বাংলারজমিন
মায়ের হাতে মেয়ে খুন
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
২০২১-১১-০৫
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে মাইশা আক্তার (১৬) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলার দেহুন্দা ইউনিয়নের চর দেহুন্দা গ্রামের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নিহত মাইশা আক্তারের মা স্বপ্না আক্তার (৪৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাইশা আক্তার চর দেহুন্দা গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসার ছাত্রী। এলাকাবাসীর ভাষ্য, স্বপ্না বেগমের সঙ্গে তার খালাতো ভাই ফাইজুল (৩০) এর পরকীয়ার সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় মা স্বপ্না বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক ফাইজুল দু’জনে মিলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্বপ্না বেগম নিহত মাইশার সঙ্গে ফাইজুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং অনেকবার সতর্ক করার পরও মেয়ে মাইশা এ সম্পর্ক বজায় রাখায় একাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে। স্বপ্না বেগমের স্বামী বাবুল মিয়া (৫৫) ঢাকার তেজগাঁওয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলে বাবার সঙ্গে থাকে। স্বপ্না বেগম বাড়িতে একা থাকতেন। এ সুযোগে খালাতো ভাই ফাইজুলের সঙ্গে স্বপ্না বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফাইজুলের সঙ্গে স্বপ্না বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক এলাকায় জানাজানি হলে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার দেন-দরবারও হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে বুধবার মাদ্রাসা থেকে ছুটি নিয়ে মায়ের কাছে যায় মাইশা। রাতেই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনাটি।
মা স্বপ্না আক্তার ও পরকীয়া প্রেমিক ফাইজুল মিলে মাইশাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনার পর পরই মোটরসাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ফাইজুল। গতকাল সকালে ঘরে মাইশার নিথর দেহ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইশার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় এবং স্বপ্না বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামছুল আলম সিদ্দিকী জানান, স্পর্শকাতর এ খুনের ঘটনায় পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত করছে। তদন্তে প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মা স্বপ্না আক্তার ও পরকীয়া প্রেমিক ফাইজুল মিলে মাইশাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনার পর পরই মোটরসাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ফাইজুল। গতকাল সকালে ঘরে মাইশার নিথর দেহ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইশার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় এবং স্বপ্না বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামছুল আলম সিদ্দিকী জানান, স্পর্শকাতর এ খুনের ঘটনায় পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত করছে। তদন্তে প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।