ইতিহাস থেকে
ডাক বাংলোর যাত্রা যেভাবে
শামীমুল হক
৩১ অক্টোবর ২০২১, রবিবার, ৫:৩১ অপরাহ্ন
রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর আসে মুসলিম সাম্রাজ্য। মুসলিম সাম্রাজ্যে খলিফারা রোমানদের রেখে যাওয়া ডাকব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ নেন। তারা ডাক পরিবহনের জন্য নতুন নতুন রাস্তা ও রুট চালু করেন। পাশাপাশি পোস্ট স্টেশন স্থাপন করেন। এ রুট ও স্টেশন মরুভূমির জনবসতিহীন স্থানেও স্থাপনের মাধ্যমে ডাকব্যবস্থার সংস্কার সাধন করেন। মুসলিম শাসনের উন্নতির ফলে ৯৩০টি পোস্ট স্টেশন চালু হয়। যার কেন্দ্রবিন্দু ছিল বাগদাদ। আর চীনে চৌ বংশের রাজত্বকালে ডাক ব্যবস্থার উন্নতি হয়। এ সময় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলো সরকারি চিঠিপত্রের পাশাপাশি জনগণও সামান্য ডাক মাশুলের বিনিময়ে তাদের চিঠিপত্র পাঠাতে পারতেন। ডাক বিভাগের কর্মকর্তা মোমিনুল আজম তার ফিলাটেলি ডাকটিকিট সংগ্রহের শখ বইয়ে লিখেছেন, ১১ শতকে ভেড়ার চামড়ার তৈরি পার্চমেন্ট আবিষ্কারের পর প্যাপিরাসের ব্যবহার হ্রাস পায়। কারণ পার্চমেন্টে লেখা যেমন সহজ তেমনি তার স্থায়িত্বও বেশি। এ সময় পর্তুগালের রাজকর্মচারী অ্যাঞ্জেলা পর্তুগালকে ১৩টি ভাগে ভাগ করে প্রতিটি এলাকার জন্য ডাক কর্মচারী নিয়োগ করেন। এসব কর্মচারী এক অফিস থেকে আরেক অফিসে ডাক আদান-প্রদান করতেন। অ্যাঞ্জেলা ডাক কর্মচারীদের খাবার, বিশ্রাম ও থাকার জন্য ঘর তৈরি করে দেন যা এখন ডাক বাংলো নামে পরিচিত। ১৫ শতকে ইতালির ভেনিস শহরে ‘আমাদো টাসো’ নামের একজন সচেতন নাগরিক ‘থর্ন অ্যান্ড টেক্সি’ সার্ভিস চালু করেন। এ ডাকব্যবস্থায় জনগণের চিঠিপত্র পরিবহন করায় তা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এ জন্য তিনি সরকারের কাছ থেকে অনুদান পান। জনগণের কাছ থেকে চিঠি পরিবহন বাবদ মাশুল আদায় করেন। ইতালিতে এ ব্যবস্থা ১৯ শতক পর্যন্ত চালু ছিল।
(চলবে)
(চলবে)