অনলাইন

স্ত্রী ভেবে অন্য নারীকে খুন করে সেকুল

অনলাইন ডেস্ক

২০২১-১০-৩০

সেকুলের স্ত্রীর মতো একই রঙের বোরকা পরে বের হয়েছিলেন পোশাক কর্মী আয়েশা। শুক্রবার ভোরে মোহাম্মদপুরের আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকার রাস্তায় রিকশাযোগে যাচ্ছিলেন আয়েশা। কিন্তু একই রঙের বোরকা পরায় স্ত্রী ভেবে পোশাক কর্মী আয়েশার গলায় কাঁচি দিয়ে কোপ দেন তিনি। আহত আয়েশার বোরকার নেকাব সরাতেই ভুল বুঝতে পারেন। তখন নিজেই আয়েশাকে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয় জনতা সেকুলকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আর আয়েশাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, নিজের স্ত্রী ভেবে আয়েশার বুকে ও পিঠে কাঁচি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন সেকুল। কিন্তু বোরখার মুখ খুলেই ভুল বুঝতে পারেন। তখন নিজেই আয়েশাকে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয়রা তাকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
পেশায় ট্রাক চালক সেকুল স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন গাবতলী এলাকায়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশকে তিনি বলেছেন, কিছুদিন আগে তাকে ছেড়ে আরেকজনের সঙ্গে চলে যান তার স্ত্রী। বাসা থেকে বেশ কিছু টাকা পয়সাও নিয়ে যান। সে কারণে তাকে খুন করার ‘জেদ চেপে’ গিয়েছিল তার।
তিনি বলেন, কয়েক দিন খোঁজ নিয়ে সেকুল জানতে পারেন, তার স্ত্রী মোহাম্মদপুরের নবীনগরের দিকে থাকেন। সে অনুযায়ী শুক্রবার ভোরে ওই কাঁচির টুকরো হাতে নিয়ে নবোদয় হাউজিং কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকায় ওঁৎ পেতে ছিলেন তিনি।
পরে ওই দিক দিয়ে তার স্ত্রীর মতো বোরকা পরা এক নারীকে রিকশায় করে নবোদয় বাজারের দিকে যেতে দেখে সেকুলের ধারণা হয়, এটাই তার স্ত্রী। রিকশাটি নবোদয় বাজারের আগে রাস্তার পশ্চিম মাথায় পৌঁছালে পেছন থেকে হাতের কাঁচি দিয়ে রিকশায় থাকা ওই নারীর ঘাড়ে কোপ দেন সেকুল।
তাতে ওই নারী রিকশা থেকে পড়ে যান। সেকুল তখন তার বুকে ও পিঠে আরো কয়েকটি কোপ দেন। তারপর মুখের ওপর থেকে নেকাব সরিয়ে তিনি দেখেন এ তো তার স্ত্রী নয়। সেকুল পুলিশকে বলেছেন, তার স্ত্রী যে ধরনের বোরকা পরেন, আর যেভাবে পরেন, ওই নারীও ঠিক একই ধরনের বোরকা পরায় তার ‘চিনতে ভুল হয়ে গেছে।
ওসি আব্দুল লতিফ আরও জানান, আয়েশা সিদ্দিকার পরিচয় তারা জানতে পারেন তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। সেখান থেকেই তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
আয়েশার বোন খালেদা সিদ্দিকা জানান, তাদের বাড়ি দিনাজপুরের বিরলে। তার বোন ঢাকা উদ্যানের কাছে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার স্বামী মো. রুবেল বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি। আদাবরে একটি ভবনের কাজ পাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে তাকে সেখানেই থাকতে হচ্ছে। স্বামীর জন্য ভোরবেলা উঠে ভাত রান্না করে ও গত কয়দিন আদাবরে গিয়ে দিয়ে আসছিল। আজ সকালে যাওয়ার সময় ওই ঘটনা। তাকে খাবার দিয়ে আয়েশার যাওয়ার কথা ছিল কারখানায়। পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে তাদের।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status