কলকাতা কথকতা
কলকাতা কথকতা
স্ত্রী, মেয়েকে খুন করেছি, আমাকে গ্রেপ্তার করুন- টেলিফোনে হিমশীতল কণ্ঠ
জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
৩১ অক্টোবর ২০২১, রবিবার, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
বলিউডের ছবিতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। খুনি খুন করে পুলিশকে জানাচ্ছে সেই কথা। কিন্তু, বাস্তবে যদি এমনটা ঘটে? এমন ঘটনাই ঘটেছে কলকাতায়। শনিবার রাত নটা নাগাদ বেজে উঠল পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারের টেলিফোন। অভ্যস্ত হাতে রিসিভার ক্রেডল থেকে তুললেন ডিউটি অফিবার। পরের এক মিনিট যা শুনলেন তার জন্যে তিনি প্রস্তুত ছিলেন না- আমার নাম অরবিন্দ বাজাজ। ৩৩ সি মনোহরপুকুর রোডে থাকি। একটু আগে আমি আমার স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে খুন করেছি। আমাকে গ্রেপ্তার করুন। হতভম্ব অফিসার সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্র সরোবর থানাকে খবর দেয়। তারা ৩৩ সি মনোহরপুকুর রোডের একটি আবাসনের চারতলার একটি ফ্ল্যাটে পৌঁছে দেখে বছর সাতচল্লিশের এক ব্যাক্তি হাতে একটি রক্তাক্ত ছুরি নিয়ে বসে আছেন। সামনে নিস্পন্দ পড়ে আছে বছর পঁয়তাল্লিশের এক মহিলা ও বছর আঠারোর একটি মেয়ের দেহ। দুজনকেই এস এস কে এম হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৪৫ বছর বয়স্ক প্রিয়াঙ্কা বাজাজকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আশংকাজনক অবস্থায় ১৮ বছরের অম্বিকা বাজাজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত অরবিন্দ বাজাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তদন্তে উঠে এসেছে সেই ভয়ঙ্কর করোনার কথাই। প্রিয়াঙ্কার বাবার সংস্থায় কাজ করতেন অরবিন্দ বাজাজ। করোনা পান্ডেমিকে সংস্থা বন্ধ হয়ে যায়। চূড়ান্ত অর্থকষ্টে পড়ে বাজাজ পরিবার। সংসার চালাতে পারছিলেন না অরবিন্দ। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কও তলানিতে ঠেকে। অম্বিকার নিট পরীক্ষার ফিজও জোগাড় করা যাচ্ছিল না। এই অবস্থায় স্ত্রী, মেয়েকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় অরবিন্দ। না, তার আফসোস নেই। পেশাদার খুনির মতোই সে বলছে- আমাকে যে শাস্তি দেয়ার দিন।
তদন্তে উঠে এসেছে সেই ভয়ঙ্কর করোনার কথাই। প্রিয়াঙ্কার বাবার সংস্থায় কাজ করতেন অরবিন্দ বাজাজ। করোনা পান্ডেমিকে সংস্থা বন্ধ হয়ে যায়। চূড়ান্ত অর্থকষ্টে পড়ে বাজাজ পরিবার। সংসার চালাতে পারছিলেন না অরবিন্দ। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কও তলানিতে ঠেকে। অম্বিকার নিট পরীক্ষার ফিজও জোগাড় করা যাচ্ছিল না। এই অবস্থায় স্ত্রী, মেয়েকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় অরবিন্দ। না, তার আফসোস নেই। পেশাদার খুনির মতোই সে বলছে- আমাকে যে শাস্তি দেয়ার দিন।