অনলাইন
‘স্যার বলেছেন, তাকে ফিনিশ করে দিতে হবে’
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৪ অক্টোবর ২০২১, রবিবার, ১০:০১ পূর্বাহ্ন
হঠাৎ একদিন মুছা এসে আমাকে বলে বাবুল আক্তার স্যারের সাথে উনার স্ত্রী মিতুর বেশি ঝামেলা হচ্ছে। স্যার বলেছেন, তাকে ফিনিশ করে দিতে হবে।
চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ও অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশামুল হক ভোলা আদালতে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোলাকে বেনাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে শনিবার আদালতে তোলা হলে তিনি ঘটনার সাথে বাবুল আক্তার ও তার সোর্স কামরুল ইসলাম মুছা জড়িত বলে এমন জবানবন্দি দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জবানবন্দিতে ভোলা জানায়, তার সাথে আগে থেকে মিতু হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি কামরুল শিকদার ওরফে মুছার পরিচয় ছিলো। মূলত মুছার মাধ্যমে ২০০৮ সালে তার সাথে বাবুল আক্তারের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে বাবুলের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এমনকি বাবুলের অনুরোধে নিজের বালুর ব্যবসায় মুছাকে ম্যানেজার করেছিলেন তিনি।
ভোলা বলেন, ‘মিতুকে খুনের কাজে মুছাকে সাহায্য করতে রাজি না হওয়ায় বাবুল আক্তার আমাকে জিইসি মোড়ে মেরিডিয়ানের সামনে ডেকে নিয়ে যান। এরপর বলেন, মুছাকে একটি কাজ দিয়েছি। তোমাকে এই কাজে সহযোগিতা করতে হবে। না হয় সমস্যা হবে।’
ভোলা বলেন, ‘আমি মুছার প্রস্তাবে কোনভাবেই রাজি হইনি। তবে বাবুল স্যারের কথায় ভয় পেয়ে যাই। ওইদিন বাবুল আক্তারের সঙ্গে মুছা এবং মামলার আরেক আসামি ওয়াসিমও ছিল। পরে জানতে পারি বাবুল স্যারের টাকায় মুছা অস্ত্র সংগ্রহ করেছেন।
ভোলা জানায়, ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০১৬ সালের ৫ই জুন সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে মুছা বারবার ফোন দিতে থাকে। তবে আমি ফোন ধরিনি। সকাল ১১টার দিকে ব্যবসার টাকা তুলতে খাতুনগঞ্জের শাহজালাল ব্যাংকে গিয়ে টেলিভিশনে দেখি, পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হয়েছে। তখন মুছাকে ফোন করি।দেখি ফোন বন্ধ। তবে বিকেলে সে অফিসে আসে। এসে তার মতিগতি ভালো মনে হয়নি। আমি তার কাছে জিজ্ঞাসা করতেই সে সবকিছু খুলে বলে।
ভোলা বলেন, মুছা আমাকে বলে এটা ছাড়া তার কোন উপায় ছিলো না। এটা না করলে বাবুল আক্তার তাকে ক্রসফায়ার দিতো। আমি তখন তাকে বলি, ‘এ কাজটা না করলে বাবুল স্যার হয়তো একবার ক্রসফায়ার দিতো, এখন পুলিশ তো তোকে দশবার মারবে।’
ভোলা আরও বলেন, মুছা সেদিন আমার অফিসে একটি কাপড়ের ব্যাগ রেখে চলে যান। ওইদিনই আমার কেয়ারটেকার মনির এসে ব্যাগটি নিয়ে যায়। পরে আমি বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা ব্যাগটি উদ্ধার করে। সেখানে একটি অস্ত্র ছিল।
জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ই সেপ্টেম্বর মিতু হত্যা মামলায় এহতেশামুল হক ভোলাকে চার সপ্তাহের জামিন দেন হাইকোর্ট। ওইদিন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এই মাসের ১৪ তারিখ জামিন বাতিল করে পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ও অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশামুল হক ভোলা আদালতে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোলাকে বেনাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে শনিবার আদালতে তোলা হলে তিনি ঘটনার সাথে বাবুল আক্তার ও তার সোর্স কামরুল ইসলাম মুছা জড়িত বলে এমন জবানবন্দি দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জবানবন্দিতে ভোলা জানায়, তার সাথে আগে থেকে মিতু হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি কামরুল শিকদার ওরফে মুছার পরিচয় ছিলো। মূলত মুছার মাধ্যমে ২০০৮ সালে তার সাথে বাবুল আক্তারের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে বাবুলের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এমনকি বাবুলের অনুরোধে নিজের বালুর ব্যবসায় মুছাকে ম্যানেজার করেছিলেন তিনি।
ভোলা বলেন, ‘মিতুকে খুনের কাজে মুছাকে সাহায্য করতে রাজি না হওয়ায় বাবুল আক্তার আমাকে জিইসি মোড়ে মেরিডিয়ানের সামনে ডেকে নিয়ে যান। এরপর বলেন, মুছাকে একটি কাজ দিয়েছি। তোমাকে এই কাজে সহযোগিতা করতে হবে। না হয় সমস্যা হবে।’
ভোলা বলেন, ‘আমি মুছার প্রস্তাবে কোনভাবেই রাজি হইনি। তবে বাবুল স্যারের কথায় ভয় পেয়ে যাই। ওইদিন বাবুল আক্তারের সঙ্গে মুছা এবং মামলার আরেক আসামি ওয়াসিমও ছিল। পরে জানতে পারি বাবুল স্যারের টাকায় মুছা অস্ত্র সংগ্রহ করেছেন।
ভোলা জানায়, ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০১৬ সালের ৫ই জুন সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে মুছা বারবার ফোন দিতে থাকে। তবে আমি ফোন ধরিনি। সকাল ১১টার দিকে ব্যবসার টাকা তুলতে খাতুনগঞ্জের শাহজালাল ব্যাংকে গিয়ে টেলিভিশনে দেখি, পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হয়েছে। তখন মুছাকে ফোন করি।দেখি ফোন বন্ধ। তবে বিকেলে সে অফিসে আসে। এসে তার মতিগতি ভালো মনে হয়নি। আমি তার কাছে জিজ্ঞাসা করতেই সে সবকিছু খুলে বলে।
ভোলা বলেন, মুছা আমাকে বলে এটা ছাড়া তার কোন উপায় ছিলো না। এটা না করলে বাবুল আক্তার তাকে ক্রসফায়ার দিতো। আমি তখন তাকে বলি, ‘এ কাজটা না করলে বাবুল স্যার হয়তো একবার ক্রসফায়ার দিতো, এখন পুলিশ তো তোকে দশবার মারবে।’
ভোলা আরও বলেন, মুছা সেদিন আমার অফিসে একটি কাপড়ের ব্যাগ রেখে চলে যান। ওইদিনই আমার কেয়ারটেকার মনির এসে ব্যাগটি নিয়ে যায়। পরে আমি বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা ব্যাগটি উদ্ধার করে। সেখানে একটি অস্ত্র ছিল।
জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ই সেপ্টেম্বর মিতু হত্যা মামলায় এহতেশামুল হক ভোলাকে চার সপ্তাহের জামিন দেন হাইকোর্ট। ওইদিন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এই মাসের ১৪ তারিখ জামিন বাতিল করে পরোয়ানা জারি করেন আদালত।