বিশ্বজমিন
রীতি ভেঙে বিয়ে করলেন জাপানের প্রিন্সেস মাকো, হারালেন রাজকীয় মর্যাদা
মানবজমিন ডেস্ক
২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন
ভালবেসে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়লেন জাপানের প্রিন্সেস মাকো। রাজকীয় রীতি ভেঙে কলেজ জীবনের প্রেমিক কাই কোমুরো’কে বিয়ে করলেন তিনি। আর এর মধ্য দিয়ে রাজকীয় মর্যাদা হারালেন প্রিন্সেস মাকো। জাপানের আইন অনুযায়ী, রাজ পরিবারের কোনো নারী সদস্য ‘কমোনার’ বা রাজপরিবার বা বংশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে তিনি রাজকীয় মর্যাদা হারান। এই কাজটিই করেছেন প্রিন্সেস মাকো। তার প্রেমিক কোনো রাজপরিবারের সন্তান নন। তিনি একজন কমোনার। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে এই আইন কার্যকর নয়। তারা রাজপরিবারের বাইরের কাউকে বিয়ে করলেও মর্যাদা অটুট থাকে। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলছে, জাপানে রাজপরিবারে বিয়ের যেসব রীতি পালন করা হয়, তা এড়িয়ে গিয়েছেন প্রিন্সেস মাকো। একই সঙ্গে রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে তাকে যে অর্থ দেয়া হয়েছে, তাও তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি ভঙ্গকারী প্রথম নারী সদস্য তিনিই। বিয়ের পর নবদম্পতি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, সেখানে একজন আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন কাই কোমুরো। বৃটেনে প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কেলের সঙ্গে জাপানি প্রিন্সেসের এই ঘটনা তুলনা করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। বলা হচ্ছে জাপানের এই প্রিন্সেস বিয়ে করার পর তাদেরকে ডাকা হবে ‘জাপানস হ্যারি অ্যান্ড মেগান’ বা জাপানের হ্যারি ও মেগান হিসেবে। প্রিন্সেস মাকোর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা ফাঁস হওয়ার পর থেকেই প্রচ- নজরদারির মধ্যে ছিলেন কাই কোমুরো। সম্প্রতি তিনি জাপানে ফেরার পর চুলের পনিটেইল রাখার জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন। অনেকে মনে করেন, একজন প্রিন্সেসকে বিয়ে করতে হলে এমন চুলের স্টাইল গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রিন্সেস মাকো আজ মঙ্গলবার জাপানের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বাসভবন থেকে বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য বেরিয়েছেন। এ সময় তিনি পিতামাতা- ক্রাউন প্রিন্স ফুমিহিতো এবং ক্রাউন প্রিন্সেস কিকো’র প্রতি বেশ কয়েকবার মাথা নত করে শ্রদ্ধা জানান। বাসা ছেড়ে যাওয়ার আগে ছোট বোনকে কয়েকবার আলিঙ্গন করেন। দিনের আরো পরে নবদম্পতির সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে। এতে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের ঘোষণা দেবেন এবং নির্বাচিত ৫টি প্রশ্নের উত্তর দেবেন। এই প্রশ্নগুলো তাদের কাছে আগেই পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। জাপানের ইমপেরিয়াল হাউজহোল্ড এজেন্সি বলেছে, এটা এই জন্য করা হয়েছে যে, মৌখিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় প্রিন্সেস মাকো বিব্রত হতে পারেন।
এই দম্পতির প্রেমের খবর ফাঁস হয় বেশ কয়েক বছর আগে। তখন থেকেই দুনিয়ার মিডিয়া তাদের দিকে কড়া দৃষ্টি রেখেছে। অনেক খবর প্রকাশ হয়েছে তাদেরকে নিয়ে। কিন্তু প্রিন্সেস মাকো’র এই প্রেম নিয়ে জাপানেই আছে তীব্র বিতর্ক। বলা হচ্ছে, কোমুরোর সঙ্গে ২০১৭ সালে বাগদান সম্পন্ন করে ফেলেন প্রিন্সেস মাকো। পরের বছরই তাদের বিয়ে করার কথা ছিল। কিন্তু কোমুরোর মা আর্থিক সমস্যায় আছেন, এ জন্য সেই বিয়ে বিলম্বিত করা হয়। বলা হয়, কোমুরোর মা তার এক সাবেক প্রেমিকের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন, তা তিনি শোধ করতে পারেননি। তবে এ কারণে বিয়ে বিলম্বিত হয়েছে- এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রাজপ্রাসাদ।
প্রিন্সেস মাকো আজ মঙ্গলবার জাপানের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বাসভবন থেকে বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য বেরিয়েছেন। এ সময় তিনি পিতামাতা- ক্রাউন প্রিন্স ফুমিহিতো এবং ক্রাউন প্রিন্সেস কিকো’র প্রতি বেশ কয়েকবার মাথা নত করে শ্রদ্ধা জানান। বাসা ছেড়ে যাওয়ার আগে ছোট বোনকে কয়েকবার আলিঙ্গন করেন। দিনের আরো পরে নবদম্পতির সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে। এতে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের ঘোষণা দেবেন এবং নির্বাচিত ৫টি প্রশ্নের উত্তর দেবেন। এই প্রশ্নগুলো তাদের কাছে আগেই পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। জাপানের ইমপেরিয়াল হাউজহোল্ড এজেন্সি বলেছে, এটা এই জন্য করা হয়েছে যে, মৌখিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় প্রিন্সেস মাকো বিব্রত হতে পারেন।
এই দম্পতির প্রেমের খবর ফাঁস হয় বেশ কয়েক বছর আগে। তখন থেকেই দুনিয়ার মিডিয়া তাদের দিকে কড়া দৃষ্টি রেখেছে। অনেক খবর প্রকাশ হয়েছে তাদেরকে নিয়ে। কিন্তু প্রিন্সেস মাকো’র এই প্রেম নিয়ে জাপানেই আছে তীব্র বিতর্ক। বলা হচ্ছে, কোমুরোর সঙ্গে ২০১৭ সালে বাগদান সম্পন্ন করে ফেলেন প্রিন্সেস মাকো। পরের বছরই তাদের বিয়ে করার কথা ছিল। কিন্তু কোমুরোর মা আর্থিক সমস্যায় আছেন, এ জন্য সেই বিয়ে বিলম্বিত করা হয়। বলা হয়, কোমুরোর মা তার এক সাবেক প্রেমিকের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন, তা তিনি শোধ করতে পারেননি। তবে এ কারণে বিয়ে বিলম্বিত হয়েছে- এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রাজপ্রাসাদ।