ভারত
প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ক্ষোভ, ক্রোধ আর রোমাঞ্চ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে বারবার আলাদা মাত্রা দিয়েছে
জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
২৪ অক্টোবর ২০২১, রবিবার, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
যেদিন প্রধানমন্ত্রী নেহেরু আর কায়েদ ই আজম জিন্না ভারত-পাকিস্তান রাষ্ট্রের অনুমোদনের সনদে সই করেছিলেন সেদিনই নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছিল উপমহাদেশের বৃহৎ দুই রাষ্ট্রের ললাটলিপি। সীমান্তপার সংঘর্ষ, জঙ্গি অভ্যুথান আর যুদ্ধ রক্তপাতে দীর্ণ এই ইতিহাস। তবু, দুদেশের ক্রীড়া সম্পর্ক অব্যাহত। ৬৯ বছর আগে ১৯৫২ সালে, ভারত-পাকিস্তান স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পাঁচ বছর পরে ভারত-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ শুরু হয়। এই অক্টোবরের ১৬ থেকে ১৮ তারিখে নয়াদিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় প্রথম টেস্ট হয় ভারত-পাকিস্তানের। সেই ম্যাচে আব্দুল কারদার এবং আমির এলাহী খেলেছিলেন পাকিস্তান দলে যাঁরা ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার আগে ভারতের হয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলেন। সেই ম্যাচে ভারত জয়ী হয় এক ইনিংস ও ৭০ রানে। এরপর ১৯৭৮ সালে ৫০ ওভার এর সীমিত ওভারের প্রথম সিরিজ। ওয়ানডে ম্যাচের তিন খেলার সিরিজ এর প্রথম ম্যাচটি হয় কোএট্টায়, সেই অক্টোবর-এরই এক তারিখে। কপিল দেব নিখাঞ্জ এর অভিষেক এই ম্যাচে। ম্যাচটি ভারত জেতে। শিয়ালকোটে পাকিস্তান সিরিজে সমতা ফেরায়। শাহিওয়াল-এর ম্যাচে ক্ষোভ, ক্রোধের মারাত্মক বহিঃপ্রকাশে জেতা ম্যাচ ছেড়ে দেন ভারত অধিনায়ক বিষণ সিং বেদি। পাক ফাস্ট বোলার সরফরাজ নাওয়াজ পরপর চারটি বাউন্সার দেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। আম্পায়ার একটি বাউন্সারকেও ওয়াইড ঘোষণা না করায় ক্রুদ্ধ বেদি ব্যাটসম্যানদের ফিরিয়ে আনেন। ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। এরপর ২০০৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। ভারত-পাকিস্তানের প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচ। কিংসমড এ গ্রুপের ম্যাচ টাই হওয়ার পর বোল্ড আউটে ভারত পাকিস্তানকে হারায়। এরপর ফাইনালে ফের দেখা হলে ভারত পাঁচ রানে জেতে। টি টোয়েন্টি বা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারত পাকিস্তানের কাছে কখনও হারেনি। বিরাট কিংবা আজম যে কথা মনে রাখতে চাননা।