খেলা
রাতের দুবাই-১
আরব ধনী দুলালদের ‘বাইক পাগলামি’
ইশতিয়াক পারভেজ, আরব আমিরাত থেকে
২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:৫৯ অপরাহ্ন
দিনের আলোয় দুবাইয়ে খুব একটা চমক নেই। সবকিছু যেন সাধারণ আর সাদামাটা। প্রচণ্ড রোদ আর উত্তাপ থেকে বাঁচতে দিনের সময়টা দুবাই শহর থাকে ভীষণ নীরব। তবে ধীরে ধীরে রাত নামতেই বদলে যায় চিত্র। যেন রাত হলেই জেগে ওঠে দুবাই। প্রতিটি হোটেলেই বেড়ে যায় কর্মব্যস্ততা। নাইট ক্লাব, ড্যান্স বার, খাবারের দোকান থেকে শুরু করে শপিংমল- সবাই যেন প্রাণ ফিরে পায়। কৃত্রিম আলোয় গোটা শহর আলোকিত হয়ে ওঠে। দেশ, ধর্ম-বর্ণ সব ভেদাভেদ হারিয়ে যায় হাসি আর আনন্দের খোঁজে। তবে টাকা ছাড়া এই শহরে সুখ কেনার সুযোগ নেই। কিন্তু কেউ কেউ নিজে টাকা খরচ করে আপনাকে অবাক করবে, আনন্দ দিবে এমন মানুষও যে এখানে আছে। যেমন ধরেন আরব ধনীর দুলালদের কথাই বলি। তাদের উদ্ভট কর্মকাণ্ডে আপনি যেমন অবাক হবেন তেমনি আনন্দও পাবেন। এদের বড় একটা অংশ ডুবে থাকবে নাইট ক্লাব গুলোতে। আবার কেউ কেউ নিজের বাড়িতে চিতা বাঘ, ঈগল পোষে। কেউ কেউ বেরিয়ে পড়ে প্রোমোদ তরী (ইয়ট) নিয়ে। তবে কিছু আরব দুলালের শখ দেখে আপনি ভয়ে চোখ বন্ধ করে নেবেন। কিংবা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবেন এই ভেবে যে এও কি সম্ভব!
বাংলাদেশ দলের হার দেখে শারজায় হোটেলের খোঁজে বের হলাম। রাস্তায় তখন পাকিস্তানি ক্রিকেট ভক্তদের উল্লাস। দুবাই শহরে যতগুলো পাকিস্তানি রেস্টুরেন্ট আছে সবগুলোতেই রোববার রাতে ছিল ঈদের আনন্দ। পতাকা নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় তাদের আনন্দ মিছিল করতে দেখা যায়। করবে না কেন! ভারতকে হারানোটা যে তাদের জন্য ইতিহাস। এমন দৃশ্য দেখতে দেখতে সেখান থেকে যাত্রা আরবের বিস্ময় আন্টালটিস দা পাম দুবাই। রাজকীয় এক হোটেল। যেখানে এক রাতের খরচ ১ থেকে ৩ লাখ। সমুদ্রের নিচ দিয়ে চলে গেছে বিশাল টানেল। তা ধরেই হোটেলের মূল ফটকে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে ফের দুবাই শহরে ফেরা। এরই মধ্যে গাড়ির জানালা দিয়ে তাকিয়ে চোখ কপালে ওঠার অবস্থা। দুটি মোটর বাইক ছুটে চলেছে কিন্তু সামনের চাকা দুটি আকাশমুখি। চালকের শরীরের পিঠের অংশটা রাস্তা যেন ছুঁয়ে ফেলেছে। ঠিক কিছুক্ষণ আবার স্বাভাবিক হয়ে আবারও উঠে যাচ্ছে আকাশমুখি হয়ে। এভাবে রাস্তা দিয়ে যাওয়া পর্যটকদের আকর্ষণ করছে তারা। জানালা খুলে মোবাইল বা ক্যামেরা বের করে ছবি তুলতেই তারা যেন দারুণ আনন্দ পায়। আরো উন্মত্ত হয়ে ওঠে। জানা গেল এমন কাণ্ড দেখাতে তারা যে মোটর বাইক ব্যবহার করে সেগুলো বিশেষভাবে তৈরি। সহজে এগুলো উল্টে যায় না। এতে আছে জিপিআরএস সিস্টেম থেকে শুরু করে এসিও। ৮০০ থেকে ১২০০ সিসির এই বিশেষ বাইকের দাম পাঁচ থেকে ২০ লাখ টাকা। এমন মোটর বাইক চালিয়ে পাগলামী দেখাতে ভালোবাসে আরব ধনীর দুলালরা। এতেই নাকি তারা সুখ খুঁজে পায়!
বাংলাদেশ দলের হার দেখে শারজায় হোটেলের খোঁজে বের হলাম। রাস্তায় তখন পাকিস্তানি ক্রিকেট ভক্তদের উল্লাস। দুবাই শহরে যতগুলো পাকিস্তানি রেস্টুরেন্ট আছে সবগুলোতেই রোববার রাতে ছিল ঈদের আনন্দ। পতাকা নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় তাদের আনন্দ মিছিল করতে দেখা যায়। করবে না কেন! ভারতকে হারানোটা যে তাদের জন্য ইতিহাস। এমন দৃশ্য দেখতে দেখতে সেখান থেকে যাত্রা আরবের বিস্ময় আন্টালটিস দা পাম দুবাই। রাজকীয় এক হোটেল। যেখানে এক রাতের খরচ ১ থেকে ৩ লাখ। সমুদ্রের নিচ দিয়ে চলে গেছে বিশাল টানেল। তা ধরেই হোটেলের মূল ফটকে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে ফের দুবাই শহরে ফেরা। এরই মধ্যে গাড়ির জানালা দিয়ে তাকিয়ে চোখ কপালে ওঠার অবস্থা। দুটি মোটর বাইক ছুটে চলেছে কিন্তু সামনের চাকা দুটি আকাশমুখি। চালকের শরীরের পিঠের অংশটা রাস্তা যেন ছুঁয়ে ফেলেছে। ঠিক কিছুক্ষণ আবার স্বাভাবিক হয়ে আবারও উঠে যাচ্ছে আকাশমুখি হয়ে। এভাবে রাস্তা দিয়ে যাওয়া পর্যটকদের আকর্ষণ করছে তারা। জানালা খুলে মোবাইল বা ক্যামেরা বের করে ছবি তুলতেই তারা যেন দারুণ আনন্দ পায়। আরো উন্মত্ত হয়ে ওঠে। জানা গেল এমন কাণ্ড দেখাতে তারা যে মোটর বাইক ব্যবহার করে সেগুলো বিশেষভাবে তৈরি। সহজে এগুলো উল্টে যায় না। এতে আছে জিপিআরএস সিস্টেম থেকে শুরু করে এসিও। ৮০০ থেকে ১২০০ সিসির এই বিশেষ বাইকের দাম পাঁচ থেকে ২০ লাখ টাকা। এমন মোটর বাইক চালিয়ে পাগলামী দেখাতে ভালোবাসে আরব ধনীর দুলালরা। এতেই নাকি তারা সুখ খুঁজে পায়!