ্জীবিত রাখতে চেষ্টা করি এবং বলি মুহূর্তগুলো উপভোগ করো। একটু তো রোমাঞ্চিত হয়েছিলামই, কিন্তু এখন স্বাভাবিক লাগে। এখন মনে হয় আমি যদি আমার সেরাটা খেলি এবং দলকে সঠিক রাস্তা দেখাতে পারি তাহলে এটা হবে ইতিহাস।’