বিশ্বজমিন
‘চীনের হাইপারসনিক অস্ত্র উদ্বেগের, যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করা কঠিন হবে’
মানবজমিন ডেস্ক
২৮ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১২:১৩ অপরাহ্ন
চীনের অতি উন্নত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি। চীনের ওই পরীক্ষাকে তিনি শীতলযুদ্ধের সময় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘স্পুটনিক’ পরীক্ষার সঙ্গে তুলনা করেছেন। পেন্টাগনের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বুধবার বলেন, অত্যাধুনিক হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরি করছে চীন, যার হাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করা কঠিন হবে। এর মধ্য দিয়ে চীনের ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করলেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা। মার্ক মিলি ব্লুমবার্গ টিভি’কে বলেন, আমরা যা দেখতে পেয়েছি তা হলো হাইপারসনিক অস্ত্র ব্যবস্থার বড় একটি ইভেন্ট। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। তিনি আরো বলেন, শীতল যুদ্ধের সময় মহাকাশ নিয়ে যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিজয়ী হতে এমনটাই করেছিল। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত জানি না এটা ‘স্পুটনিক মোমেন্ট কিনা’। তবে আমি মনে করি এটা তার খুবই কাছাকাছি। উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সালে স্পুটনিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন, যা দেখে বিস্মিত হয় যুক্তরাষ্ট্র। এতে তারা মনে করতে থাকে, প্রযুক্তির দিক দিয়ে তারা অনেক পিছিয়ে আছে এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা ত্বরান্বিত করতে হবে।
জুলাইয়ে বৃটেনের ফিন্যান্সিয়াল টাইমস রিপোর্ট করে যে, চীনের সেনাবাহিনী পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এমন হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। তা পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে কক্ষপথে ঘুরেছে। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ডিজাইন করা হয় এমনভাবে, যাতে তার চলার পথে শব্দের গতির চেয়ে কমপক্ষে ৫ গুন বেশি গতিতে চলতে পারে। এত তীব্র গতি হওয়ার কারণে এসব ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা বা তা ভূপাতিত করা ভীষণ কঠিন ব্যাপার। চীনে অস্ত্র তৈরির এই প্রযুক্তি এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রও হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরির কাজ করছে। কিন্তু এখনও তারা কোনো অস্ত্রের পরীক্ষা করেনি। মার্ক মিলির ভাষায়, চীন সেটা অর্জন করে ফেলেছে। কিন্তু বুধবার চীনের হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি পেন্টাগন মুখপাত্র জন কিরবি। তবে তিনি বলেছেন, চীনের সেনাবাহিনী যখনই বড় কোনো সামরিক সক্ষমতা অর্জন করে তখনই আঞ্চলিক এবং তার বাইরের উত্তেজনা প্রশমণের সুযোগ কমিয়ে আনে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া হাইপারসনিক প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়েছে। কিন্তু চীন এ বছরের শুরুর দিকে যে পরীক্ষা চালিয়েছে তার পাল্লা অনেক দীর্ঘ। এই অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রেও গিয়ে হামলা চালাতে পারে। এমনিতেই ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে কয়েক বছর ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জুলাইয়ে বৃটেনের ফিন্যান্সিয়াল টাইমস রিপোর্ট করে যে, চীনের সেনাবাহিনী পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এমন হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। তা পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে কক্ষপথে ঘুরেছে। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ডিজাইন করা হয় এমনভাবে, যাতে তার চলার পথে শব্দের গতির চেয়ে কমপক্ষে ৫ গুন বেশি গতিতে চলতে পারে। এত তীব্র গতি হওয়ার কারণে এসব ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা বা তা ভূপাতিত করা ভীষণ কঠিন ব্যাপার। চীনে অস্ত্র তৈরির এই প্রযুক্তি এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রও হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরির কাজ করছে। কিন্তু এখনও তারা কোনো অস্ত্রের পরীক্ষা করেনি। মার্ক মিলির ভাষায়, চীন সেটা অর্জন করে ফেলেছে। কিন্তু বুধবার চীনের হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি পেন্টাগন মুখপাত্র জন কিরবি। তবে তিনি বলেছেন, চীনের সেনাবাহিনী যখনই বড় কোনো সামরিক সক্ষমতা অর্জন করে তখনই আঞ্চলিক এবং তার বাইরের উত্তেজনা প্রশমণের সুযোগ কমিয়ে আনে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া হাইপারসনিক প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়েছে। কিন্তু চীন এ বছরের শুরুর দিকে যে পরীক্ষা চালিয়েছে তার পাল্লা অনেক দীর্ঘ। এই অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রেও গিয়ে হামলা চালাতে পারে। এমনিতেই ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে কয়েক বছর ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।