‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ ইস্যুতে ডি ককের বিদ্রোহ, হুমকির মুখে ক্যারিয়ার

গত বছর ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন শুরুর পর অনেক ক্রিকেট দল হাঁটু গেড়ে সংহতি জানায়। প্রথম দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা তাতে সামিল হয়নি। কেননা প্রোটিয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে এ বিষয়ে মত-পার্থক্য ছিল। গত ডিসেম্বরে প্রথমবার ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে যোগ দেয় প্রোটিয়ারা। তবে সব ক্রিকেটার তাতে সম্মতি দেননি। তাদের বোর্ডও খেলোয়াড়ের উপর তা চাপিয়ে দেয়নি। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের আগে হাঁটু গেড়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ এর সঙ্গে সংহতি জানানোর নিয়ম বাধ্যতামূলক করে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ)। এর জেরে উইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন কুইন্টন ডি কক। ম্যাচের আগে টসের সময় প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত কারণে খেলছেন না ডি কক। কিছু সময় পর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিএসএ জানায়, হাঁটু গেড়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশে দ্বিমত জানিয়েছেন ডি কক।

এই কিপার-ব্যাটারের এমন সিদ্ধান্তের কারণে পরবর্তী করণীয় নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানায় ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপ শুরুর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের একাংশ হাঁটু গেড়ে এবং হাত উঁচিয়ে প্রতিবাদ জানান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও একই রকম ছবি দেখা যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের আগে হাঁটু গেড়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ এর সঙ্গে সংহতি জানানোর বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার কথা জানায় সিএসএ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, ‘বিএলএমের (ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার) সমর্থনে দলের সদস্যরা বিভিন্ন পথ বেছে নেওয়ায় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও, এই উদ্যোগে যথেষ্ট সমর্থন না থাকা কিংবা বিভেদের একটি ধারণার জন্ম দিয়েছে। ক্রিকেটারদের অবস্থানসহ প্রাসঙ্গিক সবকিছু বিবেচনা করে, বোর্ডের মনে হয়েছে যে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দলের একতাবদ্ধ ও ধারাবাহিক অবস্থান নেওয়া জরুরি, বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাস বিবেচনা করে। বিশ্বকাপের অন্য অনেক দলই এই ইস্যুতে পরিষ্কার অবস্থান নিয়েছে। বোর্ডের মনে হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকারও একইরকম করা উচিত।’