বাংলারজমিন
শাহ্রাস্তিতে স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন
শাহ্রাস্তি (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:২৯ অপরাহ্ন
চাঁদপুরের শাহ্রাস্তিতে মেহের উত্তর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামে স্বামী জামাল হোসেনকে ঘুমের ওষুধ ও বালিশচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী ফাতেমা আক্তার (৩৪)কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার বিকালে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম ফারহানা ইয়াসমিন এই রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ১৪ই এপ্রিল ফাতেমা আক্তারের সঙ্গে তার স্বামী মৃত জামাল হোসেনের পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদ হয়। সন্তানদের সামনে স্বামী ফাতেমাকে মারধর করায় অসম্মানবোধ করেন তিনি। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামীকে জীবনে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। এর পরদিন ১৫ই এপ্রিল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাত ১১টায় বাজার থেকে স্বামী ঘরে এলে জন্ডিসের তরল ওষুধের সঙ্গে ৮টি ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে রাখে। ওই ওষুধ পান করে রাতে স্ত্রী ফাতেমাসহ ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে জামাল হোসেন অচেতন হয়ে পড়লে নাকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ঘটনাটি গোপন করার জন্য ফাতেমা পার্শ্ববর্তী অন্যঘর থেকে তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম ফাহিম (১৫)কে ঘুম থেকে উঠিয়ে তার পিতা মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানায়। ছেলেকে ফাতেমা বলে তার পিতার সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে দিনে, যার ফলে তার মৃত্যুর ঘটনায় তাদেরকে সন্দেহ করবে। এইজন্য মা ও ছেলে একসঙ্গে বাড়ির পাশে পুরনো গর্ত আকারে বড় করে জামালকে মাটি চাপা দেয়। এরপর ৩০শে এপ্রিল দুপুরে ফাতেমা আক্তার তার স্বামীর নিকটাত্মীয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. আমির হোসেনের নিকট পুরো ঘটনার বিবরণ দেন।
আমির হোসেন ঘটনাটি শাহরাস্তি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে তাদেরকে থানা নিয়ে যায় এবং জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে জামাল হোসেনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ওইদিনই আমির হোসেন বাদী হয়ে শাহ্রাস্তি থানায় ফাতেমা আক্তার ও তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম ফাহিমকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ১৪ই এপ্রিল ফাতেমা আক্তারের সঙ্গে তার স্বামী মৃত জামাল হোসেনের পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদ হয়। সন্তানদের সামনে স্বামী ফাতেমাকে মারধর করায় অসম্মানবোধ করেন তিনি। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামীকে জীবনে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। এর পরদিন ১৫ই এপ্রিল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাত ১১টায় বাজার থেকে স্বামী ঘরে এলে জন্ডিসের তরল ওষুধের সঙ্গে ৮টি ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে রাখে। ওই ওষুধ পান করে রাতে স্ত্রী ফাতেমাসহ ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে জামাল হোসেন অচেতন হয়ে পড়লে নাকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ঘটনাটি গোপন করার জন্য ফাতেমা পার্শ্ববর্তী অন্যঘর থেকে তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম ফাহিম (১৫)কে ঘুম থেকে উঠিয়ে তার পিতা মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানায়। ছেলেকে ফাতেমা বলে তার পিতার সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে দিনে, যার ফলে তার মৃত্যুর ঘটনায় তাদেরকে সন্দেহ করবে। এইজন্য মা ও ছেলে একসঙ্গে বাড়ির পাশে পুরনো গর্ত আকারে বড় করে জামালকে মাটি চাপা দেয়। এরপর ৩০শে এপ্রিল দুপুরে ফাতেমা আক্তার তার স্বামীর নিকটাত্মীয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. আমির হোসেনের নিকট পুরো ঘটনার বিবরণ দেন।
আমির হোসেন ঘটনাটি শাহরাস্তি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে তাদেরকে থানা নিয়ে যায় এবং জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে জামাল হোসেনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ওইদিনই আমির হোসেন বাদী হয়ে শাহ্রাস্তি থানায় ফাতেমা আক্তার ও তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম ফাহিমকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।