বিনোদন
আলাপন
খুব সহজে সবাইকে বিশ্বাস করি -মুনমুন
মুজাহিদ সামিউল্লাহ
২৩ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন
প্রয়াত ক্যাপ্টেন এহেতেশাম যে কজন নায়ক-নায়িকা চলচ্চিত্রে উপহার দিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম শবনম, শাবানা, শাবনুর, নাদিম, শাবনাজ ও নাঈম। তাদেরই সূত্র ধরে এহতেশামের ‘মৌমাছি’ সিনেমায় অভিষেক হয় চিত্রনায়িকা মুনমুনের। কিন্তু দুর্ভাগ্য মুনমুনের পূর্বসুরীদের মতো নিজেকে তুলে ধরতে পারেননি। যদিও মুনমুনের অনেক বানিজ্যিক সিনেমা হিট-সুপারহিট হয়েছে। সেইসব সিনেমায় যত না এই নায়িকা সুনাম অর্জন করেছেন তার চেয়ে সমালোচনাই তার ভাগ্যে জুটেছে বেশি।
সেই সময় সুপার স্টার মান্না, ওমরসানী, অমিত হাসান, শাকিব খান, আমিন খান, আলেকজান্ডার বো’র সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। কিন্তু নিজেকে শীর্ষ নায়িকাদের কাতারে নিতে পারেননি। অবশ্যই মুনমুন ভালো অভিনেত্রী। তার ঝুলিতে রয়েছে বড় প্রডাকশন, তারকা পরিচালক। সুন্দরী, শিক্ষিতা, মিষ্টি ব্যবহারের জন্য মুনমুন সেই সময় চলচ্চিত্র পরিবারের সবার পছন্দের তালিকায় ছিলেন। তার সরলতার সুযোগ নিয়ে অনেকে তাকে ব্যবহারও করেছেন অশ্লীল ছবিতে। দীর্ঘদিন পর মুনমুন সম্প্রতি বাবুল রেজা পরিচালিত ‘বউ জামাইয়ের লড়াই’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিলেন। সব মিলিয়ে কেমন আছেন? এ নায়িকা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। সুস্থ আছি।
বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে? মুনমুন বলেন, দীর্ঘদিন পর সাভারের ফুলবাড়িয়ায় ডিপজল ভাইয়ের ফাহিম স্টুডিওতে সিনেমার শুটিং করছি। অনেকটা স্মৃতিকাতর কণ্ঠে তিনি বললেন, ডিপজল ভাইয়ের স্টুডিওতে একটা সময় আমার অনেক ছবির শুটিং হয়েছে। এমনও হতো মাসের ৩০ দিনই ভিন্ন ভিন্ন প্রডাশনের ছবির আউটডোর শুটিং এখানেই হতো। ‘রাণী কেন ডাকাত’ আমার হিট সিনেমা ছিল। এর শুটিংয়ের কথা আজও মনে পড়ছে। দর্শকরা তো ভাবেন সিনেমা থেকে আপনি বিদায় নিয়েছেন। এটা কি জানেন? এ নায়িকা বলেন, সিনেমা হচ্ছে আমার প্রাণের জায়গা। আমার অক্সিজেন। এই চলচ্চিত্র আমাকে পরিচিতি, সুনাম, অর্থ, যশ সব দিয়েছে।
আমিতো ভাবতেই পারি না এই বিষয়টা। আপনি নাকি এখন ‘টিকটক-এর নায়িকা? সোশ্যাল মিডিয়ার এই ‘টিকটক’ এ আপনি খুব অ্যাকটিভ? মুনমুন হাসতে হাসতে বলেন, এ আর কী! নতুন প্রজন্মের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা। প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় হওয়া। এর বেশি কিছু না। এই প্রযুক্তি কিন্তু আপনাকে বিপদে ফেলে দিয়েছিল একবার। নাকি? উত্তরে তিনি বলেন, ঐ কথা আর মনে করতে চাই না। কি যে ভোগান্তি! বলে বোঝানো যাবে না। আমি ব্যক্তি জীবনে খুবই সাধারণ জীবন যাপন করি। খুব সহজে সবাইকে বিশ্বাস করি। এই বিশ্বাস শব্দটাই কখনো কখনো আমার জীবনে অস্বস্তি হয়ে ফিরে আসে। আর তখনই যতো উটকো ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়েছে। আপনার নামের সঙ্গে অশ্লীল শব্দটা কোনো না কোনোভাবে জুড়ে আছি। এর কারণ কী?
মুনমুন এ প্রসঙ্গে বলেন, আমার অভিনয় চলাকালীনই চলচ্চিত্রে হঠাৎ অশ্লীলতার জোয়ার শুরু হয়। দেখা গেছে- আমার অভিনীত সিনেমায় অখ্যাত কোনো অভিনেত্রীর কাটপিস সংযোজন করে দেয়া হতো।
দর্শকতো ভাবতো আমি ঐ দৃশ্যে অংশ নিয়েছি। এমনও হয়েছে সেন্সর সার্টিফিকেট পাওয়ার পরও হলে ঐসব সেন্সরবিহীন দৃশ্যগুলো সংযোজন করে প্রদর্শন হতো। দর্শকতো সিনেমায় এতো টেকনিক্যাল বিষয়ে অবগত নয়। এই টেকনিক্যাল বিষয়গুলো পর্দায় প্রদর্শন করায় আমার নামের আগে অশ্লীল শব্দটা বসানো হয়েছে। আমি যদি অশ্লীল নায়িকাই হতাম তাহলে কি বিখ্যাত পরিচালকরা আমাকে তাদের সিনেমায় সুযোগ দিতেন!
যেমন-ক্যাপ্টেন এহতেশাম, মনতাজুর রহমান আকবর, মালেক আফসারীর মতো উচ্চমানের পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছি আমি। আমি সিনেমায় কিছু অসাধু ব্যক্তি, অতি মুনাফালোভী পরিচালক-প্রযোজকদের শিকার হয়েছি। আপনার হাতে কী কী সিনেমার কাজ রয়েছে বর্তমানে? মুনমুন বলেন, ‘রাগী’ আর ‘তোলপাড়’ ছবির কাজ রয়েছে। এর বাইরে শুরু করলাম ‘বউ জামাইয়ের লড়াই’।
সেই সময় সুপার স্টার মান্না, ওমরসানী, অমিত হাসান, শাকিব খান, আমিন খান, আলেকজান্ডার বো’র সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। কিন্তু নিজেকে শীর্ষ নায়িকাদের কাতারে নিতে পারেননি। অবশ্যই মুনমুন ভালো অভিনেত্রী। তার ঝুলিতে রয়েছে বড় প্রডাকশন, তারকা পরিচালক। সুন্দরী, শিক্ষিতা, মিষ্টি ব্যবহারের জন্য মুনমুন সেই সময় চলচ্চিত্র পরিবারের সবার পছন্দের তালিকায় ছিলেন। তার সরলতার সুযোগ নিয়ে অনেকে তাকে ব্যবহারও করেছেন অশ্লীল ছবিতে। দীর্ঘদিন পর মুনমুন সম্প্রতি বাবুল রেজা পরিচালিত ‘বউ জামাইয়ের লড়াই’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিলেন। সব মিলিয়ে কেমন আছেন? এ নায়িকা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। সুস্থ আছি।
বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে? মুনমুন বলেন, দীর্ঘদিন পর সাভারের ফুলবাড়িয়ায় ডিপজল ভাইয়ের ফাহিম স্টুডিওতে সিনেমার শুটিং করছি। অনেকটা স্মৃতিকাতর কণ্ঠে তিনি বললেন, ডিপজল ভাইয়ের স্টুডিওতে একটা সময় আমার অনেক ছবির শুটিং হয়েছে। এমনও হতো মাসের ৩০ দিনই ভিন্ন ভিন্ন প্রডাশনের ছবির আউটডোর শুটিং এখানেই হতো। ‘রাণী কেন ডাকাত’ আমার হিট সিনেমা ছিল। এর শুটিংয়ের কথা আজও মনে পড়ছে। দর্শকরা তো ভাবেন সিনেমা থেকে আপনি বিদায় নিয়েছেন। এটা কি জানেন? এ নায়িকা বলেন, সিনেমা হচ্ছে আমার প্রাণের জায়গা। আমার অক্সিজেন। এই চলচ্চিত্র আমাকে পরিচিতি, সুনাম, অর্থ, যশ সব দিয়েছে।
আমিতো ভাবতেই পারি না এই বিষয়টা। আপনি নাকি এখন ‘টিকটক-এর নায়িকা? সোশ্যাল মিডিয়ার এই ‘টিকটক’ এ আপনি খুব অ্যাকটিভ? মুনমুন হাসতে হাসতে বলেন, এ আর কী! নতুন প্রজন্মের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা। প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় হওয়া। এর বেশি কিছু না। এই প্রযুক্তি কিন্তু আপনাকে বিপদে ফেলে দিয়েছিল একবার। নাকি? উত্তরে তিনি বলেন, ঐ কথা আর মনে করতে চাই না। কি যে ভোগান্তি! বলে বোঝানো যাবে না। আমি ব্যক্তি জীবনে খুবই সাধারণ জীবন যাপন করি। খুব সহজে সবাইকে বিশ্বাস করি। এই বিশ্বাস শব্দটাই কখনো কখনো আমার জীবনে অস্বস্তি হয়ে ফিরে আসে। আর তখনই যতো উটকো ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়েছে। আপনার নামের সঙ্গে অশ্লীল শব্দটা কোনো না কোনোভাবে জুড়ে আছি। এর কারণ কী?
মুনমুন এ প্রসঙ্গে বলেন, আমার অভিনয় চলাকালীনই চলচ্চিত্রে হঠাৎ অশ্লীলতার জোয়ার শুরু হয়। দেখা গেছে- আমার অভিনীত সিনেমায় অখ্যাত কোনো অভিনেত্রীর কাটপিস সংযোজন করে দেয়া হতো।
দর্শকতো ভাবতো আমি ঐ দৃশ্যে অংশ নিয়েছি। এমনও হয়েছে সেন্সর সার্টিফিকেট পাওয়ার পরও হলে ঐসব সেন্সরবিহীন দৃশ্যগুলো সংযোজন করে প্রদর্শন হতো। দর্শকতো সিনেমায় এতো টেকনিক্যাল বিষয়ে অবগত নয়। এই টেকনিক্যাল বিষয়গুলো পর্দায় প্রদর্শন করায় আমার নামের আগে অশ্লীল শব্দটা বসানো হয়েছে। আমি যদি অশ্লীল নায়িকাই হতাম তাহলে কি বিখ্যাত পরিচালকরা আমাকে তাদের সিনেমায় সুযোগ দিতেন!
যেমন-ক্যাপ্টেন এহতেশাম, মনতাজুর রহমান আকবর, মালেক আফসারীর মতো উচ্চমানের পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছি আমি। আমি সিনেমায় কিছু অসাধু ব্যক্তি, অতি মুনাফালোভী পরিচালক-প্রযোজকদের শিকার হয়েছি। আপনার হাতে কী কী সিনেমার কাজ রয়েছে বর্তমানে? মুনমুন বলেন, ‘রাগী’ আর ‘তোলপাড়’ ছবির কাজ রয়েছে। এর বাইরে শুরু করলাম ‘বউ জামাইয়ের লড়াই’।