প্রথম পাতা
ইংলিশদের বিপক্ষে অন্য পরীক্ষা টাইগারদের
ইশতিয়াক পারভেজ, আরব আমিরাত থেকে
২৭ অক্টোবর ২০২১, বুধবার, ৯:২৫ অপরাহ্ন
পাকিস্তানের পর জয় পেয়েছে আফগানিস্তানও। কিন্তু এশিয়ার বাকি দুই দল ভারত ও বাংলাদেশ এখনো জয় শূন্য। দুই দেশের ভক্ত-সমর্থকদের হৃদয়ে চলছে রক্তক্ষরণ। বিশেষ করে টাইগার ভক্তদের মনে যেন কোনো শান্তি নেই। সকালে হোটেল পরিবর্তনের সময় ছুটে আসে দুই বয়। উৎকণ্ঠা নিয়ে প্রশ্ন- ‘চলে যাচ্ছেন! বাংলাদেশের খেলা কি শেষ? ওরা কি আর বিশ্বকাপে খেলতে পারবে না?’ এখনো চার ম্যাচে বাকি আশা বেঁচে আছে শুনেই তাদের যেন বিশ্বাস হচ্ছে না। পরের প্রতিপক্ষদের নাম ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুনে তাদের চোখে ফুটে ওঠে অন্য এক আতঙ্ক। পারবে তো? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের পর বিশ্বাসটাই উবে গেছে। এরপরও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আশা দেখছে টাইগাররা। ২০০৭- এ প্রথম আন্তর্জাতিক টি- টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশ দল। এরপর কেটে গেছে এক যুগের বেশি সময়। কিন্তু এখনো ইংলিশদের বিপক্ষে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের। আজ আবুধাবি শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চার-ছক্কার লড়াইয়ে দুই দলের প্রথম দেখা। ইংলিশদের আটকে দিতে বাংলাদেশ দলের রণপরিকল্পনার অন্যতম অস্ত্র স্পিন। সেই সঙ্গে দলের বোলিং কোচ ওটিস গিবসন জানালেন তাদের হারিয়ে দিতে নিজেদের সবটুকু সাহস উজাড় করেই মুখোমুখি হবে। তিনি বলেন, ‘জেতার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নটা অদ্ভুত। অবশ্যই যে কোনো দলকে আমরা হারাতে পারি, এই বিশ্বাস নিয়ে এখানে এসেছি। আমরা বাছাইয়ে কঠিন গ্রুপ পেরিয়ে এসেছি। সেখানে একটু স্নায়ুচাপও ছিল। এখন আমরা মূল পর্বে এসেছি। আমরা এখানে স্রেফ সংখ্যা বাড়াতে আসিনি। আমরা বিশ্বাস করি, নিজেদের দিনে আমরা যে কোনো দলকে হারাতে পারি।’
অন্যদিকে দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দুপুর ২টা থেকে দীর্ঘক্ষণ অনুশীলন করে বাংলাদেশ দল। তপ্ত রোদে লম্বা সময় অনুশীলন করেছেন লিটন দাস। ব্যাট হাতে ব্যর্থ এমনকি ফিল্ডিংয়ে দুই ক্যাচ ছেড়ে খলনায়ক বনে যাওয়া এই ক্রিকেটার দারুণ চাপে আছেন। তবে যতটা জানা গেছে, আজও তিনি খেলবেন দলের হয়ে। টিমম্যানেজমেন্ট তার উপর আস্থা হারায়নি। এমনকি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে একাদশ সেখানে পরিবর্তনেরও কোনো সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে দলের স্পিন শক্তিতে নতুন করে কোনো পরিবর্তন হবে না। সাকিবের সঙ্গে স্পিন আক্রমণে সঙ্গী হবেন আগের ম্যাচে একাদশে থাকা নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান।
অন্যদিকে ইংল্যান্ড দলে তেমন কোনো দুর্বলতা নেই। আছে মারকুটে বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান। সঙ্গে আছেন দারুণ কার্যকর অলরাউন্ডার। উড়ন্ত গতির পেসারদের সঙ্গে অফ স্পিনার ও লেগ স্পিনার। ওয়েন মর্গানদের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের। আবুধাবিতে বুধবার সুপার টুয়েলভের ম্যাচে আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে গিবসন জানালেন, সাহস নিয়েই খেলবেন তারা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চার দেখায় বাংলাদেশের জয়-পরাজয় দু’টি করে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলছে এই প্রথম। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলকে ইংলিশরা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ৫৫ রানে। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলটির যে কোনো মাটিতেই এখন লড়াই করা বেশ কঠিন। তা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের খুব দৃঢ় একটি ব্যাটিং লাইন আছে। আমাদের নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে, যদি ওদের চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই বা জিততে চাই। আমরা গত রাতে টিম মিটিংয়ে এসব নিয়ে কথা বলেছি। মিটিংয়ে যা নিয়ে কথা হয়েছে এর কিছু নিয়ে আজকের অনুশীলনে কাজ করার সুযোগ পাবো। আমরা যাই করবো, সেটা নিখুঁত হতে হবে এবং নিজেদের ওপর আস্থা রাখতে হবে।’ তবে এত শক্তিশালী ইংলিশদের দুর্বলতাও আছে। তাই সুযোগও দেখছেন ওটিস। তিনি বলেন, ‘জানি, ওরা আমাদের ভীষণভাবে চেপে ধরার চেষ্টা করবে এবং একই সঙ্গে আমাদের সুযোগও দেবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৫ রান তাড়া করতেই ওদের চার উইকেট গিয়েছিল। তো এই জিনিসগুলোকে আমরা ইতিবাচক ভাবে নিতে পারি। আমাদের নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে এবং মনে রাখতে হবে যে ওরা আমাদের সুযোগ দিবে।’
অন্যদিকে নিজের শিষ্যদের ওটিস শতর্কও করেছেন। একসময় তিনি নিজেও ইংলিশদের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। তাই তাদের বিপক্ষে কি করা যাবে না সেটিই জানিয়েছেন আগে-ভাগে। কোচ বলেন, ‘ওদের বিপক্ষে অস্থির না হওয়ার বার্তা দিয়েছি ছেলেদের। একটা ভালো বল করেও হয়তো মার খাবে। কিন্তু তখন শান্ত থাকতে হবে। এভাবেই তারা খেলে- এটাই তাদের মানসিকতা। সেই সঙ্গে আমরা উইকেট নেওয়ার সুযোগও পাবো। আমাদের শান্ত থাকতে হবে। দক্ষতা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোযোগ দিতে হবে। বোলারদের শান্ত থাকতে হবে যতটা সম্ভব।’
অন্যদিকে দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দুপুর ২টা থেকে দীর্ঘক্ষণ অনুশীলন করে বাংলাদেশ দল। তপ্ত রোদে লম্বা সময় অনুশীলন করেছেন লিটন দাস। ব্যাট হাতে ব্যর্থ এমনকি ফিল্ডিংয়ে দুই ক্যাচ ছেড়ে খলনায়ক বনে যাওয়া এই ক্রিকেটার দারুণ চাপে আছেন। তবে যতটা জানা গেছে, আজও তিনি খেলবেন দলের হয়ে। টিমম্যানেজমেন্ট তার উপর আস্থা হারায়নি। এমনকি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে একাদশ সেখানে পরিবর্তনেরও কোনো সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে দলের স্পিন শক্তিতে নতুন করে কোনো পরিবর্তন হবে না। সাকিবের সঙ্গে স্পিন আক্রমণে সঙ্গী হবেন আগের ম্যাচে একাদশে থাকা নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান।
অন্যদিকে ইংল্যান্ড দলে তেমন কোনো দুর্বলতা নেই। আছে মারকুটে বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান। সঙ্গে আছেন দারুণ কার্যকর অলরাউন্ডার। উড়ন্ত গতির পেসারদের সঙ্গে অফ স্পিনার ও লেগ স্পিনার। ওয়েন মর্গানদের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের। আবুধাবিতে বুধবার সুপার টুয়েলভের ম্যাচে আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে গিবসন জানালেন, সাহস নিয়েই খেলবেন তারা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চার দেখায় বাংলাদেশের জয়-পরাজয় দু’টি করে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলছে এই প্রথম। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলকে ইংলিশরা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ৫৫ রানে। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলটির যে কোনো মাটিতেই এখন লড়াই করা বেশ কঠিন। তা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের খুব দৃঢ় একটি ব্যাটিং লাইন আছে। আমাদের নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে, যদি ওদের চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই বা জিততে চাই। আমরা গত রাতে টিম মিটিংয়ে এসব নিয়ে কথা বলেছি। মিটিংয়ে যা নিয়ে কথা হয়েছে এর কিছু নিয়ে আজকের অনুশীলনে কাজ করার সুযোগ পাবো। আমরা যাই করবো, সেটা নিখুঁত হতে হবে এবং নিজেদের ওপর আস্থা রাখতে হবে।’ তবে এত শক্তিশালী ইংলিশদের দুর্বলতাও আছে। তাই সুযোগও দেখছেন ওটিস। তিনি বলেন, ‘জানি, ওরা আমাদের ভীষণভাবে চেপে ধরার চেষ্টা করবে এবং একই সঙ্গে আমাদের সুযোগও দেবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৫ রান তাড়া করতেই ওদের চার উইকেট গিয়েছিল। তো এই জিনিসগুলোকে আমরা ইতিবাচক ভাবে নিতে পারি। আমাদের নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে এবং মনে রাখতে হবে যে ওরা আমাদের সুযোগ দিবে।’
অন্যদিকে নিজের শিষ্যদের ওটিস শতর্কও করেছেন। একসময় তিনি নিজেও ইংলিশদের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। তাই তাদের বিপক্ষে কি করা যাবে না সেটিই জানিয়েছেন আগে-ভাগে। কোচ বলেন, ‘ওদের বিপক্ষে অস্থির না হওয়ার বার্তা দিয়েছি ছেলেদের। একটা ভালো বল করেও হয়তো মার খাবে। কিন্তু তখন শান্ত থাকতে হবে। এভাবেই তারা খেলে- এটাই তাদের মানসিকতা। সেই সঙ্গে আমরা উইকেট নেওয়ার সুযোগও পাবো। আমাদের শান্ত থাকতে হবে। দক্ষতা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোযোগ দিতে হবে। বোলারদের শান্ত থাকতে হবে যতটা সম্ভব।’