খেলা
শিকলে বাঁধা বাংলাদেশের ব্যাটিং
ইশতিয়াক পারভেজ, আবুধাবি (আরব আমিরাত) থেকে
২৮ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:২১ অপরাহ্ন
আবারো ছন্নছাড়া ব্যাটিং! লিটন দাস, নাঈম শেখরা উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে ব্যর্থ। দলের অভিজ্ঞ ব্যাটাররা রানের চাকা ঘোরাতে পারলেন না। শেষ দিকে ব্যাট হাতে স্পিনার নাসুম আহমেদের দুটি ছয় ও চারের মার দেখে মনে হলো এটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দলের প্রথম ছক্কা আসে তাও ১৮.২ ওভারে। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে আবুধাবির শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে একটি ছয়ের মারও হাঁকাতে পারেনি টাইগারদের ব্যাটিং স্পেশালিস্টরা। এমন ব্যাটিংয়ে ধীরে ধীরে কমে আসে গ্ল্যালারিতে লাল সবুজের উল্লাস। চার-ছক্কার ধুমাধার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যেন টাইগার ব্যাটারদের ব্যাট বাঁধা পড়েছে অদৃশ্য শিকলে। শেষ পর্যন্ত ১২৪ রান তুলতেই হারায় ৯ উইকেট। অথচ এই মাঠে প্রথম ইনিংসে গড় রান ১৪০ এর বেশি। সেখানে বাজে শট, ভুল সিদ্ধান্ত আর নড়বড়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ লিখেছে হতাশার অনুলিপি। তাদের ব্যাটিংয়ে স্পষ্ট ছিল উইকেট সম্পর্কে কোন ধারণা নেই মাহমুদুল্লাহর দলের। বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে এই ভেন্যুতে কোনো ম্যাচ দূরে থাক অনুশীলনও করেনি বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংলিশদের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু মঈন আলী, ওকস, লিভিংস্টোনের বোলিং তোপের সামনে পড়ে ১২৪ রানের বেশি করতে পারেনি দল। ইনিংসের শুরুটা খারাপ ছিল না। মঈন আলীর করা প্রথম ওভারের শেষ ২ বলে ২ চার হাঁকিয়ে ছন্দে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু আরও একবার ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি। টাইগার এই ব্যাটারের ওপর দল যে আস্থা রেখেছিল তার প্রতিদান তিনি দিতে পারেননি। ইংলিশ অধিনায়ক শুরুতেই বাংলাদেশকে ছুড়ে দেয় স্পিন চ্যালেঞ্জ। অফস্পিনার মঈন আলীর হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক এউইন মরগান। নিজের প্রথম ওভারে সফল হননি। কিন্তু তার পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে লিয়াম লিভিংস্টোনের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৮ বলে ৯ রান করা লিটন দাস। টানা দুই ফিফটি হাঁকানো তরুণ ব্যাটার মোহাম্মদ নাঈমকেও পরের বলেই ফিরিয়ে দেন মঈন আলী। তৃতীয় ওভারে দুই বলে তার শিকার বাংলাদেশের দুই ওপেনার। নাঈম করেন পাঁচ বলে ৫ রান।
কিন্তু ধাক্কা সামলে ১৪ রানে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীম। কিন্তু পাওয়ার প্লের মধ্যেই বাজে শটে সাকিব আউট হলে আরও বিপদ বাড়ে টাইগারদের। ক্রিস ওকসের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে সাকিবকে বিদায় করেন আদিল রশিদ। ৭ বলে সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান। ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭ রানে প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ করে বাংলাদেশ। এরপর মুশফিককে সঙ্গ দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু উইকেটে টিকলেন না মুশফিক। আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো মুশফিক আউট হলে ভাঙে রিয়াদের সঙ্গে গড়া ৩৭ রানের জুটি। লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরার আগে ৩ চারের সাহায্যে ৩০ বলে ২৯ রানের ইনিংস আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। এরপর অধিনায়কের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় ৫ রান করা আফিফ হোসেনকে।
অনেকটা সময় দলের হাল ধরেও ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। লিভিংস্টোনের শিকার হওয়ার আগে ২৪ বলে ১ চারের সাহায্যে ১৯ রান করেন অধিনায়ক। এরপর মেহেদী হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। তবে ইনিংসের ১৯তম ওভারে নাসুম আহমেদ দেখালেন ‘টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং’। ইংল্যান্ডের পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লেগস্পিনার আদিল রশিদের ওভারে ২ ছক্কা ও ১ চার হাঁকান নাসুম। এই ওভার থেকেই সর্বোচ্চ ১৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন ইংলিশ পেসার টাইমাল মিলস। ১৮ বলে ১৬ রান করেন নুরুল হাসান সোহান। ইনিংসের একবারে শেষে এক বল মোকাবিলা করে পরিষ্কার বোল্ড হন মোস্তাফিজ। নাসুম আহমেদের ৯ বলে ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংস সাজানো ২ ছক্কা ও ১ চারে। ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১২৪ রানে। ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান টাইমাল মিলস। দুটি করে উইকেট নেন স্পিনার মঈন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টোন। অপর পেসার ক্রিস ওকস নেন ১ উইকেট।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংলিশদের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু মঈন আলী, ওকস, লিভিংস্টোনের বোলিং তোপের সামনে পড়ে ১২৪ রানের বেশি করতে পারেনি দল। ইনিংসের শুরুটা খারাপ ছিল না। মঈন আলীর করা প্রথম ওভারের শেষ ২ বলে ২ চার হাঁকিয়ে ছন্দে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু আরও একবার ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি। টাইগার এই ব্যাটারের ওপর দল যে আস্থা রেখেছিল তার প্রতিদান তিনি দিতে পারেননি। ইংলিশ অধিনায়ক শুরুতেই বাংলাদেশকে ছুড়ে দেয় স্পিন চ্যালেঞ্জ। অফস্পিনার মঈন আলীর হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক এউইন মরগান। নিজের প্রথম ওভারে সফল হননি। কিন্তু তার পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে লিয়াম লিভিংস্টোনের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৮ বলে ৯ রান করা লিটন দাস। টানা দুই ফিফটি হাঁকানো তরুণ ব্যাটার মোহাম্মদ নাঈমকেও পরের বলেই ফিরিয়ে দেন মঈন আলী। তৃতীয় ওভারে দুই বলে তার শিকার বাংলাদেশের দুই ওপেনার। নাঈম করেন পাঁচ বলে ৫ রান।
কিন্তু ধাক্কা সামলে ১৪ রানে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীম। কিন্তু পাওয়ার প্লের মধ্যেই বাজে শটে সাকিব আউট হলে আরও বিপদ বাড়ে টাইগারদের। ক্রিস ওকসের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে সাকিবকে বিদায় করেন আদিল রশিদ। ৭ বলে সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান। ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭ রানে প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ করে বাংলাদেশ। এরপর মুশফিককে সঙ্গ দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু উইকেটে টিকলেন না মুশফিক। আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো মুশফিক আউট হলে ভাঙে রিয়াদের সঙ্গে গড়া ৩৭ রানের জুটি। লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরার আগে ৩ চারের সাহায্যে ৩০ বলে ২৯ রানের ইনিংস আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। এরপর অধিনায়কের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় ৫ রান করা আফিফ হোসেনকে।
অনেকটা সময় দলের হাল ধরেও ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। লিভিংস্টোনের শিকার হওয়ার আগে ২৪ বলে ১ চারের সাহায্যে ১৯ রান করেন অধিনায়ক। এরপর মেহেদী হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। তবে ইনিংসের ১৯তম ওভারে নাসুম আহমেদ দেখালেন ‘টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং’। ইংল্যান্ডের পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লেগস্পিনার আদিল রশিদের ওভারে ২ ছক্কা ও ১ চার হাঁকান নাসুম। এই ওভার থেকেই সর্বোচ্চ ১৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন ইংলিশ পেসার টাইমাল মিলস। ১৮ বলে ১৬ রান করেন নুরুল হাসান সোহান। ইনিংসের একবারে শেষে এক বল মোকাবিলা করে পরিষ্কার বোল্ড হন মোস্তাফিজ। নাসুম আহমেদের ৯ বলে ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংস সাজানো ২ ছক্কা ও ১ চারে। ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১২৪ রানে। ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান টাইমাল মিলস। দুটি করে উইকেট নেন স্পিনার মঈন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টোন। অপর পেসার ক্রিস ওকস নেন ১ উইকেট।