দেশ বিদেশ
দক্ষিণ কোরিয়া সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ অক্টোবর ২০২১, রবিবার, ৯:২৯ অপরাহ্ন
দক্ষিণ কোরিয়া সফর শেষে গতকাল দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সফরকালে তিনি গত ১৯শে অক্টোবর কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ন্যাম ইয়ং শিন-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় তারা দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক উন্নয়নে বিভিন্ন সম্ভাবনার বিষয়ে মতবিনিময় করেন। পরবর্তীতে সেনাপ্রধান ‘আর্মি টাইগার ৪.০’ ও ‘ওয়ারিয়র্স প্ল্যাটফরম’ শীর্ষক দুটি মহড়া অবলোকন করেন। এ ছাড়াও তিনি সিউলে ইন্টারন্যাশনাল এরোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স এক্সিবিশন-২০২১ এর বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। পরে তিনি কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সি উক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ন্যাম ইয়ং শিন, অ্যাঙ্গোলা সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল জ্যাক রাউল, রাশিয়া গ্রাউন্ড ফোর্সের কমান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল ওলেগ লিওনিদোভিচ সেউকভ সহ অন্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বুধবার ২০শে অক্টোবর রিপাবলিক অব কোরিয়ার মহামান্য রাষ্ট্রপতি ‘সিউল ইন্টারন্যাশনাল এরোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স এক্সিবিশন-২০২১’ পরিদর্শন করেন। সেখানে রাষ্ট্রপতির সম্মানে একটি ‘এয়ার শো’ অনুষ্ঠিত হয়। যা অন্যান্য দেশের ভিআইপিদের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধান অবলোকন করেন। ‘এয়ার শো’ শেষে জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ প্রদর্শনীতে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সংবলিত স্টলসমূহ পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার ২১শে অক্টোবর রিপাবলিক অব কোরিয়ার ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন কর্তৃক আয়োজিত কালচারাল ট্যুরে সেনাবাহিনী প্রধান অংশ নেন এবং সিউলের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ পরিদর্শন করেন। একই দিনে সেনাবাহিনী প্রধান সিউলে তার সম্মানে বাংলা হাউজে আয়োজিত নৈশভোজে অংশগ্রহণ এবং কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। সেনাবাহিনী প্রধান কর্তৃক সিউল ইন্টারন্যাশনাল এরোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স এক্সিবিশন-২০২১-এ এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে উপযুক্ত সরঞ্জামাদির একটি ধারণা পাওয়া যাবে ও ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়াও এ সফর দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।