বাংলারজমিন
তুলে নিয়ে বিয়ে, দু’বছর পর স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:২৯ অপরাহ্ন
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের উরুকচাউল গ্রামে শারমিন আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। গত রোববার দুপুরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত শারমিন ওই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে কামরুল ইসলামের স্ত্রী ও একই গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের শাশুড়ি কমলা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। রাতে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উরুকচাউল গ্রামের আবুল খায়েরের মেয়ে শারমিন আক্তারকে দু’বছর পূর্বে একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে কামরুল ইসলাম অপহরণ করে নিয়ে বিয়ে করে চট্টগ্রামে আত্মগোপন করে পরে গ্রামবাসীর চাপের মুখে বিষয়টি স্বীকার করে বাড়িতে নিয়ে আসে শারমিনকে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে কামরুল ইসলাম মাদকে জড়িয়ে পড়লে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এর জের ধরে কয়েক দফা শারমিনকে শারীরিক নির্যাতন করে স্বামী কামরুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে দু’ পরিবারের মাঝে একাধিকবার সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করলেও থামেনি শারমিনের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে ও রোববার সকালে স্বামী কামরুল ইসলাম শারমিনকে বেধড়ক মারপিট করে ঘরে বন্দি করে রাখে। শারমিনের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারমিনের রুমে গিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। পরে শারমিনকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত হলে কামরুল ইসলাম নিহতের লাশ বাড়িতে নিয়ে তড়িঘড়ি দাফনের চেষ্টা করলে শারমিনের স্বজনরা নাঙ্গলকোট থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ আসার খবরে লাশ রেখে পালিয়ে যায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেন নিহতের মা ছেনোয়ারা বেগম।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি (তদন্ত) রকিবুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উরুকচাউল গ্রামের আবুল খায়েরের মেয়ে শারমিন আক্তারকে দু’বছর পূর্বে একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে কামরুল ইসলাম অপহরণ করে নিয়ে বিয়ে করে চট্টগ্রামে আত্মগোপন করে পরে গ্রামবাসীর চাপের মুখে বিষয়টি স্বীকার করে বাড়িতে নিয়ে আসে শারমিনকে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে কামরুল ইসলাম মাদকে জড়িয়ে পড়লে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এর জের ধরে কয়েক দফা শারমিনকে শারীরিক নির্যাতন করে স্বামী কামরুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে দু’ পরিবারের মাঝে একাধিকবার সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করলেও থামেনি শারমিনের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে ও রোববার সকালে স্বামী কামরুল ইসলাম শারমিনকে বেধড়ক মারপিট করে ঘরে বন্দি করে রাখে। শারমিনের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারমিনের রুমে গিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। পরে শারমিনকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত হলে কামরুল ইসলাম নিহতের লাশ বাড়িতে নিয়ে তড়িঘড়ি দাফনের চেষ্টা করলে শারমিনের স্বজনরা নাঙ্গলকোট থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ আসার খবরে লাশ রেখে পালিয়ে যায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেন নিহতের মা ছেনোয়ারা বেগম।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি (তদন্ত) রকিবুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।