বিশ্বজমিন

কারাগারেই দীর্ঘদিনের সঙ্গীকে বিয়ের অনুমতি পেলেন অ্যাসাঞ্জ

মানবজমিন ডেস্ক

২০২১-১১-১২

বৃটিশ কারাগারে বন্দি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী স্টেলা মরিসকে বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে উইকিলিকসের এই সহ-প্রতিষ্ঠাতা বৃটেনের বেলমার্শ কারাগারে বন্দি রয়েছেন। বৃটিশ গণমাধ্যম বিবিসির কাছে দেশটির কারা বিভাগের কর্মীরা খবরটি নিশ্চিত করেছেন। কারা বিভাগ বলছে, অন্য কারাবন্দিদের মতোই প্রচলিত নিয়মে কারা গভর্নর অ্যাসাঞ্জের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে বিয়ের অনুমতি দিয়েছেন। বৃটেনের বিবাহ আইন ১৯৮৩ অনুযায়ী, বন্দিরা কারাগারে বিয়ের জন্য আবেদন করার সুযোগ পান। আবেদন মঞ্জুর হলে সব খরচ নিজেদের মিটিয়ে বিয়ে করতে হয় তাদের। অ্যাসাঞ্জ এবং স্টেলাও এখন কারাগারেই আইনানুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন এবং বিয়ের খরচ তাদের নিজেদেরই বহন করতে হবে।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, অ্যাসাঞ্জ ও মরিসের দুই সন্তান রয়েছে। মরিস জানিয়েছেন, লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জ যখন দিন পার করছিলেন তখনই গর্ভধারণ করেন তিনি। বিয়ের অনুমতি পাওয়ার পর তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব পাওয়ায় সন্তোষ কাজ করছে। আশা করছি আমাদের বিয়েতে আর কোনো বাধা আসবে না।
দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আইনজীবী স্টেলা মরিসের সঙ্গে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের পরিচয় হয় ২০১১ সালে। তখন মরিস অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। সেসময় প্রায় প্রতিদিনই লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা অ্যাসাঞ্জকে দেখতে যেতেন মরিস। গত বছর মরিস এক বৃটিশ গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ওই দূতাবাসেই অ্যাসাঞ্জকে ভালোভাবে জানতে পারেন তিনি। ২০১৫ সাল থেকে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে সম্পর্কের শুরু হয় তার। এর দুই বছর পর তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। এরইমধ্যে তাদের দুই ছেলের জন্ম হয়। সন্তানরা ইকুয়েডর দূতাবাসে বাবার সঙ্গে দেখা করেছিল বলেও জানিয়েছেন মরিস। বর্তমানে ৫০ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ থেকে বাঁচতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status