প্রথম পাতা
খালেদা জিয়া বিপদমুক্ত
স্টাফ রিপোর্টার
২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:৩১ অপরাহ্ন
ফাইল ফটো
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার বায়োপসি হলেও তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন। গতকাল দলের চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চিত থাকুন যে, দেশনেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একদম সুস্থ আছেন। কিছুক্ষণ আগে তার সঙ্গে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কথা বলেছেন, তার ভাই (শামীম এস্কান্দার) কথা বলেছেন। ডাক্তার সাহেব যে দু’জন ছিলেন, তারা আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ভালো আছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের অসুস্থতা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন ফখরুল। তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি নেতা অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বায়োপসি হয়েছে এবং তাতে কোনো সমস্যা হয়নি। উনার শরীরের এক জায়গায় ছোট একটা লাম্প আছে। যেহেতু পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এই লাম্পের নেচার অব অরিজিন জানতে হলে বায়োপসি করা প্রয়োজন। সেজন্য আজকে ছোট একটা বায়োপসি করতে উনাকে ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) নিয়ে সেটি করা হয়েছে। বায়োপসি পরবর্তীতে উনার প্যারামিটারগুলো এই মুহূর্তে স্টেবল আছে। উনি সার্জিক্যাল আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। জাহিদ জানান, ভাই শামীম এস্কান্দার ছাড়াও ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমানের সঙ্গেও খালেদা জিয়া কথা বলেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বায়োপসি মানে চিকিৎসা না। বায়োপসি মানে হচ্ছে একটা ডায়াগনস্টিক প্রসেসের পার্ট। পরবর্তী চিকিৎসা কী হবে, এ পরীক্ষার ওপর বেইস করে সেটা নির্ধারিত হবে। বায়োপসির প্রতিবেদন কবে নাগাদ হাতে আসবে- জানতে চাইলে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, বায়োপসির রেজাল্ট পেতে সায়েন্টিফিক্যালি ৭২ ঘণ্টা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৫ দিন থেকে ২১ দিন সময় লাগে। কাজেই এর রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। গত ১২ই অক্টোবর খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ডাক্তার সাহেবরা বার বার বলে আসছেন, তার মেডিকেল বোর্ড বলে আসছেন, তার পরিপূর্ণ চিকিৎসা এখানে করানোর কোনো এডভান্সড সেন্টার নাই। এজন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল।
দুর্ভাগ্য আমাদের যে আমরা এমন একটা দেশে বাস করি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের মতো চিকিৎসা নিতে পারছেন না। তাকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে দেয়ার ওপর জোর দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা খুব প্রয়োজন। এর জন্য আইনগত কোনো বাধা আছে বলে আমরা মনে করি না। কারণ সি ইজ এনটাইটেল টু বেইল। কেন বেইল পাবেন না? এটা তার অধিকার, এটা কোনো দয়া নয়। এই ধরনের একটা মিথ্যা মামলা, তারপরেও এই মামলায় জামিন পাচ্ছেন না। সরকারের উচিত অবিলম্বে তাকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি নেতা অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বায়োপসি হয়েছে এবং তাতে কোনো সমস্যা হয়নি। উনার শরীরের এক জায়গায় ছোট একটা লাম্প আছে। যেহেতু পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এই লাম্পের নেচার অব অরিজিন জানতে হলে বায়োপসি করা প্রয়োজন। সেজন্য আজকে ছোট একটা বায়োপসি করতে উনাকে ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) নিয়ে সেটি করা হয়েছে। বায়োপসি পরবর্তীতে উনার প্যারামিটারগুলো এই মুহূর্তে স্টেবল আছে। উনি সার্জিক্যাল আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। জাহিদ জানান, ভাই শামীম এস্কান্দার ছাড়াও ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমানের সঙ্গেও খালেদা জিয়া কথা বলেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বায়োপসি মানে চিকিৎসা না। বায়োপসি মানে হচ্ছে একটা ডায়াগনস্টিক প্রসেসের পার্ট। পরবর্তী চিকিৎসা কী হবে, এ পরীক্ষার ওপর বেইস করে সেটা নির্ধারিত হবে। বায়োপসির প্রতিবেদন কবে নাগাদ হাতে আসবে- জানতে চাইলে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, বায়োপসির রেজাল্ট পেতে সায়েন্টিফিক্যালি ৭২ ঘণ্টা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৫ দিন থেকে ২১ দিন সময় লাগে। কাজেই এর রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। গত ১২ই অক্টোবর খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ডাক্তার সাহেবরা বার বার বলে আসছেন, তার মেডিকেল বোর্ড বলে আসছেন, তার পরিপূর্ণ চিকিৎসা এখানে করানোর কোনো এডভান্সড সেন্টার নাই। এজন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল।
দুর্ভাগ্য আমাদের যে আমরা এমন একটা দেশে বাস করি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের মতো চিকিৎসা নিতে পারছেন না। তাকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে দেয়ার ওপর জোর দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা খুব প্রয়োজন। এর জন্য আইনগত কোনো বাধা আছে বলে আমরা মনে করি না। কারণ সি ইজ এনটাইটেল টু বেইল। কেন বেইল পাবেন না? এটা তার অধিকার, এটা কোনো দয়া নয়। এই ধরনের একটা মিথ্যা মামলা, তারপরেও এই মামলায় জামিন পাচ্ছেন না। সরকারের উচিত অবিলম্বে তাকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেয়ার।