প্রথম পাতা

গুলিতে প্রাণহানি বেশি

গ্রামে-গঞ্জে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি

শুভ্র দেব

২৩ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:৪৪ অপরাহ্ন

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে ঘিরে সংঘর্ষ ও  গোলাগুলির ঘটনা বেড়েই চলছে। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় মৃত্যুর তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ও গণমাধ্যমের তথ্যমতে চলতি ইউপি নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৪৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তবে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বলছে মৃত্যুর তালিকায় ৬০ জনের নাম রয়েছে। এরমধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে বেশি। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন শতাধিক।

ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে গ্রামে-গঞ্জে অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে। নির্বাচনে পেশিশক্তির প্রদর্শন, প্রভাব বিস্তার, কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ফলাফল ভিন্ন দিকে মোড় নেয়াসহ নানা কাজে ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র। অথচ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার কথা থাকলেও তারা দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করছেন। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার দৃশ্যত অনেক কম।
তবে পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় অস্ত্র উদ্ধারের জন্য একটি বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে গত সপ্তাহ থেকে। প্রতিটি থানা এলাকায় বৈধ অস্ত্রের তালিকা ধরে অস্ত্রের অবস্থানও শনাক্ত করতে বলা হয়েছে। এসব দেখভালের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে একটি অস্থায়ী সেল গঠন করা হয়েছে। আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ ভার্চ্যুয়ালি সব জেলার পুলিশ সুপার ও ইউনিটপ্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে নির্বাচন ঘিরে মাঠপর্যায়ের সার্বিক বিষয় আলোচনা করে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
অপরাধ  বিশ্লেষক ও গোয়েন্দা তথ্য বলছে, যেভাবে নির্বাচনী সহিংসতা ও গোলাগুলির ঘটনা বাড়ছে আগামী নির্বাচনগুলোতে এসব ঘটনা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। যেখানেই সংঘর্ষ হচ্ছে সেখানেই অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার একাধিক অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অসংখ্য অস্ত্র দেশে ঢুকেছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে অত্যাধুনিক মডেলের অস্ত্র রয়েছে। করোনার কারণে ঝিমিয়ে পড়া অস্ত্রের বাজার চাঙ্গা হয়েছে। তাই অস্ত্র ব্যবসায়ীরা সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, চাঁপাই নবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলা দিয়ে কৌশলে অস্ত্র নিয়ে আসছে।
সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো জানিয়েছে, দুই ধাপের ইউপি নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ২৫টির বেশি জেলায় নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নরসিংদীতে দুই দফায় সবেচেয় বেশি ৯জন মারা গেছেন। এছাড়া কক্সবাজারে পাঁচ, মাগুরায় চার, বরিশালে তিন এবং গাইবান্ধা, মেহেরপুর, কুমিল্লা ও ঢাকার ধামরাইয়ে দু’জন করে নিহত হয়েছেন। ভোলা, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, ফরিদপুর, সিলেট, নড়াইল, রাঙ্গামাটি, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, পাবনা, চট্টগ্রাম, যশোর, রাজবাড়ী, রংপুর, পটুয়াখালী, মাদারীপুরসহ আরও কয়েকটি জেলায় একজন করে নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার যশোরের শার্শায় উপজেলার গোগা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বুধবার ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হোসেনকে শরীয়তপুরের বটতলা এলাকায় গুলি করে হামলা চালানো হয়। ইউপি নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে তার ওপর এই হামলা চালানো হয়। ১৬ই নভেম্বর নির্বাচনী সহিংসতায় মৃত্যু হয়েছে পিরোজপুরের যুবলীগের নেতা ফয়সাল মাহবুবের। ৭ই নভেম্বর পিরোজপুরের শংকরপাশা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন হাসপাতালে।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের দিন বৃহস্পতিবার রায়পুরার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। ৪ নভেম্বর নরসিংদীর চরাঞ্চল আলোকবালীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হন আরও ৩০ জন। অক্টোবরে রায়পুরার চরাঞ্চল পাড়াতলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন মারা যান। ১৬ই অক্টোবর মধ্যরাতে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেথোয়াই মারমাকে গুলি করে  হত্যা করা হয়। এর আগে মাগুরা সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত হয়েছেন। প্রথম ধাপের নির্বাচনে কক্সবাজারের মহেশখালীতে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন দু’জন। বরিশালের গৌরনদীতে আরও দু’জন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়াটার্সের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে ঢাকা মহানগর এলাকায় অস্ত্র মামলা হয়েছে ১৫৫টি। এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ২৪২ জন আসামিকে। উদ্ধার করা হয়েছে ১৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই বছর উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ৪০টি বিদেশি পিস্তল, ২০টি বিদেশি রিভলবার, ৩০টি দেশি পিস্তল, ৪টি দেশি রিভলবার, ৩টি শটগান, ৬টি ওয়ান শুটার গান, ৩টি কাটা রাইফেল, ৪টি পাইপগান, ২৪টি অন্যান্য অস্ত্র, ৬৩৬ রাউন্ড গুলি, ২৬টি ম্যাগাজিন, ১২৫টি কার্তুজ।  
একইভাবে ২০২১ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় অস্ত্র মামলা হয়েছে, ১৩৬টি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৯৪ জনকে। উদ্ধার করা হয়েছে ১১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র। উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ৪৪টি বিদেশি পিস্তল, ১৬টি বিদেশি রিভলবার, ১৩টি দেশি পিস্তল, ৫টি দেশি রিভলবার, ১৪টি শাটার গান, ৮টি ওয়ান শুটার, ২টি বন্দুক, ৩টি পাইপগান, ৯টি এয়ারগান, ১টি এসএমজি, ১টি এসবিবিএল, ১টি এলজি, ২১টি ম্যাগাজিন, ৫৩৩ রাউন্ড গুলি ও ৩০ রাউন্ড কার্তুজ।
ডিএমপি জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৯টি অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৩ জনকে। ফেব্রুয়ারি মাসে ১০টি মামলায় গ্রেপ্তার ১১ জন, মার্চ মাসে ১৩টি মামলায় গ্রেপ্তার ২০ জন, এপ্রিল মাসে ১০টি মামলায় গ্রেপ্তার ২১ জন, মে মাসে ২২টি মামলায় গ্রেপ্তার ৩১ জন,  জুন মাসে ১১টি মামলায় গ্রেপ্তার ১৩ জন, জুলাই মাসে ১৭টি মামলায় গ্রেপ্তার ২১ জন, আগস্ট মাসে ১৩টি মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ১৬টি মামলায় গ্রেপ্তার ২৭ জন ও অক্টোবর মাসে ১৫টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৩ জন।
এদিকে, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সারা দেশ থেকে চলতি বছরসহ গত দুই বছরের একটি পরিসংখ্যান দিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরে তারা অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ৬২২ জনকে। এ সময় অস্ত্র উদ্ধার করেছে ৬০৬টি। ২০২০ সালে তারা গ্রেপ্তার করেছে ৫৪৪ জনকে। অস্ত্র উদ্ধার করেছে ৬৯৮টি। আর ২০১৯ সালে অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ২২৩ জনকে। অস্ত্র উদ্ধার করেছে ১১৯টি।   
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে দেশে অস্ত্র প্রবেশ করতে পারে এমন ৩০টি পয়েন্টকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়েন্টগুলো হচ্ছে- চাঁপাই নবাবগঞ্জ, রাজশাহী, হিলি, যশোরের বেনাপোল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা, উখিয়া, রামু, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রাউজান, সেন্টমার্টিন, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ডু, রাঙ্গুনিয়া, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ির রামগড় ও সুদারামপুর, ফেনী নোয়াখালী, চাঁদপুর, আখাউড়া, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও সিলেট। এসব পয়েন্টের মধ্যে রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, বেনাপোল ও সিলেট সীমান্ত দিয়ে বেশি অস্ত্র দেশে প্রবেশ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ পয়েন্টগুলো নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করছেন। এছাড়া দেশব্যাপী অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের উপরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কারণ, কিছু অস্ত্র ব্যবসায়ী বৈধ অস্ত্র ব্যবসার আড়ালে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা করছেন। ইতিমধ্যে এ ধরনের কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বড় অস্ত্র ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র অস্ত্র ব্যবসায়ীদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন মানবজমিনকে গতকাল বলেন, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশকিছু  গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণও করেছেন। এসব ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, সামনে আরও কয়েক দফায় নির্বাচন হবে। এসব নির্বাচনে যাতে কেউ অস্ত্রবাজি করতে না পারে সেদিকে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি করছে। এছাড়া অবৈধ অস্ত্রের কেনাবেচা, অস্ত্র বহন করতে পারে এমন সম্ভাব্যদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। দেশব্যাপী আমাদের অস্ত্র উদ্ধার অভিযানও চলমান রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক মানবজমিনকে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে হানাহানি, খুনোখুনি ও অস্ত্রবাজির ঘটনা ঘটছে এসবের মূল কারণ হলো যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা কাজ করে। যেকোনো ভাবে তারা নির্বাচনে জয়ী হতে চান। অবশ্য তাদের এই মনোভাবের পেছনে রয়েছে নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পরিবেশের অনুপস্থিতি। এখন নির্বাচনে আগের  মতো উৎসবমুখর পরিবেশ থাকে না। ভোটার উপস্থিতি যেমন থাকে না ঠিক তেমনি সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না। বরং একই দলের একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। এতে করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে।
তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। কারণ কেউ লাইসেন্সধারী অস্ত্র দিয়ে গুলি করে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালান। কিন্তু তবুও অস্ত্রবাজি থেমে থাকে না। এর মানে তারা যে দায়িত্ব পালন করেন এতে কোথাও না কোথাও ঘাটতি থাকে। তাই তাদেরকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। নির্বাচনের সময় যেসব এলাকায় সহিংসতা হতে পারে এমন এলাকায় সেনাবাহিনীসহ পুলিশের বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করে রাখতে হবে। কারণ এধরনের ঘটনা যেভাবে বাড়ছে এক সময় মানুষ ইউপি নির্বাচনেও আর আগ্রহ দেখাবে না। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও বেশি কঠোর হতে হবে। আর রাজনৈতিক দলগুলোকে শুধু বহিষ্কারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। প্রয়োজনে মামলায় যেতে হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status