ভারত
দ্বিচারিতা করবেন না, গান্ধী কিংবা সুভাষ বোসকে বেছে নিন-ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক কঙ্গনা
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
১৭ নভেম্বর ২০২১, বুধবার, ৯:৫১ পূর্বাহ্ন
ক’দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের একটি পোস্ট গোটা ভারতজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। পদ্মশ্রী খেতাবে ভূষিত হওয়ার পর কঙ্গনা বলেছিলেন- ভারত ১৯৪৭-এ নয়, প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে ২০১৪ সালে। মোদি ভক্ত কঙ্গনা এতদ্বারা বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, ভারতীয়দের প্রকৃত স্বাধীন চিন্তাধারার জন্ম হয় নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর। গান্ধীর ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা ভিক্ষার তিনি সমালোচনাও করেন। এরপরই কঙ্গনার পদ্মশ্রী ফিরিয়ে নেয়ার দাবি ওঠে দেশজুড়ে। বলা হয়, তিনি গান্ধী-নেতাজি সুভাষ বোসসহ অন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করেছেন। এরপরই কঙ্গনা এই বিস্ফোরক পোস্টটি করে বলেছেন- যারা গান্ধীজি এবং নেতাজিকে এক আসনে বসিয়ে আমার পদ্মশ্রী ফিরিয়ে নেয়ায় দাবি জানাচ্ছেন তারা এবার বেছে নিন কাকে গ্রহণ করবেন- গান্ধী না সুভাষ বোস? একদল আমাদের শিখিয়েছেন, কেউ গালে চড় মারলে অন্য গালটা বাড়িয়ে দিতে। কেউ আমাদের শিখিয়েছেন, কেউ চড় মারলে পাল্টা তাকে চড় মারতে। গান্ধীর অহিংস নীতি না সুভাষ বোস-এর সহিংস নীতিতে দেশে স্বাধীনতা এসেছিল সেটা ঠিক করা আগে দরকার। বছর বছর দেশনেতাদের জন্মদিন পালনে নয়, দেশনেতাদের প্রকৃত অবদান খুঁজে বের করাটাই প্রকৃষ্ট। কঙ্গনা লিখেছেন, তিনি আঠারো’শ সাতান্নয় সিপাহী বিদ্রোহ’র কথা মানেন। কিন্তু, উনিশশো সাতচল্লিশের দেশভাগ এবং তার বিনিময়ে স্বাধীনতা ভিক্ষার তত্ত্ব মানেন না। মারাত্মক অভিযোগ করে কঙ্গনা তদানীন্তন একটি খবরের কাগজের কাটিং তুলে ধরে প্রশ্ন করেছেন- সুভাষ বোসকে ব্রিটিশের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গান্ধী – নেহেরুরা। কেন? যদি কেউ এই প্রশ্নের জবাবটা ভালো করে আমাকে বুঝিয়ে দেন আমি আমার পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেব। বলাই বাহুল্য, কঙ্গনা রানাউতের এই বক্তব্য আবার ঝড় তুলছে ভারতীয় জনজীবনে।