দেশ বিদেশ
সার্ভার ডাউন
চট্টগ্রামে জন্মনিবন্ধন পেতে চরম ভোগান্তি
জালাল রুমি, চট্টগ্রাম থেকে
২৭ অক্টোবর ২০২১, বুধবার, ৯:১৪ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া সাইমা। কলেজ থেকে বলা হয়েছে, করোনার টিকা দিতে হবে। আর টিকা পেতে হলে জন্মনিবন্ধন কার্ড লাগবে। এদিকে জন্মনিবন্ধন করাতে গিয়ে কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে জানতে পারেন, সঙ্গে বাবা মায়ের নিবন্ধনও লাগবে। শেষ পর্যন্ত দুইজনের নিবন্ধন করাতে দিলেন সেপ্টেম্বর মাসের ২২ তারিখ। কিন্তু এখনো পর্যন্ত পাননি নিবন্ধনের মেসেজ। ওয়ার্ড কমিশনার কার্যালয়ে ৫-৬ বার গিয়েও মেলেনি কোনো সদুত্তর। যতবার যায়, ততোবার বলে সার্ভার সমস্যা। তাই কাজ হয়নি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন করাতে গিয়ে এভাবে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। অনলাইনে নিবন্ধন করাতে গিয়ে নির্দিষ্ট সার্ভারে ভিড় থাকায় নিবন্ধন কার্যাক্রমে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি নতুন নিয়ম তৈরি করে সরকার। এতে স্কুলে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সন্তানের পাশাপাশি বাবা মায়ের জন্মনিবন্ধন কার্ড দিতে হবে। এর আগে মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়েই যে কারও জন্মনিবন্ধন করা যেতো। কিন্তু নতুন নিয়মে আগে বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন করতে হয়, এরপর পাওয়া যায় সন্তানের জন্ম সনদ। এনিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল অভিভাবকদের। আবার নতুন করে টিকার নিবন্ধন পেতে জন্মনিবন্ধন চাওয়ায় ভোগান্তিটা বেড়ে গেছে অনেক। যার ফলে সেন্ট্রাল সার্ভারে পড়েছে চাপ। গতকাল সকালে নগরীর চকবাজার ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় জন্মনিবন্ধন করাতে আসে জয়নগর আবাসিকের বাসিন্দা সুজন চৌধুরীর সঙ্গে। জানালেন, তিনি কাতারে থাকেন। এখন স্ত্রীরও ভিসা হয়েছে। কিন্তু ১ বছরের শিশুটির জন্মনিবন্ধন না থাকায় বিমানের টিকিট করাতে পারছেন না। এ পর্যন্ত ৩ বার এসেছেন। কিন্তু সার্ভার জটিলতা বলে জন্মনিবন্ধন পত্র দিচ্ছে না অফিসের লোকজন।
এদিকে ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তারকে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে চসিকের ৮নং শুলকবহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ মোরশেদ আলম মানবজমিনকে বলেন, কয়েকদিন ধরে সার্ভারের সমস্যার কারণে বেশ জটিলতায় পড়েছি। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনার কারণে জন্মনিবন্ধনের হিড়িক পড়েছে। আগে যেখানে দৈনিক ৫০- ৬০ জনের জন্মনিবন্ধন করতে হতো, এখন সেখানে ১ হাজারের ওপর আবেদন পড়ছে। যে কারণে কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের কর্মীরা সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করছে। আমি নিজেও এই সময় পর্যন্ত অফিস করি। কাজের চাপে সার্ভার একটু পর পর ডাউন হয়ে যায়। যে কারণে কাজ আটকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এখানে জনবল সংকট তো আছেই। এরপরও আমরা চালিয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু সারা দেশে সেন্ট্রালি একটা সার্ভার। এখন এতই চাপ, এজন্য সার্ভার ডাউন হয়ে গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখা দরকার। আর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য জন্মনিবন্ধনের বিষয়টিকে এই মুহূর্তে কড়াকড়ি না করলে ভালো হতো। তাহলে এখানে এত জটিলতা তৈরি হতো না।
চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি নতুন নিয়ম তৈরি করে সরকার। এতে স্কুলে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সন্তানের পাশাপাশি বাবা মায়ের জন্মনিবন্ধন কার্ড দিতে হবে। এর আগে মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়েই যে কারও জন্মনিবন্ধন করা যেতো। কিন্তু নতুন নিয়মে আগে বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন করতে হয়, এরপর পাওয়া যায় সন্তানের জন্ম সনদ। এনিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল অভিভাবকদের। আবার নতুন করে টিকার নিবন্ধন পেতে জন্মনিবন্ধন চাওয়ায় ভোগান্তিটা বেড়ে গেছে অনেক। যার ফলে সেন্ট্রাল সার্ভারে পড়েছে চাপ। গতকাল সকালে নগরীর চকবাজার ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় জন্মনিবন্ধন করাতে আসে জয়নগর আবাসিকের বাসিন্দা সুজন চৌধুরীর সঙ্গে। জানালেন, তিনি কাতারে থাকেন। এখন স্ত্রীরও ভিসা হয়েছে। কিন্তু ১ বছরের শিশুটির জন্মনিবন্ধন না থাকায় বিমানের টিকিট করাতে পারছেন না। এ পর্যন্ত ৩ বার এসেছেন। কিন্তু সার্ভার জটিলতা বলে জন্মনিবন্ধন পত্র দিচ্ছে না অফিসের লোকজন।
এদিকে ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তারকে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে চসিকের ৮নং শুলকবহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ মোরশেদ আলম মানবজমিনকে বলেন, কয়েকদিন ধরে সার্ভারের সমস্যার কারণে বেশ জটিলতায় পড়েছি। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনার কারণে জন্মনিবন্ধনের হিড়িক পড়েছে। আগে যেখানে দৈনিক ৫০- ৬০ জনের জন্মনিবন্ধন করতে হতো, এখন সেখানে ১ হাজারের ওপর আবেদন পড়ছে। যে কারণে কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের কর্মীরা সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করছে। আমি নিজেও এই সময় পর্যন্ত অফিস করি। কাজের চাপে সার্ভার একটু পর পর ডাউন হয়ে যায়। যে কারণে কাজ আটকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এখানে জনবল সংকট তো আছেই। এরপরও আমরা চালিয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু সারা দেশে সেন্ট্রালি একটা সার্ভার। এখন এতই চাপ, এজন্য সার্ভার ডাউন হয়ে গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখা দরকার। আর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য জন্মনিবন্ধনের বিষয়টিকে এই মুহূর্তে কড়াকড়ি না করলে ভালো হতো। তাহলে এখানে এত জটিলতা তৈরি হতো না।