অনলাইন

পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার বাড়াচ্ছে চীন, পেন্টাগনের রিপোর্টে চাঞ্চল্য

৪ নভেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ২:৫৮ অপরাহ্ন

দীর্ঘ দিন ধরেই একটু একটু করে নিজেদের অস্ত্রভান্ডারের শক্তি বাড়াচ্ছে চীন। কিন্তু যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে তারা এগোচ্ছে তাতে বিশ্বের অন্য দেশগুলির দুশ্চিন্তা বাড়ছে। পেন্টাগনের রিপোর্ট অনুযায়ী পরমাণু অস্ত্রভান্ডার সমৃদ্ধ করছে চীন। ২০৩০-এর মধ্যেই এক হাজার পরমাণু অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তারা। ২০২০-তে আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর যে তথ্য দিয়েছিল সেখানে বলা হয়েছিল ২০৩০-এর মধ্যে ৪০০টি পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হবে চীন।

কিন্তু তাদের সেই ধারণাকে একেবারে ভুল প্রমাণিত করেছে এ বছরের রিপোর্ট। ৪০০ নয়, চীন এক হাজার পরমাণু অস্ত্রের ক্ষমতাসম্পন্ন দেশ হতে হতে চলেছে আর মাত্র ন’বছরের মধ্যে। চীন তার পারমাণবিক বাহিনীকে আধুনিকীকরণ, বৈচিত্র্যকরণ এবং প্রসারিত করার লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে উল্লেখ করে পেন্টাগন কংগ্রেসের নির্দেশিত প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে। এমনিতেই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের সঙ্গে একটা টানাপড়েনের আবহ তৈরি হয়েছে বৃটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের মতো দেশগুলির সঙ্গে। অন্য দিকে দক্ষিণ চীন সাগরেও আমেরিকার সঙ্গে চীনের একটা ঠাণ্ডা যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে পেন্টাগনের রিপোর্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিশ্বের। পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার জন্য যে ভিত্তি দরকার, জলে-স্থলে সেই নির্মাণকাজও শুরু করেছে শি জিনপিং এর দেশ। সমুদ্র এবং আকাশ থেকে যাতে সহজেই পরমাণু হামলা চালানো যায় তারও কাজ শুরু করে দিয়েছে চীন। যদিও ক্রমবর্ধমান অস্ত্রাগারের নিরিখে চীন এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার তুলনায় পিছিয়ে আছে, যারা বিশ্বের পারমাণবিক অস্ত্রের সিংহভাগের মালিক।

আমেরিকায় এখনও মজুত আছে ৩,৭৫০ পারমাণবিক ওয়ারহেড। ওয়াশিংটন এর আগে চীনকে নতুন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। পেন্টাগনের প্রতিবেদনে তাইওয়ানের প্রতি বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী আচরণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে যে চীনের কাছে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান সংঘটিত করার জন্য অনেকগুলি বিকল্প রয়েছে।

বিমান এবং সমুদ্র উভয় পথেই আঘাত হানতে পারে চীন। গত মাসে, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অঙ্গীকার করেছিলেন যে, বেইজিং তাইওয়ানের সাথে শান্তিপূর্ণ "পুনর্মিলন" চায়। এর আগে বুধবার, দেশের সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তা অ্যাস্পেন সিকিউরিটি ফোরামে একজন সদস্যকে বলেছিলেন তিনি বিশ্বাস করেন যে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তাইওয়ান দখল করবে না। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে তা অবশ্য কেউই জানেন না।

সূত্র: সিএনবিসি
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status